1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
জীবন দিয়ে যুদ্ধ করে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নেই মাহবুবুল আলম - মুক্তকথা
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৩:০৬ অপরাহ্ন

জীবন দিয়ে যুদ্ধ করে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নেই মাহবুবুল আলম

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : সোমবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০২০
  • ১৬৭ পড়া হয়েছে

আশরাফ আলী।। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এ ডাকে সাড়া দিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে জীবন দিয়ে যুদ্ধ করেছিলেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুল আলম। মুক্তিযুদ্ধের ৪৮ বছর পেরিয়ে গেলেও কালের পরিক্রমায় এখনো তার নাম নেই বীরত্ব গাথা সেই মুক্তিযোদ্ধার তালিকায়। যার জন্য শহীদ মুক্তিযোদ্ধার পরিবারটি হতাশ।

ছবি গুগোল মাধ্যমে সংগৃহীত

তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য তার পরিবার ঘুরেছেন কর্তৃপক্ষের দ্বারে দ্বারে। সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার একলিম মিয়াসহ অনেক মুক্তিযোদ্ধাই তার পক্ষে সুপারিশ করলেও তালিকায় নাম উঠাতে ব্যর্থ হন। স্ত্রী-সন্তান রেখে পাক হানাদার বাহিনীর বিরোদ্ধে রুখে দাড়ানোর অদম্য সাহস বুকে বেধে যুদ্ধ করেছিলেন মাহবুবুল আলম। মুক্তিযুদ্ধে মৌলভীবাজার জেলা ৪নং সেক্টরের অধীনে ছিল। সেক্টর কমান্ডার ছিলেন সি.আর.দত্ত। তিনি ২য় বেঙ্গলের ক্যাপ্টেন আজিজের নেতৃত্বে যুদ্ধ করেন।
মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুল আলম মুক্তিযুদ্ধের সময় মৌলভীবাজার মহকুমার শ্রীমঙ্গল কলেজ রোডে বসবাস করতেন। মুক্তিযুদ্ধে মাহবুবুল আলম মারা গেলে স্ত্রী আলেয়া বেগম তার ৩ পুত্র ও ৪ কন্যা সন্তানকে নিয়ে মৌলভীবাজার পূর্ব ধরকাপনস্থ পিতার বাড়িতে চলে আসেন। এরপর থেকেই তারা এখানে বসবাস করে আসছেন।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ শ্রীমঙ্গল উপজেলা কমান্ড ২০১২ সালের ৪ জানুয়ারী কমান্ডার আব্দুল মতলিব স্বাক্ষরিত একটি স্মারকে তিনি বলেন, আমি মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুল আলমকে ব্যক্তিগতভাবে চিনতাম। তিনি ১৯৭১ সালে পাকসেনাদের বিরোদ্ধে শেরপুর তাজপুর সিলেট অঞ্চলে ক্যাপ্টেন আজিজ (২য় বেঙ্গল) এর অধীনে যুদ্ধ করেন। ঐ স্মারকে সাবেক মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মৌলভীবাজার জেলা ইউনিট কমান্ডার মো. জামাল উদ্দিনের স্বাক্ষর রয়েছে।
সাবেক প্রয়াত সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মৌলভীবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে পৌরসভার ১০৭৫ নং স্মারকে মাহবুবুল আলমকে একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা উল্লেখ করেন। স্মারকে তিনি বলেন, মাহবুবুল আলমকে হানাদার বাহিনী নির্মমভাবে হত্যা করে। তিনি মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন।
স্মারকে তিনি আরও উল্লেখ করেন স্বাধীনতা উত্তর তদানীন্তন সরকার কর্তৃক মাহবুবুল আলমের স্ত্রী আলেয়া বেগম দুই হাজার টাকা পান। এরপর তিনি মুক্তিযোদ্ধা কল্যান ট্রাষ্ট থেকে কোন ভাতা বা সাহায্য সহযোগীতা পাননি।
মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুল আলমের নাতী মাজহারুল আলম দীপ বলেন, আমার দাদা মুক্তিযুদ্ধে সমর সম্মুখে পাকবাহিনীর হাতে নির্মমভাবে নিহত হন। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে নিহত হলেও আজ পর্যন্ত তিনি শহীদ মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাননি। একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হয়েও আমার দাদা মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নেই। বিষয়টির জন্য আমি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মৌলভীবাজার জেলা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার মো. জামাল উদ্দিন বলেন, উপজেলা কমান্ডার ওনাকে ব্যক্তিগতভাবে চিনতেন। আমি ঐ স্মারকলীপিতে প্রতি স্বাক্ষর দিয়েছি।
সেক্টর কমান্ডার ফোরাম মৌলভীবাজারের সিনিয়র সহ সভাপতি বিরাজ কুমার সেন তরুণ বলেন, আমার বন্ধু আশরাফুল আলমের বড় ভাই মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুল আলম। মাহবুবুল আলমের ডাকনাম ছিল মোস্তফা। তিনি মাজদিহি বাগানে চাকুরী করতেন মুক্তিযুদ্ধের সময়। মুক্তিযুদ্ধে এই পরিবারের ৩ জন শহীদ হয়েছেন।
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধের সময় অনেকে দালালী করেছে এখন তারা মুক্তিযোদ্ধা। শুধু মাহবুবুল আলম নয় অনেক প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার নাম তালিকায় নেই।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাহি অফিসার ও দায়িত্বপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শরীফুল ইসলাম বলেন, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়া মাহবুবুল আলমের নাম মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় না উঠায় আমরা মর্মাহত। তার পরিবার যদি মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নামের জন্য আবেদন করেন আমরা সহযোগীতা করব।

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT