1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
কমলগঞ্জের দিনলিপি- মুক্তকথা
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৫:১২ পূর্বাহ্ন

কমলগঞ্জের দিনলিপি-

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : শনিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১৯
  • ৮৩৮ পড়া হয়েছে

লিখেছেন-
প্রনীত রঞ্জন দেবনাথ।।

কমলগঞ্জে ১৫ বছর পর উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনে দলের তৃণমূলে স্বস্তি

সভাপতি মিলন, সম্পাদক আজাদ নির্বাচিত

দীর্ঘ ১৫ বছর পর বহুল প্রতিক্ষিত মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি, কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আছলম ইকবাল মিলনকে সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পিপি অ্যাড. এএসএম আজাদুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়েছে। এছাড়া সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে আলীনগর ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হক বাদশাহ ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. সিদ্দেক আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কমলগঞ্জ সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান ও জেলা পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মো. হেলাল উদ্দিনকে নির্বাচিত করা হয়।

দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যম কমলগঞ্জ আওয়ামীলীগের সম্মেলন উদ্বোধন। ছবি: মুক্তকথা

গত শনিবার ৯ নভেম্বর রাত ১০টায় কমলগঞ্জ উপজেলা চৌমুহনাস্থ জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে সম্মেলনের ২য় অধিবেশনে কাউন্সিল সভায় সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাচিত ৬ জনের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষনা করেন মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নেছার আহমেদ এমপি। দীর্ঘ ১৫ বছর পর সম্মেলনের মধ্য দিয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের তৃণমূলে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
এদিকে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শনিবার বিকাল সাড়ে ৩ টায় ভানুগাছবাজারের স্টেশন রোডস্থ উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয় সম্মুখে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধন করেন মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নেছার আহমেদ এমপি। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত) আহমদ হোসেন।

সভাপতি

সাধারণ সম্পাদক

কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম, মোসাদ্দেক আহমেদের সভাপতিত্বে ও অধ্যক্ষ মো. হেলাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী পর্বের আলোচনা সভায় সম্পাদকীয় রিপোর্ট ও শোক প্রস্তাব পেশ করেন কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান, মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান, মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি, উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ এমপি। প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মিসবাউর রহমান। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র মো. ফজলুর রহমান, মৌলভীবাজার সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এড. রাধাপদ দেব সজল, জেলা যুবলীগের সভাপতি নাহিদ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক রেজাউর রহমানসহ জেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ।

আওয়ামী লীগের সম্মেলনের সাজে কমলগঞ্জ শহর। ছবি: মুক্তকথা

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত) আহমদ হোসেন বলেন, আওয়ামীলীগ দূর্ণীতিকে প্রশ্রয় দেয় না। তাই আওয়ামীলীগ শুদ্ধি আভিযান শুরু করেছে। সেই শুদ্ধি অভিযান অব্যাহত থাকবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ট নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলেছে। দেশকে আরও এগিয়ে নিতে হলে সকলকে এক সাথে কাজ করে যেতে হবে। দূর্নীতিবাজ ও মাদকাসক্তদেরকে আওয়ামীলীগে ঠাঁই দেয়া হবে না।
দ্বিতীয় পর্বে সম্মেলন কাউন্সিল সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় কমলগঞ্জ উপজেলা চৌমুহনাস্থ জেলা পরিষদ অডিটরিয়াম কাম মাল্টিপারপাসে শুরু হয়। ব্যাপক আলোচনার পর সভাপতি সম্পাদক ছাড়াও সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন আলীনগর ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফজলুল হক বাদশা ও জেলা আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. সিদ্দেক আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কমলগঞ্জ সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান ও জেলা পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মো. হেলাল উদ্দিনকে নির্বাচিত করা হয়। আগামী এক মাসের মধ্যে উপজেলা আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হবে।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনে মো. বেলায়েত আলী সভাপতি ও অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১২ সালে বেলায়েত আলীর মৃত্যুর পর দলের একটি বিশেষ সভায় সাবেক চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ এমপি’র অনুজ উপজেলা আওয়ামীলীগের ২নং সহ সভাপতি এম, মোসাদ্দেক আহমেদ মানিককে সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। সেই থেকেই কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ মূলত দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এ বিভক্তির বড় রুপ নিয়েছিল গত একাদশ সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে। তার পর বিরোধ আরও বড় আকার ধারণ করেছিল গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে।

ধুম আনন্দের মধ্যদিয়ে উৎসব পালিত

কমলগঞ্জে মণিপুরী মহারাসলীলা সম্পন্ন

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ১২ নভেম্বর মঙ্গলবার হয়ে গেলো মণিপুরী সম্প্রদায়ের প্রধান শ্রেষ্ঠ পার্বন মহারাসলীলা। একদিনের এই উৎসবের স্থায়িত্বকাল এক রজনী। ঐ একটি রজনীকে কেন্দ্র করে মণিপুরীদের সংস্কৃতির এক বিশাল মিলন মেলায় পরিণত হয়। রাস উৎসবকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরে কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ও আদমপুরের মণিপুরী পাড়া সমুহে চলে উৎসবের আমেজ। রং ছড়িয়ে মন্ডপ সমুহকে সাজানো হয় নতুন সাজে। মাধবপুর জোড়া মন্ডপে পূর্ণ হয় ১৭৭ তম রাস উৎসব। আদমপুরে অনুষ্ঠিত হয় ৩৪ তম মহারাসলীলা। মাধবপুরে মণিপুরী বিষ্ণুপ্রিয়া সম্প্রদায় মহারাসলীলা সেবা সংঘ এবং আদমপুরে মীতৈ সম্প্রদায় মহারাস উৎসব উদযাপন কমিটির আয়োজনে রাস উৎসব এর আয়োজন করা হয়।

মণিপুরী মহারাসলীলার একটি দৃশ্য। ছবি: মুক্তকথা

আদমপুরে পাশাপাশি দুটি স্থানে আদমপুর জোড় মন্ডপ ও মণিুপুরি কালচারাল কমপ্লেক্সে রাস উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এখানে ছিল রাখাল নৃত্য ও রাসলীলা। তবে মণিপুরী বিষ্ণুপ্রিয়া ও মণিপুরী মৈতৈ পৃথক পৃথক স্থানে আয়োজন করলেও উৎসবের অন্ত:স্রোত, রসের কথা, আনন্দ-প্রার্থনা সব একই। উৎসবের ভেতরের কথা হচ্ছে বিশ্বশান্তি, সম্প্রীতি ও সত্য সুন্দর মানবপ্রেম।
রাস উৎসব আয়োজকদের সূত্রে জানা গেছে, ‘মণিপুরের রাজা ভাগ্যচন্দ্র প্রথম মণিপুরে শ্রীশ্রীমহারাসলীলা বা রাসমেলা প্রবর্তন করেছিলেন। ‘রাস’ শব্দটা এসেছে জগৎপতি কৃষ্ণের ১২ ধরনের রস থেকে। এই রাসের সঙ্গে মেলা যুক্ত হয়ে ‘রাসমেলা’ হয়েছে। তবে ১২টি রসের মধ্যে রাসলীলায় মূলত সখ্য, বাৎসল্য ও মধুর এই তিনটি রসের উপস্থাপনই হয়ে থাকে। উৎসবটা মণিপুরী সম্প্রদায়ের হলেও এটি এখন ধর্মীয় গন্ডি পেরিয়ে বাংলাদেশে বসবাসরত মনিপুরী সংস্কৃতির বিশাল মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে। উৎসবকে সফল করতে প্রায় মাস খানেক সময় ধরে ছয়টি বাড়িতে রাসনৃত্য এবং রাখাল নৃত্যের প্রশিক্ষণ ও মহড়া পরিচালিত হয়।’
‘মহারাসলীলা মূল উপস্থাপনা শুরু হয় সকাল ১১টা থেকে ‘গোষ্ঠলীলা বা রাখালনৃত্যে’র মধ্য দিয়ে। গোধূলি পর্যন্ত চলে রাখালনৃত্য। রাত ১১টা থেকে পরিবেশিত হয় মধুর রসের নৃত্য বা শ্রীশ্রীকৃষ্ণের মহারাসলীলানুসরণ। এই রাসনৃত্য চলে বুধবার ভোর (ব্রাহ্ম মুহূর্ত) পর্যন্ত।’

গঙ্গাদেবীর আরাধনার মধ্যদিয়ে চা শ্রমিকদের ১৯ তম কাত্যায়নী পূজা সম্পন্ন

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে চা শ্রমিকদের ১৯ তম কাত্যায়ানী পূজা গঙ্গা স্নানের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। এই দিনটি উপলক্ষে উপজেলার মাধবপুর চা বাগান সনাতনী ভক্তবৃন্দের আয়োজনে কার্তিক মাসব্যাপী ব্রত পালন শেষে রাত থেকে বাগানের বিভিন্ন মন্দিরে নাম কীর্তন শুরু হয় এবং মঙ্গলবার ভোর রাত থেকে বিভিন্ন চা বাগানের কয়েক হাজার ভক্তরা গঙ্গা স্নান ও পূজার্চ্চনা করতে হীরামতি এলাকায় ধলাই নদীর তীরে সমবেত হয়। প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে গঙ্গা স্নান ও পূজার্চ্চনা চলে।
মঙ্গলবার সকালে চা শ্রমিকদের কাত্যায়নী পূজা আয়োজক কমিটির আমন্ত্রণে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন মাধবপুর ইউপি চেয়ারম্যান পুস্প কুমার কানু, মাধবপুর চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক প্রসেন গোপ, কমলগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক আসহাবুর ইসলাম শাওন, ইউপি সদস্য কৃষ্ণলাল দেশওয়ারা, সাবেক প ায়েত কমিটির সভাপতি দেওনারায়ন পাশি প্রমুখ।

চা-শ্রমিকদের ১৯তম কাত্যায়ানী পূজা উপলক্ষ্যে ধলাই নদীতে গঙ্গাস্নান ও পূঁজা সম্পন্ন করা হচ্ছে। ছবি: মুক্তকথা

গঙ্গা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শ্যামদাস পাইনকা, সহ-সভাপতি সত্যনারায়ণ ভর, সাধারন সম্পাদক প্রতাপ ভর, অর্থ সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ মুন্ডা, ইন্দ্রজিৎ নুনিয়া, সদস্য দাদু কাহার, নিমাই নুনিয়া ও শিউনারায়ণ নুনিয়ার সাথে আলাপকালে জানা যায়, ভগবত পুরাণ গ্রন্থের দশম স্কন্দের দ্বাবিংশ অধ্যায়ে কাত্যায়ানী ব্রতের উল্লেখ আছে। এই কাহিনী অনুযায়ী, ব্রজের গোপীগণ কৃষ্ণকে পতিরূপে কামনা করে সমগ্র মাঘ মাস জুড়ে এই ব্রত করেন। এই একমাস তারা কেবলমাত্র মশলাবিহীন খিচুড়ি খেতেন এবং সকাল বেলা নদীতে স্নান করে নদীতীরে মাটির কাত্যায়ানী মূর্তি গড়ে চন্দন, দ্বীপ, ফল, পান, নবপত্র, মালা ও ধূপ দিয়ে দেবীর পূজা করা হয়। এরপরই নদীতে স্নান করে ভক্তরা বাড়ী ফিরে যান।

চা-শ্রমিকদের ১৯তম কাত্যায়ানী পূজা উপলক্ষ্যে ধলাই নদীতে গঙ্গাস্নান সম্পন্ন করা হচ্ছে। ছবি: মুক্তকথা

মনোমতো স্বামী প্রার্থনায় গত এক মাস ব্যাপী উপবাস করে কাত্যায়ানী ব্রত পালন করা হয়েছে। এই একমাস তাকে চন্দন, ধূপ, দ্বীপ ইত্যাদি দিয়ে পূজা করা হয়েছে। মঙ্গলবার ভোর রাত থেকে স্নান করে ভিজা কাপড়ে খোদিত কাত্যায়নীর মূর্তি পূজা করেন হাজার হাজার চা শ্রমিক ভক্তরা। পরে উপস্থিত সকল ভক্তবৃন্দের মধ্যে মহাপ্রসাদ বিতরণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ১৯ বছর যাবত এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সরকারি সহযোগিতা পেলে অনুষ্ঠানের আরো ব্যাপকতা বাড়বে।

ভাতার টাকা পেলো ১৩৬১টি পরিবার

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উদ্যোগে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসুচীর আওতায় সুবিধাভোগী বয়স্কভাতা, বয়স্ক চা-শ্রমিক, বিধবা, স্বামী নিগৃহিতা ও অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধী ১৩৬১ জনের মাঝে মোট ৮৮ লক্ষ ৬ হাজার ৮শত টাকার বিভিন্ন ভাতা প্রদান করা হয়েছে। সোমবার (১১ নভেম্বর) দুপুর ১টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সুবিধাভোগীদের ভাতা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত কর্মসুচীর শুভ উদ্বোধন করেন সাবেক চিফ হুইপ, মুক্তিযোদ্ধা উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ এমপি।

ভাতা বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন সাবেক চীপ হুইপ উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ এমপি। ছবি: মুক্তকথা

কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, মুক্তিযেদ্ধা অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. সুয়েব হোসেন চৌধুরী। প্রধান শিক্ষক মোশাহীদ আলীর সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাসরিন চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগের নবনির্বাচিত সভাপতি আছলম ইকবাল মিলন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রামভজন কৈরি, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিলকিস বেগম, রহিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ বদরুল, কমলগঞ্জ সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ৮৫৫ জন বয়স্ককে মাসিক ৫০০ টাকা হারে এক বছরের জন্য ৫১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা। ৪৫ জন বয়স্ক চা শ্রমিককে মাসিক ৫০০ টাকা হারে এক বছরের জন্য ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা। ১৯৪জন বিধবা ও স্বামী নিগৃহিতাকে মাসিক ৫০০ টাকা হারে এক বছরের জন্য ১১ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকা এবং ২৬৭ জন অসচ্ছল প্রতিবন্ধীকে মাসিক ৭০০ টাকা হারে এক বছরের ২২ লক্ষ ৪২ হাজার ৮শত টাকা সুবিধাভোগীদের মাঝে বিতরণ করা হয়।

কমলগঞ্জ পৌরসভায় দিনব্যাপী

বিউটিফিকেশন প্রশিক্ষণ কর্মশালা

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ পৌরসভার আয়োজনে এলজিএসপি-৩ প্রকল্পের আওতায় এক দিনের ব্লক বাটিক, বিউটিফিকেশন প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্টিত হয়। লোকাল গভর্নেন্স সাপোর্ট প্রোগ্রাম (এলজিএসপি) এর সহযোগীতায় সোমবার (১১ নভেম্বর) সকাল ১১টায় কমলগঞ্জ পৌরসভা মিলনায়তনে দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার বিভাগ, মৌলভীবাজার এর উপ-পরিচালক মোহাম্মদ রোকন উদ্দীন (উপসচিব)।

বিউটিফিকেশন কর্মশালা। ছবি: মুক্তকথা

কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. জুয়েল আহমেদের সভাপতি অনুষ্টিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন এলজিএসপি-৩ ডিএফ ফারজানা মুস্তাহিদ, পৌরসভার সচিব মুহাম্মদ বেলাল চৌধুরী, প্রশিক্ষক প্রভাষক রাবেয়া খাতুন, রুমানা আক্তার প্রমুখ। দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষন কর্মশালায় ব্লক বাটিকে ১৫ জন ও বিউটিফিকেশনে ১৫ জন মোট ৩০ জন নারী অংশ গ্রহন করেন।

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT