1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
ভয়ঙ্কর তথ্যবিকৃতি ও বিশেষ মানবগোষ্ঠীর ধর্মাচরণকে ঈর্ষা ও হিংসার চোখে দেখা - মুক্তকথা
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:২১ অপরাহ্ন

ভয়ঙ্কর তথ্যবিকৃতি ও বিশেষ মানবগোষ্ঠীর ধর্মাচরণকে ঈর্ষা ও হিংসার চোখে দেখা

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : শনিবার, ১৩ জুলাই, ২০১৯
  • ১৮২ পড়া হয়েছে

গ্র্যান্ড মুফতি সাদিক আল-ঘারিয়ানি

মুক্তকথা সংবাদকক্ষ।। লিবিয়ার গ্র্যান্ড মুফতি সাদিক আল-ঘারিয়ানি একবার ওমরাহ ও হজ পালনের ব্যাপারে মুসলিম উম্মাহর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, অধিক হজ পালনের মাধ্যমে সৌদি সরকারকে আর্থিক সমর্থন করা হয়। সৌদি আরবের অপরাধযজ্ঞ বন্ধ করতে মুসলমানদের কয়েকবার হজ করা থেকে বিরত থাকা উচিত। তিনি বলেন, হজ থেকে আয় করা রাজস্ব মুসলমানদের বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটনে ব্যয় করে সৌদি সরকার।
মুফতি সাদিক আল-ঘারিয়ানি বলেন, “মুসলমানদের জীবনে হজ একবার ফরজ, সেটা আদায় করলেই চলে। যেসব মানুষ দ্বিতীয়বার হজে যাবেন বা ঐচ্ছিক উমরাহ করবেন তিনি সওয়াব অর্জনের বদলে গুনাহ করবেন। কারণ এই খাত থেকে অর্জিত অর্থ সৌদি সরকার মুসলমানদের বিরুদ্ধেই ব্যবহার করছে।”
লিবিয়ার ইয়ান টেলিভিশন চ্যানেলে দেয়া বক্তৃতায় মুফতি সাদিক আল-ঘারিয়ানি তার এই ফতোয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে বলেন, “হজ থেকে অর্জিত অর্থ সৌদি সরকার আমাদের বন্ধু মুসলমানদের বিরুদ্ধে অপরাধযজ্ঞে ব্যবহার করে থাকে। তারা এই অর্থ ইয়েমেন, সুদান, লিবিয়া, তিউনিশিয়া ও আলজেরিয়ার মুসলমানদের বিরুদ্ধে খরচ করছে।”
জাতীয়তার ওপর ভিত্তি করে প্রতিজন হাজিকে হজের জন্য হাজার হাজার ডলার খরচ করতে হয়। হজ ও উমরাহ থেকে প্রতিবছর সৌদি আরব তার জিডিপির শতকরা ২০ ভাগ অর্থ আয় করে থাকে। বার্তাসংস্থা ইকনা গত ২৯শে এপ্রিল এ খবর দিয়েছে।

অথচ এই খবরটিকেই কিছু শব্দের বেড়াজালে মুড়ে কয়েকটি অনলাইন সংবাদ মাধ্যম যে নমুনায় প্রকাশ ও প্রচার করেছেন তা রীতিমত ভয়ঙ্কর রূপের তথ্যবিকৃতি ও একটি বিশেষ জাতিগোষ্ঠীর ধর্মাচরণকে ঈর্ষা ও হিংসার চোখে দেখা। একটি গণমাধ্যম শিরোনাম দিয়েছে-“সৌদিতে হজ বয়কটের আহ্বান জানালেন বিভিন্ন মুসলিম দেশের আলেম-ওলামাগন।” যা সত্যের পুরোপুরি বিকৃতি। ১১ই জুলাই তারিখে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে প্রতিবছর হ্জ্ব পালনার্থীদের সংখ্যার কথা উল্লেখ করে লিখা হয় যে, মুসলিম দেশের আলেম-ওলেমাগন সৌদিতে গিয়ে হজ্ব বয়কটের আহ্বান জানিয়েছেন। অথচ কি কারণে এই হজ্বের বিষয় নিয়ে কি আহ্বান জানিয়েছেন মুসলমান জ্ঞানী-গুণীজন তারও এক ব্যাখ্যা উপরে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রাপ্ত সে ব্যাখ্যা থেকে জানা যায় যে, লিবিয়ার মহামুফতি(গ্রেন্ড মুফতি) সাদিক আল ঘারিয়ানি বলেছেন-যেসব মুসলমান দ্বিতীয় বারের মতো হজ্ব পালনে যাবেন, তারা ‘পূণ্যের বদলে পাপের ভাগীদার’ হবেন।

আল আরাবি সংবাদপত্র আল-ঘারিয়ানিকে উদ্ধৃত করে লিখেছে, ‘হজ্ব করতে যাওয়া মানে অন্য এক মুসলিম ভাইয়ের সাথে অপরাধ করতে সৌদি আরবকে সহায়তা করা’। বিভিন্ন সময়ে মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠ দেশ ইয়েমেন, লিবিয়া, সুদান, তিউনিশিয়া ও আলজেরিয়ায় অভিযান চালিয়েছে সৌদি সমর্থিত সেনা জোট।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের তথ্যানুযায়ী আরো জানা যায় যে, সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের আগ্রাসনে ইয়েমেনে ৪ বছরে কমপক্ষে ৭০হাজার মানুষ মারা গেছেন। দুর্ভিক্ষের মুখে আছে আরো প্রায় দেড়কোটি মানুষ।
জার্মান সংবাদ মাধ্যম ‘ডয়েচে ভেলে’র প্রচারিত এই খবর বিভিন্ন সংবাদ ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
এখন পর্যন্ত সারা বিশ্বে মানুষের সবচেয়ে বড় মিলন মেলা হলো মুসলমানদের হজ্ব। প্রতিবছর বিশ্বের প্রায় ২০ থেকে ২২লাখ মানুষ সৌদিতে গিয়ে হজ্বব্রত পালন করেন। আধুনিক বিশ্বে এর চেয়ে বড় মানবসম্মিলনী আর নেই।

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT