1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
‘ফ্লাই দুবাই’ যোগে সিলেট ভ্রমন এবং কিছু অভিজ্ঞতা - মুক্তকথা
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৮:০৬ অপরাহ্ন

‘ফ্লাই দুবাই’ যোগে সিলেট ভ্রমন এবং কিছু অভিজ্ঞতা

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : বুধবার, ৭ মার্চ, ২০১৮
  • ৭১১ পড়া হয়েছে

সৈয়দ আবুল মনসুর লিলু

গত ১২ই ফেব্রয়ারী ২০১৮ লন্ডন হিথরো থেকে ‘এমিরাটস’ দিয়ে দুবাই হয়ে ‘এমিরাটস’ এর সহযোগী এয়ার লাইন ‘ফ্লাই দুবাই’ দিয়ে সিলেট ভ্রমন করেছিলাম। সেই ভ্রমনের কিছু অভিজ্ঞতা লন্ডন থেকে দুবাই হয়ে সিলেটগামী যাত্রীদের শেয়ার করে জানানো উচিত, তাই আজকের এই লিখা।
বাংলাদেশ ভ্রমনের কথা মাথায় আসলেই যে দুইটি এয়ার লাইনসের কথা মনে হয় তা হলো- ‘বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইনস’ এবং ‘এমিরাটস’। যদিও কুয়েত এয়ার এবং ‘ব্রিট্রিশ এয়ার ওয়েজ’ দিয়েও একবার করে বাংলাদেশে যাওয়া হয়েছে বহু বছর আগে। তাই গত দুই দশক থেকে এয়ার লাইনস হিসাবে এমিরাটসকেই(লন্ডন থেকে দুবাই পযর্ন্ত) ভাল মনে হয়েছে। যদিও বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইনস এখন ভাল যাত্রী সেবার মাধ্যমে অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা মানুষ অনেকটা ভুলার চেষ্টা করছে। বর্তমানে বিমানের যাত্রী সেবার মান আগের চেয়ে অনেক উন্নত হয়েছে এবং এয়ার ক্রাফ্ট গুলোও অনেকটা নতুন এবং আরামদায়ক। তাঁর উপর লন্ডন থেকে সরাসরি সিলেট যাওয়ার কারনে সিলেটি যাত্রীদের কাছে বিমান এখন প্রধান ‘চয়েজ’।
এবারও বিমান আমার প্রথম ‘চয়েজ’ ছিল। বিশেষ করে সিলেটি যাত্রীদের জন্য তা হওয়া উচিত। কিন্তু আমাদের সাথে আমার ছোট মেয়ে নাহিদ ভ্রমন করায় তাঁর পছন্দকেই অগ্রাধিকার দিতে হয়েছিল। তাই বিমানে সিলেট ভ্রমন না করে এমিরাটস এয়ার লাইনে দুবাই হয়ে সিলেট যেতে হয়েছিল। প্রায় ১৫বছর আগে বাংলাদেশ বিমানে ছেলেমেয়েসহ আমরা দেশে গিয়েছিলাম(যদিও আমি ও আমার স্ত্রী গত কয়েক বছর থেকে প্রায় প্রতি বছরই এখন দেশে যাওয়া হয়) তখনকার সময়ের কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতা ছেলেমেয়েদের হয়েছিল, যা এখনও আমার মেয়ে নাহিদ ভুলতে পারেনি। তাই শত চেষ্টা করেও তাকে এবার বাংলাদেশ বিমান যোগে দেশে নিয়ে যেতে পারিনি।
যাক, বাংলাদেশ বিমান প্রসঙ্গ। আমার আজকের লিখার বিষয় হলো আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত বিশ্বের সর্বোচ্চ মান সম্পন্ন এয়ার লাইন সংস্হা এমিরাটসের দুবাই সিলেট রুটের পার্টনার ‘ফ্লাই দুবাই’কে নিয়ে। ‘ফ্লাই দুবাই’ আন্তর্জাতিক রুটে নিম্নমানের যাত্রী সেবার মাধ্যমে ‘এমিরাটসের’ দুবাই সিলেট রুটের লয়েল যাত্রীদের কাছে জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে বলে আমার ধারনা।

প্রথমত, যে অভিজ্ঞতা সিলেটগামী যাত্রীদের কাছে খুবই বিরক্তিকর তা হলো, দুবাই অবতরন করার পর মেইন আন্তর্জাতিক টার্মিনাল-৩ থেকে ফ্লাই দুবাইয়ের টার্মিনাল খোঁজে বের করা(জানা না থাকলে) খুবই সময় সাপেক্ষ এবং বিরক্তিকর। টার্মিনাল-২, যেখান থেকে ফ্লাই দুবাইয়ের মাধ্যমে সিলেট যেতে হয়, সেখানে যেতে মেইন টার্মিনাল থেকে বের হয়ে বাসযোগে(খুবই নিম্নমানের বাস) আধা ঘন্টা চল্লিশ মিনিটের মত সময় লাগে, যা মোটেই গ্রহনযোগ্য নয়।
এরপর ফ্লাই দুবায়ের ভিতরের যাত্রী সেবার মান খুবই নিম্নমানের। খাবার সবাইকে দেওয়া হয়না। এমনকি পানি একবারের বেশী চাওয়া হলে তা পাওয়া যায়না। তাদের কাছ থেকে কিনে খেতে হয়, যা আন্তর্জাতিক যাত্রীরা অনেকেই পছন্দ করেননা।
টয়লেট ব্যবহারের ক্ষেত্রেও তাদের যতেষ্ট সুবিধা না থাকায় অনেক্ষন অপেক্ষা করতে হয়।
এয়ার ক্রাফ্টের লকার ছোট থাকায় বিমানের উঠার আগেই যাত্রীদের হ্যান্ড ব্যাগ অনেকটা অনিচ্ছা থাকা সত্বেও ল্যাগেজের সাথে দিয়ে দিতে হয়। হ্যান্ড ব্যাগে অনেকের অনেক জরুরী জিনিষপত্র রাখার কারনে তখন খুব অসুবিধায় পরতে হয়। এই সব বিবিধ কারনে ‘ফ্লাই দুবাই’ দিয়ে সিলেট ভ্রমন সিলেটি বেশীরভাগ যাত্রীদের কাছে এখন একটি তিক্ত অভিজ্ঞতা।
কয়েকজন যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে যে, তারা আর কখনও বাংলাদেশ(সিলেট) ভ্রমন করতে এমিরাটসের এই রুট ব্যবহার করবেননা। অনেকে আবার এমিরাটসের উপরও বিরক্ত এই ভেবে যে, যাত্রীরা এমিরাটস ফ্লাইটের সমপরিমান টিকেটের মুল্য এবং আন্তর্জাতিক মানের সেবার জন্য অর্থ পরিশোধ করার পরও কেন সিলেটগামী যাত্রীদেরকে একটি বাজেট এয়ার লাইনের মাধ্যমে এমিরাটস সিলেট প্রেরন করলো। যাত্রীরা মনে করেন ‘ফ্লাই দুবাইয়ের’মত একটি নিম্নমানের সেবা প্রদানকারী এয়ার লাইন কিভাবে এমিরেটসের মত মানসম্পন্ন একটি এয়ার লাইনের বিজনেস পার্টনার হতে পারলো!
লন্ডন থেকে এমিরাটস দিয়ে দুবাই ভ্রমন খুবই উন্নতমানের। সেটা নতুন কিছু নয়। আমরা জানি, তাই বহুবার এমিরাটস যাত্রী সেবার মানের জন্য অনেক ‘এওয়ার্ড’ পেয়েছে। আজকের লিখার মুল কারন শুধু ফ্লাই দুবাইয়ের নিম্নমানের যাত্রী সেবা নিয়ে নয়। আমার লিখার মুল কারন হলো, এমিরাটস ‘ফ্লাই দুবাইকে’ সিলেট রুটে তাদের বিজনেস পার্টনার করার কারনে ফ্লাই দুবাইয়ের সকল ব্যর্থতা এমিরাটস এর উপর আসবে, যার কারনে কিছুটা হলেও আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত বিশ্বের সেরা এয়ার লাইনস ‘এমিরাটসের’ সুনাম ক্ষুন্ন হবে বলে আমার ধারনা।
তাই এই রুটের একজন যাত্রী হিসাবে আমি মনে করি, ‘এমিরাটস’ এয়ার লাইন সিলেটি বাংগালী কমিউনিটির কাছে তাদের জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে হলে ‘ফ্লাই দুবাই’ এয়ার লাইনসকে ব্যবহার না করে (আমিরাটসের সুনাম অক্ষুন্ন রাখার স্বার্থে) তাদের নিজস্ব এয়ারক্রাফ্ট দিয়ে সিলেটগামী যাত্রীদেরকে দুবাইয়ের টার্মিনাল ৩ থেকে সরাসরি সিলেট পাঠানোর ব্যবস্হা করা।
অথবা ‘ফ্লাই দুবাই’ এয়ার লাইনকে চাপ সৃষ্টি করে দুবাই সিলেট রুটে তাদের সেবার মান আরও উন্নত করা যাতে দুবাই থেকে সিলেটগামী যাত্রীদের (যারা এমিরাটসের মাধ্যমে লন্ডন থেকে দুবাই হয়ে সিলেট যাবেন) আগামীতে এ ধরনের বিরক্তিকর অভিজ্ঞতার সন্মুখিন হতে না হয়।

লেখকঃ
সৈয়দ আবুল মনসুর লিলু
রাজনীতিক, ব্যবসায়ী এবং ফ্রীলেন্স সাংবাদিক

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT