1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
বন্যা কবলিত মানুষ ও গৃহপালিত পশুর খাবারের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে, মৌলভীবাজারে বানের পানি কিছুটা নেমেছে - মুক্তকথা
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০১:২৫ অপরাহ্ন

বন্যা কবলিত মানুষ ও গৃহপালিত পশুর খাবারের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে, মৌলভীবাজারে বানের পানি কিছুটা নেমেছে

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : বুধবার, ১২ জুলাই, ২০১৭
  • ১২৬৪ পড়া হয়েছে

১ লাখ ৭১ হাজার ৩০টি গরু, ৩৩ হাজার ৩৩টি মহিষ, ৫৭ হাজার ৫৩টি ছাগল, সাত হাজার ৩৪৮টি ভেড়া,
১ লাখ ৯৩ হাজার ৯৯৭টি হাঁস ও ৬ লাখ ৫৩ হাজার ৬০৮টি মোরগ আছে।

শুকনো জমি না থাকায় ঘাসের নিদারুণ অভাব। এদের বাঁচিয়ে রাখাতে উৎকন্ঠায় সাধারণ কৃষক।

আব্দুল ওয়াদুদ,
মৌলভীবাজার থেকে।।

কুশিয়ারা নদীর পানি ধীরগতিতে কমতে শুরু করলেও সদর ও রাজনগর উপজেলার নদী পাড়ের ৫ ইউনিয়নের প্রায় ৪৫টি গ্রামের বন্যা কবলিত মানুষের কষ্ট অন্তহীন।
খননের অভাবে ভরাট হয়ে গেছে কুশিয়ারা নদী। স্রোতের তোড়ে নদীর পলিমাটি গিয়ে পড়ছে হাওরে। এই অবস্থায় নদী ও হাওরের পানিধারণের ক্ষমতা কমে গেছে। এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল। মৌলভীবাজারে লাগাতার ৪ মাসের দীর্ঘস্থায়ী বন্যার পেছনে প্রাকৃতিক এই দুই কারণের পাশাপাশি মানবসৃষ্ট আরো দু’টি কারণকে সামনে আনছেন বিশেষজ্ঞ ও ভুক্তভোগীরা। তা হলো সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার বুড়িকিয়ারিতে তৈরি বাঁধ ও ইটভাটা এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের অবহেলা ও গাফিলতিকে।

প্রচীনকালের জলযান। হাকালুকি হাওর পাড়ের জুড়ী উপজেলার সোনাপুর গ্রামের বন্যার চিত্র।

এদিকে হাকালুকি হাওর তীরবর্তী বড়লেখা, কুলাউড়া ও জুড়ী উপজেলায় যে পরিমান পানি কমছে তা অতি নগন্য। এসব এলাকায় ছড়িয়ে পড়া পানিবাহিত রোগ ও বিশুদ্ধ পানির অভাবে জ্বর ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে বন্যা কবলিত হাজারো মানুষ। রাজনগর উপজেলার উত্তরভাগ, ফতেহপুর ও সদর উপজেলার মনুমূখ, আখাইলকুড়া ও নাজিরাবাদ ইউনিয়নের প্রায় ৪৫টি গ্রামের মানুষ এসব পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত। নদী পাড়ের খেটেখাওয়া মানুষ যে পরিমান ত্রাণ পাচ্ছেন তাতে দুঃখে-সুখে নীড় বাঁধার আশাতো দূরের কথা জীবন বাঁচানোই দায়। সাধারণ মানুষের ভাষায় ‘মনঃপুত নয়’ মোটেই।
অনেকে জানিয়েছেন সাহায্য-সহযোগিতার নামে রাজনৈতিক নেতারা বড় ব্যানার নিয়ে দল বেঁধে সেখানে গেলেও তারা মূলত সামান্য খাবার দিয়ে ফটোসেশনেই ব্যস্ত থাকেন।
এছাড়াও বন্যা কবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে গো খাদ্যের অভাব। জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বন্যা উপদ্রুত এলাকায় এক লাখ ৭১ হাজার ৩০টি গরু, ৩৩ হাজার ৩৩টি মহিষ, ৫৭ হাজার ৫৩টি ছাগল, সাত হাজার ৩৪৮টি ভেড়া, এক লাখ ৯৩ হাজার ৯৯৭টি হাঁস ও ছয় লাখ ৫৩ হাজার ৬০৮টি মোরগ আছে। এসব এলাকায় কোন শুকনো জমি না থাকায় ঘাসের সংকট দেখা দিয়েছে চরমে। মৌলভীবাজারের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হিদায়াতুল্লাহ জানান, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে গবাদি পশুর জন্য তিন হাজার ১২১ টন দানাদার খাদ্য ও চার হাজার ৩৮৯ টন খড়ের চাহিদা দিয়েছি।’ রাজনগর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম জানান, এ উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত। উপজেলার বকসিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কামালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুটি আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রসহ বন্যার্তদের জন্য সর্বমোট ১১৫ মেট্রিকটন জিআর চাল, ৩ লাখ ৪৫ হাজার জিআর নগদ টাকা, ২শ প্যাকেট খাবার ও ৭হাজার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট এসেছে। এসব ত্রানসামগ্রী ও নগদ টাকা আমরা বিতরণ করেছি। সর্বশেষ এসব এলাকার জন্য ১০ মেট্রিকটন চাল, ১৬ হাজার টাকা এসেছে। এগুলো আজ (বুধবার) থেকে বিতরণ করা হবে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল আলীম জানান, সদর উপজেলার ৪, কুলাউড়া ৪৪, বড়লেখা ৭০, জুড়ি ২০, রাজনগর ১৪টি সহমোট ১৫২টি বিদ্যালয়ের ৩০ হাজার ছাত্র ছাত্রী ক্লাস করতে পারছে না। তারা লেখা পড়া থেকে সাময়িক ভাবে বঞ্চিত হয়েছে।
রাজনগর উপজেলার কান্দিগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে সরেজমিনে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা অর্ধ্ব বার্ষিকী পরীক্ষা দিচ্ছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল করিম জাকির বলেন, স্কুলের মাঠ, রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। এরপরও চলছে স্কুলের কার্যক্রম। তিনি বলেন ৬২৪জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫৮০জন শিক্ষার্থী অর্ধ্ব বার্ষিকী পরীক্ষা দিচ্ছে। শিক্ষক- অভিভাবকসহ সকলের প্রচেষ্ঠায় ভরা বন্যায় স্কুলের কার্যক্রম চালানো সম্ভব হয়েছে।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (মাধ্যমিক) আবু সাইদ মোঃ আব্দুল ওয়াদুদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন জেলার মাধ্যমিক পর্যায়ের ৪০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বানের পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে।
মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ তোফায়েল ইসলাম এর সাথে কথা হয় বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে। তিনি বলেন, মৌলভীবাজারে পানি কমছে, আর তাই ক্ষয়ক্ষতির পরিমানও কমে আসছে। বন্যায় ১৪৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ২১টি আশ্রয় কেন্দ্রের মধ্যে ৩৮৪টি পরিবারের ১৮শ ৫০জন নারী-পুরুষ আহ্বান করছে। সারা জেলায় ১৬২টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ত্রান বরাদ্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, বন্যা কবলিত এলাকার জন্য ৯শ ২৫ মেট্রিকটন চাল ও নগদ ৪১ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে।

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT