1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
কমলগঞ্জের চিঠি - মুক্তকথা
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫৭ অপরাহ্ন

কমলগঞ্জের চিঠি

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : বৃহস্পতিবার, ২২ আগস্ট, ২০১৯
  • ২৯৫ পড়া হয়েছে
লিখেছেন- প্রনীত রঞ্জন দেবনাথ

কমলগঞ্জে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় এনজিও নারী কর্মীর মৃত্যু

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় এনজিও কর্মী তরুনীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। জানা যায়, রোববার বিকাল পৌনে ৫টার দিয়ে কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুরস্থ গুড নেইবারস বাংলাদেশ মৌলভীবাজার সিডিপির স্বেচ্ছাসেবী কর্মী লিজা আক্তার (২২) সহকর্মীর মোটরসাইকেলের পিছনে বসে মাঠের কাজ শেষে অফিসে আসার পথে আদমপুর-কোনাগাঁও সড়কে দ্রুতগতির চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে সিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়। আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। নিহত লিজা আদমপুর ইউনিয়নের আদকানী গ্রামের তজই মিয়ার মেয়ে।গুড নেইবারস বাংলাদেশ মৌলভীবাজার সিডিপির ব্যবস্থাপক জন বিগ্রেন মল্লিক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। আদমপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবদাল হোসেন বলেন, লিজা বেসরকারী সংস্থার স্বেচ্ছাসেবী ছাড়াও মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের অনার্স ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল।

সিলেট বিভাগীয় যোগী সম্মিলনীর আহবায়ক কমিটি গঠিত

ডা: দিগেন্দ্র আহবায়ক ও এড. কানাই সদস্য সচিব

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার টিকরিয়া গ্রামে মনতোষ দেবনাথের বাড়িতে গত ১৯ জুলাই শুক্রবার দুপুর ১ ঘটিকায় সিলেট বিভাগ যোগী সম্মিলনীর এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। এলাকার প্রবীন মুরব্বী দক্ষিণ বালিশিরা দেবনাথ সমাজের সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক গোপিকা রঞ্জন দেবনাথ সভাপতিত্বে এবং সিলেট বিভাগীয় যোগী সম্মিলনীর সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট কানাই লাল দেবনাথ ও শিক্ষক জয়ন্ত কুমার দেবনাথের স ালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট বিভাগীয় যোগী সম্মিলনীর সিনিয়র সহ সভাপতি, প্রবীন শিক্ষাবিদ দেবেন্দ্র দেবনাথ। সভায় সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও সিলেট জেলার প্রতিনিধিবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন। উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তাগন সামাজিক উন্নয়ন, ধর্মীয় বিষয়াদি ও শিক্ষা দীক্ষার উপর জোর দেন।
সভায় ব্যাপক আলাপ আলোচনা শেষে ডাঃ দীগেন্দ্র দেবনাথ-কে আহবায়ক ও এডভোকেট কানাই লাল দেবনাথ-কে সদস্যসচিব করে সিলেট বিভাগের চার জেলার প্রতিনিধি নিয়ে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট সিলেট বিভাগীয় যোগী সম্মিলনীর একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। সবশেষে উপস্থিত সকলকে অন্নপ্রসাদে আপ্যায়িত করা হয়।
এদিকে আগামী ২রা আগষ্ট রোজ শুক্রবার সকাল ১০ ঘটিকায় মৌলভীবাজার সদর উপজেলার দুঘর গ্রামের ননীগোপাল দেবনাথ এর বাড়ির আঙ্গিনায় মৌলভীবাজার জেলা যোগী সম্মিলনীর কমিটি গঠনকল্পে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় মৌলভীবাজার জেলার ৭টি উপজেলার প্রতিনিধিরা যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।

কমলগঞ্জে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত বিথীর উচ্চশিক্ষিত হওয়ার স্বপ্নে প্রতিবন্ধকতা, আর্থিক অনটন

চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী মরিয়ম সিদ্দিকা বিথী উচ্চশিক্ষিত হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। তবে পরিবারের অভাব অনটন তার উচ্চ শিক্ষায় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি তার মনে হতাশার জন্ম দিয়েছে। বিথী এ বছর শমশেরনগর সুজা মেমোরিয়াল কলেজ থেকে ব্যবসা শিক্ষা শাখায় জিপিএ-৫ লাভ করে। সে এই কলেজ থেকে এবারে একমাত্র জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী। বাবা শাহাদত হোসেন সিএনজি অটোরিক্সা চালক ও মা খুশবা বেগম গৃহিনী। দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে বিথী মেজো।
মরিয়ম সিদ্দিকা বিথী জানায়, আমি ৫ম, ৮ম ও এসএসসিতে ভালো ফলাফল লাভ করি। মা বাবা ও শিক্ষকদের সহযোগিতোয় এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছি। আমার ইচ্ছা সু-শিক্ষক হওয়া। তবে বাবার উপার্জিত আয় দিয়ে উচ্চ শিক্ষা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।
বিথীর বাবা শাহাদত হোসেন বলেন, বর্তমানে অভাব অনটনে সন্তানদের পড়াশুনা চালিয়ে নেয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। সুজা মেমোরিয়াল কলেজের ব্যবসায় শিক্ষা শাখার বিথীর শিক্ষক জমশেদ আলী বলেন, সে ক্লাসেও পড়াশুনায় খুবই ভালো ছিল। এবছর উপজেলায় ১১৯টি জিপিএ ৫ এর মধ্যে শমশেরনগর বিএএফ শাহীন কলেজে ১১৮টি আর গোটা উপজেলার মধ্যে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত একমাত্র শিক্ষার্থী বিথী।

কমলগঞ্জে অবরুদ্ধ স্কুলগামী শিক্ষার্থীসহ ৬পরিবার

বাড়ি থেকে বের হওয়ার যৌথ রাস্তা জবরদখলের অভিযোগ

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মুন্সীবাজার ইউনিয়নের বনবিষ্ণুপুর গ্রামে দীর্ঘ কয়েক দশকের ব্যবহৃত যৌথ রাস্তাটি প্রতিপক্ষের লোকজন কর্তৃক জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে। ফলে স্কুলগামী শিক্ষার্থীসহ ৬টি পরিবারের সদস্যরা বাড়ি থেকে বের হতে না পারায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়ছেন। ভুক্তভোগি তোতা মিয়াসহ ৬ ব্যক্তি এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বনবিষ্ণুপুর গ্রামের গরিব, দিনমজুর তোতা মিয়া, নূর মিয়া, আলতা মিয়া, আজাদ মিয়া, বাবুল মিয়ার পূর্ব পুরুষদের সময়কাল থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বর্তমানে বাড়ির রাস্তাটি জবর দখল করে নেন পার্শ্ববর্তী বাড়ির ময়না মিয়া, ফজই মিয়া, জয়নাল মিয়া, জলাল মিয়া। কয়েকটি পরিবারের ব্যবহৃত রাস্তাটি পার্শ্ববর্তী খিরনী নদীর পারের সাথে সংযুক্ত ছিল। বর্তমানে প্রতিপক্ষের লোকেরা রাস্তাটিতে গর্ত করে ও বেড়া দিয়ে জবরদখলে নিয়েছে। ফলে বাড়ির স্কুল পড়–য়া শিশু শিক্ষার্থীসহ অন্যান্য সদস্যরা বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না। ২০১৭ সনের ১১ অক্টোবর মুন্সীবাজার ইউনিয়ন পরিষদের সামাজিক বৈঠকে চেয়ারম্যানের নির্দেশনা মোতাবেক দখলদার ময়না মিয়া, ফজই মিয়া, জয়নাল মিয়া, জলাল মিয়া রাস্তাটি চলাচলের উপযোগি করে দেয়ার অঙ্গীকার করলেও এখন পর্যন্ত রাস্তাটি বেদখল রয়েছে।
গ্রামের ভূক্তভোগী বাবুল মিয়া, তোতা মিয়া, নূর মিয়া বলেন, দখলদাররা কারো কথা শুনেন না। ফলে শত বছর ধরে আমাদের পূর্ব পুরুষদের ব্যবহৃত নিজেদের মালিকানাকৃত রাস্তার ভূমি দখলে নিয়ে খাদ তৈরি করে পানিতে আটকে রেখেছে। বর্তমানে আবার গাছ লাগিয়ে রাস্তার অস্থিত্ব বিলীন করার পায়তারা চালাচ্ছে। এসব কারনে আমাদের পরিবারের মহিলা, রোগী ও ছাত্ররা বাড়ি থেকে বের হতে পারছে না বলে দাবি করছেন। গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দারাও বাড়ির যৌথ রাস্তার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এটি তাদের পূর্ব পুরুষদের সময় থেকে ব্যবহৃত রাস্তা। বর্তমানে প্রতিপক্ষ জবর দখল করে নিয়েছে।
অভিযোগ বিষয়ে জয়নাল মিয়া, ময়না মিয়াসহ অন্যদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে কথা বলা যায়নি। পরে তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনেও কয়েক দফা (০১৭২৫৯৮৯৯৫৮, ০১৭৪৬২৭৫৪৬০) ফোন করেও কেউ রিসিভ করেননি।
মুন্সীবাজার ইউপি সদস্য সফিকুর রহমান পূর্বসূরীদের যৌথ রাস্তা বেদখল হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি সামাজিকভাবে সমাধা করে দেয়া হলেও দখলকাররা সেটি মানেনি। এখনও রাস্তায় তারা গাছ রোপন করছে। ফলে ছয়টি পরিবারের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে।
কমলগঞ্জ উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাসরিন চৌধুরী বলেন, অভিযোগের বিষয়ে সরকারি ভূমি থাকলে ভূমি অফিসের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেয়া যেত। তারপরও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

কমলগঞ্জে ছেলে ধারা আতংকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে গেছে ॥ পুলিশ প্রশাসনের মাইকিং

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় ছেলে ধরা আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। ছেলে ধরা আতংকের কারনে স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসাসমুহে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে গেছে। ইতিমধ্যে ছেলে ধরা সন্দেহে কমলগঞ্জের দেওরাছড়া চা বাগানে অঞ্জাতনামা ১ বৃদ্ধকে গণ পিটুনি দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। কমলগঞ্জ থানা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে আইন নিজের হাতে তুলে না নেয়ার জন্য প্রচারনা চালানো হয়েছে। প্রচারনার পর উপজেলার পৃথক ২টি স্থান থেকে ২ যুবককে ছেলে ধরা সন্দেহে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেছে এলাকাবাসী।
ছেলে ধরা আতংক ছড়িয়ে পড়ার কারনে কমলগঞ্জ উপজেলার সর্বত্র স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসাসমুহে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার আশংকাজনক হারে কমে গেছে। যে সব শিক্ষার্থীরা স্কুল-মাদ্রাসা ও কলেজে যাচ্ছেন তাদের সাথে পরিবারের বয়োজেষ্ট্য কেউ না কেউ সাথে থাকছেন। এদিকে বেশী বিপাকে পড়েছে দিন-মজুর ফেরী ওয়ালারা, যারা নাকি বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ফেরী করে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করে থাকেন এবং যারা ভ্রাম্যমান ভাবে বাড়ীর বিভিন্ন কাজ করে থাকেন। তারা এখন প্রায় বেকার সময় অতিবাহিত করছেন। যাদের বিশেষ কোন পরিচিতি নাই তারা তাদের বাসস্থান থেকে এলাকার বাহির হচ্ছেন না।
কমলগঞ্জ থানার ওসি আরিফুর রহমান জানান, থানা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলাব্যাপী আইন নিজের হাতে তুলে না নেয়ার জন্য মাইকিং করে প্রচারনা করে জনগণকে সচেতন করা হয়েছে। তিনি বলেন, গণপিটুনী একটি ফৌজদারী অপরাধ।

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT