1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
রক্ষণশীল যুদ্ধবাজরা ট্রাইডেন ব্যবহারের নতুন জায়গা খুঁজছে - মুক্তকথা
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৩৫ অপরাহ্ন

রক্ষণশীল যুদ্ধবাজরা ট্রাইডেন ব্যবহারের নতুন জায়গা খুঁজছে

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : বুধবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১৯
  • ১৯৫ পড়া হয়েছে

নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বৃটেনের কর্মজীবী মানুষের প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে স্থবির করে দিতে

ধনবাদী রক্ষণশীল যুদ্ধবাজরা

মানব সভ্যতা বিধ্বংসী ট্রাইডেন ব্যবহারের অনুমতি চাইছে

মুক্তকথা নিবন্ধ।। গণমাধ্যম থেকে জানা, প্রধানমন্ত্রী হলে জেরেমি করবিন, পরমানু মারণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেবেন এমন কথা দিতে হবে। কারণ তিনি বহুকাল থেকে এর বিরুধী। ভোটে জেতার জন্য রক্ষণশীলরা মানব সভ্যতা ধ্বংসকারী এমন নির্লজ্জ্ব দাবী তুলেছে। এমন প্রচারণা ধনবাদী রক্ষণশীলদের। তারা জানে পরমাণু শক্তির প্রয়োগে কোটি কোটি মানুষ মারা যাবে। কোথায় এর ব্যবহার বন্ধের জন্য কাজ করবে, কিন্তু না, বাস্তবে তার উল্টো।
আসন্ন ১২ই ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে শ্রমিক দলীয় নেতা জেরেমি করবিনের নিশ্চিত বিজয়ের আভাস পেয়ে রক্ষণশীল ধনবাদীরা তাদের পূর্বপুরুষ গোয়েবল্সীয় কায়দায় সর্বৈব মিথ্যা গুজবী রাজনীতির আশ্রয় নিতে শুরু করেছে। ধনবাদী সংবাদমাধ্যম ও সংবাদপত্রগুলো প্রতিদিনই করবিন বিরুধী প্রচার ও গুজব অবিরত ছড়িয়ে যাচ্ছে। প্রথম দিকে তারা দেশের ইয়াহুদি সম্প্রদায়কে উসকানি দিয়ে সেমেটিক বিরুধী গুজব ছড়িয়ে করবিনকে কোনঠাসা করতে প্রয়াসী হয়েছিল। বহুচেষ্টা করেও পারেনি। জনপ্রিয় নেতা জেরেমি করবিনের জনপ্রিয়তাই হয়ে উঠেছে বিরুধীদের মিথ্যা গুজব প্রচারের মূল কারণ। সংসদ নেতা করবিনের বিরুদ্ধে নারীঘটিত কিছু খুঁজে বের করতে না পেরে এখন শুরু করেছে তার বিরুদ্ধে ভিন্ন মাত্রার কূটকৌশলী প্রচার।
বরিস জনসন রক্ষণশীল দলীয় নেতা হিসেবে এই কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রীর দায়ীত্ব নেয়ার সময় দেশে সাধারণ মানুষের মাঝে কথা উঠেছিল এবং বরিস জনসন তার দলীয় কিছু লোকের চাপের মুখে ছিলেন এই কথা বলার জন্য যে প্রধানমন্ত্রী হলে নতুন করে তিনি কোন যুদ্ধে জড়াবেন না। রক্ষণশীল দল ট্রাইডেনের উৎপাদন স্থায়ী রাখার পক্ষে থাকলেও তাকে বলতে হবে তিনি কোন নিউক যুদ্ধে জড়াবেন না। নতুন কোন যুদ্ধে দেশকে জড়িয়ে ফেলানো একজন প্রধানমন্ত্রীর জন্য খুব কঠিন কাজ নয়।
সারা বিশ্বব্যাপী মানুষে মানুষে, দেশে দেশে বিদ্বেষ, হুমকি এমনকি খণ্ডযুদ্ধ প্রতিনিয়ত চলছে। দুনিয়ার ধনবাদীদের দলনেতা আমেরিকা একাই যুদ্ধ করছে ৭টি দেশের সাথে। সোমালিয়া, লিবিয়া ও নাইজারে যুদ্ধ চালাচ্ছে আমেরিকা দীর্ঘদিন ধরে। সৌদি আরব যুদ্ধ করছে ইয়েমেনের সাথে। তুরষ্ক যুদ্ধে শরিক হয়েছে সিরিয়ায়। ফিলিস্তিন-ইসরায়েল কিংবা কাশ্মীর-ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধতো বলতে গেলে লেগেই আছে। আফগানিস্তান বা ইরাকের যুদ্ধতো আজ অবদি কোন নিস্পত্তিতে পৌঁছায়নি। বিধ্বস্ত হয়ে ফকির হয়ে গেছে এসব দেশ। মার্কিনীরা এসব দেশের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করে আসছে সুদীর্ঘকাল ধরে।
মুসলমানদের সৌদিআরবতো মার্কিনীদের বগলে বগলে দোস্ত সে অনেক দিন থেকে। মধ্যপ্রাচ্যের পাতানো সকল যুদ্ধেই মার্কিনীদের খাঁটী দোস্ত ছিল সৌদিদের আরব। এখনও আছে। কি সে মধুর বন্ধুত্ব! দুনিয়ার মুসলমানের অনাবিল মনের নিষ্কলুশ পবিত্র হজ্জ্বের থেকে পাওয়া টাকা দিয়ে নিরাপত্তার নামে ৪০হাজার মার্কিন সেনার খরচ চালায় সৌদি আরব। ইং-মার্কিনীদের অস্ত্রে একই মুসলমানের বন্ধুদেশ ইয়ামেনের বিরুদ্ধে ৪বছর ব্যাপী যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে সৌদি।
সুদূর অতীত বা নিকট অতীতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা কোনদিন কোন যুদ্ধে নিজেদের জড়ায়নি। কিন্তু অধুনা তাদের দেশ মায়ানমার সারা বিশ্বকে বিস্মিত করে তাদের নিজেদের মানুষ রোহিঙ্গাদের উপর গণহত্যা চালিয়ে নতুন করে যুদ্ধের আবহ সৃষ্টি করেছে। মায়ানমার-বাংলাদেশ-ভারত, রোহিঙ্গা প্রশ্নে আজ দু-বছর হতে চলেছে কোন যুক্তিসংগত সমাধানে পৌঁছাতে পারেনি। বরং একটি স্থায়ী সমস্যার দিকেই তিল তিল করে এগুচ্ছে। বিশ্বের এমন এক যুদ্ধংদেহি অবস্থায় দু’দু’টি বিশ্বযুদ্ধের অভিজ্ঞ, বিশ্বের ৫ম শক্তিধর দেশ বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী যিনি হবেন তিনি বিশ্বকে কোনদিকে নিয়ে যাবেন, বিশ্বের মানুষের দুয়ারে কি আশার বাণী পৌঁছাবেন বিষয়টি খুবই দোলা দেয় সচেতন মানুষের মনে। সারা বিশ্ব তাকিয়ে আছে বৃটেনের নির্বাচনের দিকে। তাই এই ভোটযুদ্ধে বিজয় ছিনিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে রক্ষণশীলরা তাদের হাতের শূণ্য ডুগডুগি যা আছে সবক’টি বাজিয়ে ভোটযুদ্ধে জেতার কসরত চালিয়ে যাচ্ছে।
উদোর পিণ্ডি ভুধোর ঘাড়ের মত করে নির্লজ্জ্বের মত প্রশ্ন তোলার চেষ্টা করছে জেরেমি করবিন প্রধানমন্ত্রী হলে ট্রাইডেন ব্যবহারে সম্মত আছেন কি-না ঘোষণা করতে হবে। তারা বেওকুফ হলেও তাদের জানা উচিৎ দুনিয়ার মানুষ সকলেই বেওকুফ নয়। দুনিয়ার মানুষ এখন আর যুদ্ধ চায় না। দুনিয়াব্যাপী যুদ্ধের যে ব্যবসা অতীতে চালানো হয়েছে সে তিক্ত লোকক্ষয়ী অভিজ্ঞতা থেকে মানুষ আর যুদ্ধের পক্ষপাতি নয়। ট্রাইডেনের ব্যবহার যে কেবলমাত্র ধ্বংস আর লোকক্ষয় সে তো সারা দুনিয়ার মানুষই জানে। কিন্তু রক্ষণশীলদের ভাবখানা এমন যে, মানুষতো মরবেই। তাই বলে কি ব্যবসায়ীদের অস্ত্র ব্যবসা বন্ধ করে দেয়া উচিৎ হবে!
বিশ্বসাম্রাজ্যবাদীরা হলো দুনিয়াব্যাপী ব্যবসায়ী যুদ্ধের স্থপতি। জেনেশুনে মানব নিধন, গণহত্যা এসব তো বিশ্বময় তাদেরই মহিমাময় কীর্তি! রাজাকার-আলবদর তালেবান, আলকায়দা, বকো হারাম, আইএসআইএস এসব কিছুইতো সাম্রাজ্যবাদীদের সৃষ্টি। বৃটেনের আসন্ন নির্বাচনে তাদেরকে দলের পক্ষ থেকে কথা দিতে হবে যে মানব সভ্যতা বিধ্বংসী এসব অপব্যবসা থেকে তারা সরে আসবে। নতুবা আত্মহত্যার জন্যও একটি ভোট পাবে না।

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT