1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
২০১৮ সালে বিচারবহির্ভুত খুন ৪৬৬জন, ধর্ষণ ৭৩২জন, ৪৪৪ শিশুকিশোরকে ধর্ষণ ও যৌণহয়রানী - মুক্তকথা
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৬:৫৩ অপরাহ্ন

২০১৮ সালে বিচারবহির্ভুত খুন ৪৬৬জন, ধর্ষণ ৭৩২জন, ৪৪৪ শিশুকিশোরকে ধর্ষণ ও যৌণহয়রানী

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : সোমবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০১৯
  • ৯০২ পড়া হয়েছে

মুক্তকথা সংবাদ।। এই গেলো বছর অর্থাৎ ২০১৮সালে বাংলাদেশে বিচারবিহীন হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা ৪৬৬জন। এদের কেউ কেউ মারা গেছেন পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় আবার কেউ কেউ মারা গেছেন বন্দুকযুদ্ধে। এ সংখ্যা বিগত বছরের তুলনায় প্রায় ৩গুণ বেশী বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে কাজকরা সংস্থা “আইন ও শালিস কেন্দ্র”। গেল বৃহস্পতিবার তারা এ বর্ণনা(রিপোর্ট) প্রকাশ করে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাথে এক সংবাদ সম্মেলনে। প্রকাশিত তাদের বর্ণনায় দেখা যায়, সারা দেশব্যাপী ৪৬৬জনের মাঝে ২৯২জন মারা গেছেন বিগত ৪ঠা মে ২০১৮ তারিখ থেকে শুরু করা মাদকবিরুধী অভিযানে। তাদের দেয়া ওই বিবরণে আরো বলা হয় যে, মাদক বিরোধী অভিযানে এই বিচারবহির্ভুত হত্যাকাণ্ড ভয়ঙ্কর নতুন এক মাত্রা পায়।

মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা অপর একটি প্রতিষ্ঠান “অধিকার”এর পরিসংখ্যানে আরো ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠেছে। ওখানে দেখা যায়, ২০১৮সালে ১লা জানুয়ারী থেকে নভেম্বর মাসের ৩০তারিখ পর্যন্ত বিচারবিহীন হত্যাকাণ্ডের পরিমান আছে ৪৫৬জন। সেখানে ধারাবাহিক ২০০১সাল থেকে সংখ্যা যা দেখানো হয়েছে তা হলো- ২০০১সালে বিচারবিহীন হত্যা ৪৪জন, ২০০২সালে ৮৩জন, ২০০৩সালে ৮১জন, ২০০৪সালে এক লাফে  বিচার বিহীন হত্যার সে সংখ্যা দাড়ায় ২৪০জনে। ২০০৫সালে সে সংখ্যা কিছুটা নেমে হয় ৩৯৬জন। ২০০৬সালে ৩৫৫জন, ২০০৭সালে আবার কিছুটা নেমে গিয়ে দাড়ায় ১৮৪জনে। এরপর ২০০৮সালে কিছুটা কমে গিয়ে সংখ্যা হয় ১৪৯জন। ২০০৯সালে ১৫৪জন, ২০১০সালে ১২৭জন, ২০১১সালে ৮৪জনে নেমে আসে। ২০১২সালেও আরো একটু নেমে গিয়ে ৭০হয়। ২০১৩সালে আবার এক লাফে সে সংখ্যা ৩২৯জনে দাড়ায়। এরপর ২০১৪সালে ছিল ১৭২জন, ২০০১৫সালে ছিল ১৮৬জন, ২০১৬সালে ছিল ১৭৮জন এবং ২০১৭সালে মোট ১৫৫জনকে বিচারবহির্ভুতভাবে  হত্যা করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলার সময় “আইন ও সালিশকেন্দ্র”এর নির্বাহী পরিচালক শিফা হাফিজা,  একটি ‘বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন’ গঠন করে এই বিচার বহির্ভুত হত্যা ও বলপ্রয়োগে গায়েব করে দেয়ার মত দুঃসপ্নের ঘটনাগুলোর বিচারের ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের প্রতি দাবী জানান। তিনি আরো দাবী জানান এই বলে যে সরকারের উচিৎ বলপ্রয়োগে উদাও করে দেয়া মানুষজনদের জরুরী ভিত্তেতে উদ্ধার করা এবং “বলপ্রয়োগে উদাও করে দেয়া সকল মানুষের নিরাপত্তার  আন্তর্জাতিক সম্মিলনী” তে সই করার জন্য।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ার কাজী রিয়াজুল হকের কাছে এই বিচারবহির্ভুত হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকেন। তবে তিনি একথা বলেন যে, আমাদের সমাজে বিচার বহির্ভুত কোন হত্যাকণ্ডই গ্রহনযোগ্য নয়। বিভিন্ন সংগঠনের এসব সংক্রান্ত সকল বিবরণ  তদন্ত করে দেখার  জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছেন কিন্তু আজ অবদি কোন লিখিত  উত্তর পাননি বলে তিনি জানান।

প্রাক্তন “তত্ত্বাবধায়ক সরকার”এর উপদেষ্টা হাফিজ উদ্দীন খান এ বিষয়ে বলেন, বিপুল সংখ্যায় এই বিচারবহির্ভুত হত্যাকাণ্ড প্রমাণ করে দেশে ও সমাজে  আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানগুলির মাঝে  আইনের শাসন ও জবাবদিহিতার অনুপস্থিতি রয়েছে।  তিনি শতর্কবাণী উচ্চারণ করে বলেন, বিচারবিহীন হত্যাকাণ্ড যখন জবাবদিহি ছাড়াই পাড় পেয়ে যায় সেখান থেকেই সমাজে উগ্রবাদ বা সন্ত্রাসবাদের জন্ম নেয়, এবং তখন আর মানুষের নিরাপত্তা থাকে না।
“আইন ও শালিস কেন্দ্র”এর জ্যেষ্ঠ সমন্বয়ক আবু আহমদ ফয়জুল কবির, ২০১৮সালে এ অবস্থাকে গুরুতর আশংকাজনক বলে অভিহিত করেন। এই বিচারবিহীন হত্যাকাণ্ড ছাড়াও ২০১৮সালে ৩৪জন মানুষকে বলপ্রয়োগে উদাও করে দেয়া হয়। পরে ১৯জনের খোঁজ পাওয়া যায়। তাদের অধিকাংশকেই পরে অপরাধমূলক মামলায় জেলে পাঠানো হয়। তিনি আরও বলেন, ২০১৮সালে ৭৩২জন মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়, তাদের ৬৩জনকে ধর্ষণের পর  হত্যা করা হয় এবং ৭বিষপানে আত্মহত্যা করে।
ফয়জুল আরো বলেন, এসব ছাড়াও ২০১৮সালে ১,০১১জন শিশু কিশোরকে হিংস্রভাবে অত্যাচার করা হয়। তাদের মাঝে ৪৪৪জনকে ধর্ষণ ও যৌণনির্যাতন করা হয়। একই সময়ে ২৮৩জন শিশু-কিশোর মারা যায়, ১০৮জন বিষপান করে এবং ২৮জন রহস্যজনকভাবে মৃত্যুবরণ করে। ভোটের সময় ৪৭০টি ঘটনার বিবরণ লিপিবদ্ধ রয়েছে; এসময় ৩৪জন মানুষ মারা যায়।
হতভাগ্য এসব মানুষের মাঝে ১৯জন আওয়ামী রাজনীতির মানুষ ছিলেন, ৪জন ছিলেন বিএনপি রাজনীতির মানুষ, একজন আনসার সদস্য এবং ১০জন সাধারণ মানুষ ছিলেন।
তিনি বলেন, ২০১৮সালে ‘ডিজিটেল সিকিউরিটি এ্যাক্ট’ সংসদে পাশ হয়েছে। ভয় আছে যে এ ধারা মানুষের কথা বলার অধিকার হরণে কাজে লাগানো যাবে। এ সংবাদ  সম্মেলনে আইন ও শালিস কেন্দ্রের নির্বাহী সদস্য তাহমিনা রহমান ও পরিচালক  নিনা গোস্বামী উপস্থিত ছিলেন।

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT