1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
রাজাকারের তালিকায় বহু শীর্ষ আওয়ামী লীগ নেতাসহ মুক্তিযোদ্ধার নাম! - মুক্তকথা
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৩০ অপরাহ্ন

রাজাকারের তালিকায় বহু শীর্ষ আওয়ামী লীগ নেতাসহ মুক্তিযোদ্ধার নাম!

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৯
  • ৯৮২ পড়া হয়েছে

হারুনূর রশীদ।। সরকার একাত্তুরের রাজাকার-আলবদরদের তালিকা প্রকাশ করেছেন। এর আগে বিগত ১০বছরে এই সরকারই মুক্তিযোদ্ধাদেরও একটি তালিকা তৈরী করেছেন কিন্তু কোথায়ও প্রকাশ করেছেন এমন শুনা যায়নি। তবে মুক্তিযোদ্ধাদের যে একটি তালিকা তৈরী করা হয়েছে তা স্থির নিশ্চিত। স্বাধীনতার পর যারাই যখন সরকারে গিয়েছেন তাদের তখনই প্রথম ও প্রধান দায়ীত্ব হওয়া উচিৎ ছিল মুক্তিযুদ্ধের যুদ্ধরত দু’পক্ষের সত্য সঠিক পূর্ণ তালিকা সংগ্রহ করা এবং যথাসম্ভব প্রকাশ করা যতটুকু সম্ভব। কিন্তু সেদিন তা হয়ে উঠেনি। অতীব গুরুত্বপূর্ণ এসব কাজে যত বিলম্ব করা হয় এতে একদিকে যেমন মিথ্যা সত্য হয়ে উঠে আসার সম্ভাবনা থাকে বেশী তেমনি বিষয়টির গুরুত্ব বা মহিমা ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে দিন দিন। বিষয়টি যে কেউ বুঝেন না, তা তো অবশ্যই নয়। তা’হলে প্রশ্ন আসতেই পারে এ বিষয়টি সম্পন্ন করতে গোটা জাতিকে কেনো ৪৮বছর অপেক্ষা করতে হলো? এর পরও যা হলো তা’তে এতো অপরিনামদর্শী ভ্রান্তি থেকে গেলে এই প্রকাশনার তাৎপর্য থাকে কি করে?
একটি বিষয় আমরা বুঝি বা বয়সের কারণে স্বচক্ষে দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল যে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে মাত্র ৩বছরের মাথায় বর্বরের মত নির্মমভাবে দেশ স্রষ্টাকে সপরিবারে হত্যা করা হয় এবং এ হত্যার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিল মুক্তিযুদ্ধের সাথে সরাসরি অংশগ্রহনকারী কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ চায়নি কোন কালেই, এমন কিছু মুখোশধারী মুক্তিযোদ্ধা নামের কলঙ্ক দালাল শ্রেণীর লোক। সবচেয়ে দুঃখজনক এবং লজ্জার বিষয় যে এরা সকলেই ছিল এ দেশে জন্মনেয়া কিছু কুলাঙ্গার। ক্ষমতার মোহ আর স্বার্থের লোভে বিদেশীদের টাকায় পুষ্ট এসব কুলাঙ্গার স্বাধীনতার পর খুন-হত্যার মাধ্যমে ক্ষমতদখল করে তাদের বিদেশী প্রভুদের হুকুমে শুরু করেছিল মুক্তিযু্দ্ধের কাগজাতসহ সকল চিহ্ন মুছে ফেলতে। এরই এক প্রক্রিয়ায় দেশের মূল্যবান দলিল-কাগজ যেসব স্থানে রাখা হয় সেসব স্থানে এসব কুশিলব হানা দিয়েছিল এবং সাধ্যমত চেষ্টা করেছে সকল প্রমাণাদি ধ্বংস করে দিতে। এখনও বহাল তবিয়তে জীবীত আছেন এমন বহুজন ওইসব দুষ্টসময়ের কারিগর, মন্ত্রী হয়ে হানা দিয়েছিলেন দেশের ‘ফিল্ম আর্কাইভ’-এ এবং অনেক মূল্যবান স্ববাকচিত্র ও স্থিরচিত্র গবেষণার নামে নিয়ে এনে বিনষ্ট করেছিলেন। সাক্ষী হিসেবে একজন সংবাদপত্রে এমনকি টেলিভিশনে সাক্ষাৎকারের সময় এসব কাহিনী বলেছিলেনও কিন্তু খুব একটা কিছু বিচার হয়েছে শুনিনি। এরা দিব্বি আগের মতই রাজনীতিতে ছড়ি ঘুরিয়ে জীবন যাপন করার সুযোগ পেয়েছেন এবং এখনও পেয়ে যাচ্ছেন। এসকল বিদেশী অনুচর, বিভ্রান্ত লোক দেশেতো আছেই, বিভিন্ন সুযোগে এরা দেশ শাসনেও অংশ নিয়েছে এবং এখনও শাসন পদ্বতির বিভিন্ন স্তরে হাজারে হাজার ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। ধর্ম নামের ধান্দাবাজী এদের একটি অংশের বড় পোষাক।
অন্তরের দিক থেকে মুক্তিযুদ্ধকে ঘৃণা করে, মন থেকে মেনে নিতে পারে না, সুযোগ পেলেই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে আঁচড় কাটতে চায় এমন নরাধমের অভাব নেই আমাদের সমাজে। বিশেষ করে ধর্মের আড়ালে এসব নব্য রাজাকার-আলবদরেরা অবাধে আমাদের সমাজে বিচরণ করছে। এমন অবস্থা কেউ কি অস্বীকার করতে পারবেন? ধর্মের নামে অনাচারের মাত্রা আমাদের সমাজে কোন স্তরে গিয়ে পৌঁচেছে তা গবেষণা করার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।

কিছু মানুষ আমাদের এই দেশে বা সমাজে আছে যারা এখনও অন্তর থেকে মনে করে এ দেশ মুসলমানদের দেশ। কেনো মনে করে এরা? ওই যে ১৯৪৭এর রাজনৈতিক দুষ্টচক্র ইংরেজের টাকা খেয়ে সম্পূর্ণ গোষ্ঠীগত ও ক্ষমতার স্বার্থে দেশকে হিন্দু ও মুসলমানের দেশ বলে ভাগ করেছিল সেই দুষ্টবুদ্ধির অশুভ প্রভাব থেকে এরা নিজেকে মুক্ত করতে পারেনি। তাই তারা এখনও ভাবে বাংলাদেশ একটি শুধু মুসলমানের দেশ। তাদের মনোজগৎ এমন এক মাত্রায় প্রভাবিত হয়েছে যে তারা কোনভাবেই বুঝতে পারে না যে দেশকে দু’ভাগ করার পেছনের কারণ ছিল প্রথমঃ ইংরেজের ‘ভাগকর শাসনকর’ নীতির একটি রাজনৈতিক খেলা মাত্র। দ্বিতীয়তঃ আমাদের নিজেদের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া শিক্ষিত তাবেদার শ্রেণীর ক্ষমতার মোহ। সাধারণ মানুষকে ঠকানোর হাতিয়ার ছিল ধর্মনামক বিদেশী তন্ত্রমন্ত্র। সেই অশুভ প্রভাবে আজো তারা প্রভাবিত তাদের সন্তানাদি পর্যন্ত পরম্পরায়।
বিদেশী চিন্তা-চেতনার প্রভাবে আমরা যুগ যুগ এভাবে থাকতে পারি না, এ সত্যকে অনুধাবন করতে হবে। আমাদের একপক্ষ মানুষ একেবারে আরবীয়ানদের মত জীবন ধারণ করে চলতে একেবারে মনের গভীর থেকে ভালবাসে। শুধু ভালভাসে নয় এমত চলাকে তারা পরজনমের পুতঃপবিত্র পুরস্কারের সোপান মনে করে। আরেক পক্ষ স্যুট-টাই পড়ে সাহেব সেজে থাকতে অন্তর থেকে সভ্যতা মনে করে। ‘স্যার’ ডাক তাদের খুব পছন্দ, জীর্ণ পুরাতন ফেলে আসা সামন্তপ্রভুদের ‘হুজুর’ ডাকের মত। সংখ্যায় নগন্য হলেও আরেক পক্ষ আছে যারা ধুতি-পৈতা ছাড়া থাকতেই পারে না। এ অবস্থায় আমাদের স্থান কোথায়? কোথায়ও নেই। তার অর্থ কি আমরা স্থান তৈরী করতে পারিনি? অনেকেই বলতে চায় যে- হ্যাঁ আমরা আমাদের সেমত স্থান তৈরী করতে পারিনি। না কথাটি সত্য নয়। স্থান আমাদের ছিল এবং আছে। সমস্যা আমাদের মনোজগতে। মনোজগত থেকে সকল নমুনার ভণ্ডামো সরিয়ে নিয়ে একটু লোভের উর্ধে উঠার মাঝেই সমাধান নিহীত।
এ বিশ্ব মানব সমাজে কোন কিছুই চিরস্থায়ীভাবে নেই থাকতেও পারেনা। এ মহাবিশ্বের সাথে প্রতি পলে পলে আমাদের এ বিশ্বও বদলাচ্ছে। সেই বদলের সাথে তাল রেখে আমাদেরও চলতে হবে এটাই সকল নিয়মে সত্য এবং চরম সত্য। চিরন্তন এ সত্যকে আমাদের বুঝে নিতে হবে আন্তরিকভাবে সকল লোভ-স্বার্থের উপরে উঠে।
রাজাকারদের নামের তালিকা বলে মুক্তিযোদ্ধা-রাজাকার নাম মিশিয়ে যে তালিকা প্রকাশ হয়েছে সে বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী সন্তুষজনক কোন জবাব দিতে পারেননি। জানাগেছে ওই তালিকার শীর্ষ ৪৬জনের মধ্যে আওয়ামীলীগের বহু নেতার নামও রয়েছে। ভুলভাবে অনেকের নামও উঠে এসেছে। সরকারীভাবে ভাতাপ্রাপ্ত খাঁটী মুক্তিযোদ্ধার নামও এই রাজাকারের তালিকায় উঠে এসেছে। প্রশ্ন উঠতেই পারে এতোবড় ভুলের দায়ীত্ব কে নেবে?  হারুনূর রশীদ, লণ্ডন, মঙ্গলবার ১৭ডিসেম্বর ২০১৯সাল

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT