1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
ফেইচবুক ব্যবহারে চৌর্য্যবৃত্তি, মূল্যবান সময় নষ্ট, কিভাবে এ অপবৃত্তি বন্ধ করা যায়? - মুক্তকথা
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৫২ পূর্বাহ্ন

ফেইচবুক ব্যবহারে চৌর্য্যবৃত্তি, মূল্যবান সময় নষ্ট, কিভাবে এ অপবৃত্তি বন্ধ করা যায়?

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : বুধবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৮
  • ২৯৯ পড়া হয়েছে

কে একজন তার ফেইচবুকে খুব গর্বভরে লিখেছেন ভারতে ৪০কোটি মুসলমান থাকার পরও অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ও রামমন্দির নির্মাণের ভোটে বাবরি মসজিদ পিছিয়ে পড়েছে। অতি বিনয়ে অনুরোধ করেছেন যে যত পারেন তার ফেইচবুকে লাইক দিতে এবং অন্য বন্ধুর কাছে বিষয়টি পাঠাতে। তার অনুনয় বিনয়ে বুঝা যায় যে এখানে তার বিশাল এক লাভ-ক্ষতির বিষয় জড়িত। ‘লাইক’ ব্যবসার সারথিরা ‘লাইক’ পাওয়ার নিরন্তর খোঁজে এমনসব ধর্মীয় বিষয়কে বাছাই করেন,  তারা ভাল করেই বুঝেন যে  অনেক নিরীহ মানুষ অজ্ঞতাবশতঃ ধর্মভয়ে লাইক দেবেই দেবে। এবং তারা তাদের কাঙ্ক্ষিত ‘লাইক’ পেতে সকল ক্ষেত্রে সফল না হলেও বেশীরভাগই লাভবান হন। কিন্তু তারা একটি বিষয় তাদের অজ্ঞানতার কারনে বুঝেন না। অথবা বুঝেও স্বীয় স্বার্থে বৃহত্তর সমাজ স্বার্থকে পদদলিত করে ‘লাইক’ পাওয়ার জন্য অন্যায় জেনেও এগিয়ে যান। ধর্মের এমন অপব্যবহারের কারণে অনেক সময় সত্য কোন বিষয়কে সাধারণ মানুষের সমর্থন পাওয়া থেকে বঞ্চিত করেন।
ভারতে ৪০কোটি মুসলমানের এই হিসাবটি আমার জানা নেই। তিনি কোত্থেকে পেয়েছেন তার কোন সূত্র সেখানে দেননি। তবে ধরেই নিতে পারি, বোঝে হোক আর না বুঝেই হোক তিনিইসলামের একজন প্রচারকারী। সুতরাং দুনিয়ার যেকোন যায়গায় মুসলমানের সংখ্যা বেশী দেখাতে না পারলে তার দুনিয়া জয় হবে না। সে সত্য হোক আর মিথ্যা হোক, এটি তাকে বলতেই হবে।
শুধু ইসলাম নিয়েই নয়, এরও কিছুদিন আগে আরেকটি ফেইচবুকে দেখলাম হুবহু একই ধরনের প্রচার হিন্দু ধর্ম নিয়ে। একই ব্যক্তিদের নাম, শুধু ইসলামের জায়গায় হিন্দুধর্ম বসানো। হিন্দু- মুসলমান এ দুই প্রচারকারী যারা, তাদের বিশ্বাস, এভাবে কিছু সত্যের সাথে কিছু মিথ্যা মিশিয়ে দিলেন। তাদের মনের ভাব এমন যে, ধর্মের কারণেইতো তারা করছেন। সুতরাং এই মিথ্যাচারে কোন পাপ বা ক্ষতি নেই। তিনিতো ধর্মেরই কাজ করছেন। হতে পারে এ ধরনের একটি সহজ সরল চিন্তা থেকে তারা এ নমুনার প্রচার হয়তো করেছেন। আবার কিছু কিছু অল্পবিদ্যা ভয়ঙ্করের দল আছেন যারা অর্থের বিনিময়ে বলতে গেলে ব্যবসার মতই এ নমুনার কিছু প্রচারণা চালিয়ে যান। বিনিময়ে তারা হয়তো আর্থিক লাভবান হন।
এসব নিরীহ প্রচারকারীদের কথা বাদ দিয়ে এদের যারা প্রচারের জন্য নিয়োগ করেন তারা নিশ্চয়ই কিছুটা লেখা-পড়া করে ধর্ম বিষয়ে কিছু জ্ঞানার্জন করে তবেই প্রচার কাজের দায়ীত্ব নিয়ে থাকেন। তারা কি একবারও ভেবে দেখার বিষয় বলে মনে করেন না যে, এসব মিথ্যা বানোয়াট তথ্য দিয়ে কোমলমতি শিশু-কিশোর থেকে বৃদ্ধ-যুবা-যুবতিদের ধাপ্পা দিয়ে স্ব স্ব ধর্মের পথে আনতে যাওয়া যে একটা দূর্ণীতি? না-কি তারাও হিটলারের গোয়েবল্সের মত বিশ্বাস করেন যে- একটা মিথ্যাকে বার বার বললে, সাধারণ মানুষের কাছে তা একসময় সত্য বলে মনে হবে। তাদেরতো ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে একজন মানুষকে বা একটি জনগোষ্ঠীকে সাময়িক সময়ের জন্য ধোকা দেয়া যায় বটে; তবে সারা জীবনের জন্য কোন মানুষকে বা জনগোষ্ঠীকে বোকা বানানো যায় না। বরং মিথ্যার মুখোশ যখন খসে পড়ে সত্যি বেরিয়ে আসে তখন মিথ্যার প্রচারকারীদের মুখ লুকাতে হয়।
ওই ব্যক্তি তার ফেইচবুকে যে বর্ণনা দিয়েছেন তা অনেকটা এভাবে- লণ্ডন থেকে শুরু করে বার্মিংহাম, লুটন, অক্সফোর্ড, শেফিল্ড, ওল্ডহাম, লিডস, রচডেইল এবং ব্ল্যাকবার্ণ এ ৯টি শহরের মেয়র না-কি একেকজন মুসলমান। বৃটেনে ৬কোটী ৬০লাখ মানুষের মধ্যে মাত্র ৩০লাখ মুসলমান বলে তিনি তার মনের আক্ষেপের কথা শুনিয়েছেন। অন্য একটি ফেইচবুকে দেখেছি, বৃটেনে মুসলমান ৪০লাখ। তাদের প্রচারের ভাষা তরজমা করে বাংলায় দাঁড়ায়-
খ্যাতিমান লেখক, রুশীয় সাহিত্যিক লিও টলষ্টয়  বলেছিলেন- “ইসলাম পৃথিবী শাসন করবে”। তিনি তার কারণও বলেছিলেন যে ইসলামে জ্ঞান ও বিচক্ষণতা রয়েছে।
আবারো ইসলামের কার্য্যকারীতার আগ পর্যন্ত কত যে প্রজন্ম নির্যাতন নিষ্পেষণ ভোগ করবে এবং জীবন দেবে তা সঠিক করে বলা যায় না তবে কোন একসময় সারা বিশ্ব এই ইসলামের উপর নজর দেবে আর তখন থেকেই বিশ্বে শান্তি নেমে আসবে এবং সেদিন থেকে আবার মানুষ জন্ম নেবে। বলেছিলেন- ইংলিশ লেখক ও গল্পকার হার্বার্ট জর্জ ওয়েলস
মুসলমানগন তাদের নিজের বুদ্ধি ও সজ্ঞানতা থেকেই এটি করতে পেরেছে যা জিউসগন করতে পারবে না। ইসলামের এ ক্ষমতাই শান্তির দিকে নিয়ে যাবে। বলেছিলেন আলবার্ট আইনস্টাইন
আমেরিকার লেখক বুদ্ধিজীবী হাষ্টন কিউমিংস স্মীথ বলেছিলেন, আমরা যা বিশ্বাস করি তার চেয়েও বেশী বিশ্বাস করা যায় যা আছে এ বিশ্বে তা হলো ‘ইসলাম’। আমরা যদি আমাদের মন ও হৃদয়কে এর জন্য খোলে দেই তাহলে আমাদেরই মঙ্গল। এখানেই শেষ নয়। তিনি আরো লিখেছেন-
ফরাসী লেখক ও জ্যোতিষী মিশেল দ্য নোস্ট্রাদাম(নোস্ট্রাদামাস) বলেছিলেন, ইউরোপের শাসক ধর্ম হবে ইসলাম এবং ইউরোপের কোন একটি ইসলামী রাষ্ট্রের রাজধানী হবে নামী দামী শহর।
আমি পড়েছি এবং বুঝতে পেরেছি একমাত্র  ইসলামই সারা বিশ্বের সকল মানুষেরই ধর্ম হতে পারে। ইউরোপের সর্বত্র ইসলাম সম্প্রসারিত হবে এবং মহা ইসলামী চিন্তাবিদের আবির্ভাব ঘটবে এই ইউরোপে। এমন এক দিন আসবে যখন ইসলামই হবে বিশ্বের একমাত্র শক্তিদাতা। বলেছিলেন মহাজ্ঞানী বার্ট্রেণ্ড রাসেল
আইরিশ লেখক গল্পকার রাজনীতিক জন বারনার্ড শো বলেছিলেন সারাবিশ্ব একদিন ইসলামকেই তাদের ধর্ম বলে গ্রহন করবে। যদি কোন কারণে মূল নামে ইসলামকে গ্রহন না-ও করতে পারে তার পরও অন্ততঃ রূপক হিসেবেও না হয়  গ্রহন করবে। পশ্চিম একদিন ইসলামকে গ্রহন করবেই এবং ইসলাম হবে পড়ুয়াদের ধর্ম। হুবহু একই বক্তব্য দিয়ে অন্য একটি ফেইচবুকে দেখেছি ওই একই প্রচার তবে সেখানে কেবল ‘মুসলমানের সংখ্যা’ শব্দ দু’টির স্থলে ‘হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা’ শব্দ কয়টি বসানো।
বেশ আগে আলবার্ট আইনস্টাইন ও বার্ট্রেণ্ড রাসেলকে নিয়ে বন্ধু-বান্ধবদের গল্পে শুনেছিলাম তারা কোন ধর্মেই বিশ্বাস করতেন না। বার্ট্রেণ্ড রাসেল সম্পর্কে পুরো উল্টো কাহিনী শুনেছিলাম। মৃত্যু শয্যায় একজন সাংবাদিক তাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন স্রষ্টা সম্ভন্ধে তার ধারনা বলতে। তিনি না-কি বলেছিলেন স্রষ্টাকে কে সৃষ্টি করেছে? মূলতঃ বার্ট্রেণ্ড রাসেল অলিক স্বর্গীয়বাদে বিশ্বাসী ছিলেন না। বৌদ্ধ ধর্মকে তিনি বরং অনেকটা যৌক্তিক মনে করতেন।
কিছু বই আর ইন্টারনেটে অনেক সময় কাটিয়ে এদের কোনটিরও বিশ্বাসযোগ্য কোন হদিস করতে পারিনি। বরং বলতে হয় অকাজে মূল্যবান সময় নষ্ট করেছি। এ হলো ফেইচবুকের একদিক। ভিন্নদিকও আছে যা নিয়ে পরে আলোচনা করা যাবে।

হারুনূর রশীদ
লণ্ডন বুধবার
২৯শে আগষ্ট ২০১৮সাল

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT