1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
আরো বিনিয়োগের জন্য ভারতীয় ব্যবসায়ীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুরোধ - মুক্তকথা
মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৯:৩৯ পূর্বাহ্ন

আরো বিনিয়োগের জন্য ভারতীয় ব্যবসায়ীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুরোধ

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : শুক্রবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৯
  • ২৬২ পড়া হয়েছে

মুক্তকথা সংবাদ।। বাংলাদেশে আরো বিনিয়োগের জন্য ভারতীয় ব্যবসায়ীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুরোধ জানিয়েছেন। গত শুক্রবার, ভারত-বাংলাদেশ ব্যবসায়ী ফোরামের উদ্বোধনী অধিবেশনে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ অনুরোধ জানান। তিনি উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের প্রতিও নিজ নিজ দেশ ও মানুষের স্বার্থে কাজ করার জন্য আহ্বান জানান।

গত বৃহস্পতিবার ৪দিনের সফরে প্রধানমন্ত্রী দিল্লী পৌঁছান। পরের দিন শুক্রবার দিল্লীর আইসিটি মৌর্য কামাল মহাল হলে আয়োজিত ব্যবসায়ী ফোরামের উদ্বোধনী সভায় তিনি যোগদেন।


বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারত সবচেয়ে ভাল সম্পর্ক উপভোগ করছে এমন কথার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকলকে ভারত-বাংলাদেশ ব্যবসায়ী ফোরামের প্লাটফর্মটির সর্বোত্তম ব্যবহার করতে এবং দু’দেশের মানুষের পারস্পরিক বৃহত্তর স্বার্থে উভয় দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখার অনুরোধ জানান। তিনি বলেন এর মাধ্যমে আমরা আমাদের দেশ ও এই অঞ্চলকে আরও সমৃদ্ধ এবং ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত করতে পারবো।
উপস্থিত ব্যবসায়ীদের উৎসাহ দিয়ে তিনি বলেন, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক নেতৃত্ব ব্যবসায়ীদের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সুনিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই ব্যবসায়ী প্লেটফর্মের পাশাপাশি দেশের সরকার ব্যবসায়ীদের সকল উদ্যোগ সফল করার জন্য সহায়তা প্রদানে পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে।
সারাদেশে একশ’ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার বাস্তবায়নের কাজ চলছে, যার মধ্যে প্রায় ১২টি তৈরি হয়ে গেছে। সেখানে ৪টি অঞ্চল ৩টি দেশের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠার কৌশলগত ভৌগলিক অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। দেশটিকে এই অঞ্চলের অর্থনীতির কেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে ব্যাপক সম্ভাবনার সৃষ্টি করেছে। উত্তরে চীন, পশ্চিমে ভারত এবং পূর্বদিকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া নিয়ে ৪ বিলিয়ন মানুষের বাজারের মাঝামাঝি রয়েছে বাংলাদেশ।


মংলা, ভেড়ামারা ও মিরসরাইয়ে ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের জন্য তিনটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রস্তুত করেছে বাংলাদেশ। নিশ্চিন্ত নির্বিঘ্নে সেখানে ভারতীয় ব্যবসায়ীগন বিনিয়োগ করতে পারবেন। একাজে সংসদের প্রাসঙ্গিক আইন এবং দ্বিপক্ষীয় বিনিয়োগ চুক্তির দ্বারা বিদেশি বিনিয়োগকে সুরক্ষা প্রদান করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা একসঙ্গে আরও বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ দেখতে চাই। যেখানে ভারতীয় বড় বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে শিল্প স্থাপন করতে এবং আমাদের মধ্যে বিদ্যমান উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার সুযোগ নিয়ে উত্তর ভারতের রাজ্যগুলো এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোতে পণ্য রপ্তানি করতে সক্ষম। প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে ভারতীয় ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে দেশে সবচেয়ে উদার বিনিয়োগ নীতি বলবত থাকার বিষয়টি পুনরায় স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে উদার বিনিয়োগের পরিবেশ বিরাজ করছে। যার মধ্যে রয়েছে-বৈদেশিক বিনিয়োগের আইনি সুরক্ষা, উদার রাজস্ব ব্যবস্থা, মেশিনপত্র আমদানির ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড়, নিষেধমুক্ত বের হয়ে যাবার কৌশল(আনরেসট্রিকটেড এক্সিট পলিসি), সম্পূর্ণ বিনিয়োগ ও পুঁজি নিয়ে চলে যাবার সুবিধাসহ নানাবিধ সুযোগ সুবিধা। সংসদের প্রাসঙ্গিক আইন এবং দ্বিপক্ষীয় বিনিয়োগ চুক্তির দ্বারাও বিদেশি বিনিয়োগকে সুরক্ষা প্রদান করা হয়েছে।’


সন্ত্রাস এবং দুর্নীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ১৬২ মিলিয়ন জনসংখ্যা সমন্বিত একটি প্রগতিশীল ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র।

দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার। ২০১৮ সালে, বাংলাদেশে ৮ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি করে ভারত এবং বাংলাদেশ ভারতের অষ্টম বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য। ভারতে আমাদের রপ্তানিও গত বছরের প্রথমবারের মতো ১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ভবিষ্যতে বাংলাদেশে পেঁয়াজসহ যে কোন পণ্যের রপ্তানি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত আগে থেকে জানানোর জন্য অনুরোধ জানান।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ভারতের শিল্প ও রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল, বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুন্সী, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)-ও সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, ভারতের কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রির (সিআইআই)-র সভাপতি বিক্রম শ্রীকান্ত কিরলসকার, ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফআইসিসিআই)-র সভাপতি সন্দীপ সোমনি অ্যাসোসিয়েটেড চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি অব ইন্ডিয়া’র সভাপতি বালকৃষ্ণ গোয়েঙ্কা।

শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক এযাবতকালের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছেছে। মোদিজি নিজে যাকে ‘সোনালী অধ্যায়’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, আমরা দৃঢ় আস্থাশীল যে ‘আগামী বছরগুলোতে আমরা এই সম্পর্ককে আরও নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারবো।

গত ১০ বছরে বাংলাদেশের ব্যাপক অর্থনৈতিক অগ্রগতির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ২০০৬ সালের ৫৪৩ মার্কিন ডলার থেকে ৩.৫ গুণ বেড়ে ২০১৯ সালে প্রায় ২০০০ মার্কিন ডলার দাঁড়িয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, রফতানি ২০০৫-০৬ সালের চেয়ে ৩ গুণ বেড়ে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে দাঁড়িয়েছে ৪০.৫৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

প্রাইস ওয়াটারহাউস কুপার্স-এর পরিসংখ্যান তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০৩০ সালের দিকে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের ২৯তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। এইচএসবিসি ২০১৮ সালে তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বের ২৬তম বৃহত্তম অর্থনীতি এবং দ্রুত বিকাশমান তিনটি অর্থনীতির একটি হবে। এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের আউটলুক ২০১৯ রিপোর্টের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশ হবে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীর অঞ্চলের দ্রুত বিকাশমান অর্থনীতি।

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT