1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে দেশের ৮টি বিভাগের ১৬টি উপজেলায় ভিন্ন পদ্ধতি : অ্যাপসে ধান বিক্রি - মুক্তকথা
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৩৮ পূর্বাহ্ন

স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে দেশের ৮টি বিভাগের ১৬টি উপজেলায় ভিন্ন পদ্ধতি : অ্যাপসে ধান বিক্রি

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
  • ৭২৯ পড়া হয়েছে

হাসনাত কামাল।। স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ধান বিক্রির জন্য এবার পরীক্ষামূলকভাবে মৌলভীবাজার সদরসহ দেশের ৮টি বিভাগের ১৬টি উপজেলায় ভিন্ন পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছে। পাইলটিং এ উদ্যোগ সফল হলে সারাদেশে তা বাস্তবায়ন করবে সরকার।
এ উদ্যোগে গেল বছরের ২৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ডিজিটাল পদ্ধতিতে মৌলভীবাজারে অ্যাপসের মাধ্যমে ধান বিক্রির লটারি অনুষ্ঠিত হয়।
সকালে সদর উপজেলা পরিষদের হল-রুমে লটারির উদ্বোধন করেন মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমদ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি সমন্বয় করেন উপজেলা নির্বাহি অফিসার শরীফুল ইসলাম। লটারিতে ১ হাজার ৫০০ জন কৃষক ১ হাজার ৪০ টাকা মণ দরে সরকারের কাছে ধান বিক্রির সুযোগ পেয়েছেন।
এ সময় জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বিপ্লব চন্দ্র দাস, সদর উপজেলা কৃষি অফিসার সুব্রত কান্তি দত্তসহ সাংবাদিক এবং ইউনিয়ন চেয়ারম্যানেরা উপস্থিত ছিলেন।


আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে এ ধান সংগ্রহ কার্যক্রম। গত ২৫ নভেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ হাজার ৫০৪ জন কৃষক অ্যাপসে সঠিকভাবে সরকারের কাছে ন্যায্যমূল্যে ধান বিক্রির জন্য অ্যাপসের মাধ্যমে আবেদন করেন।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দেশের ৮টি বিভাগের ১৬টি উপজেলায় পরীক্ষামূলকভাবে অ্যাপের মাধ্যমে ডিজিটাল পদ্ধতি অনুসরণে এবার ধান সংগ্রহ করা হচ্ছে। এর মধ্যে মৌলভীবাজার জেলার সদর উপজেলা রয়েছে। অন্য উপজেলাগুলো হলো ঝিনাইদহ সদর, ঢাকার সাভার, গাজীপুর সদর, ময়মনসিংহ সদর, জামালপুর সদর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ, বরিশাল সদর, ভোলা সদর, নওগাঁ সদর, বগুড়া সদর, রংপুর সদর, দিনাজপুর সদর, হবিগঞ্জ সদর ও যশোর সদর উপজেলা।
মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমদ বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ পাচ্ছেন কৃষকেরা। এটা কৃষকদের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের অনন্য উদ্যোগ। আশা করা হচ্ছে পরীক্ষামূলক এই পাইলটিং প্রকল্প সফল হবে এবং সারাদেশের কৃষক উপকৃত হবেন। স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে।

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, একজন কৃষককে মুঠোফোনে ‘কৃষকের অ্যাপ’ নামের ওই অ্যাপ নামিয়ে (ডাউনলোড) করে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও মোবাইল নম্বর দিয়ে নিবন্ধন করেন। এরপর ধানের নাম, জমির পরিমাণ, কী পরিমাণ ধান বিক্রি করতে চান, তা জানিয়ে ঘরে বসেই সরকারের কাছে ধান বিক্রির আবেদন কররেন। নিবন্ধন, বিক্রয়ের আবেদন, বরাদ্দের আদেশ ও মূল্য পরিশোধের সনদসম্পর্কিত তথ্য এবং বিক্রয়ের জন্য কোন তারিখে, কোন গুদামে যেতে হবে, সেসব তথ্য এসএমএসের মাধ্যমে কৃষক জানতে পারছেন। আবেদনকারী বেশি হওয়ায় লটারির মাধ্যমে কৃষক নির্বাচন করা হয়েছে। তবে কৃষকের স্মার্টফোন না থাকলে ইউনিয়ন তথ্যসেবাকেন্দ্রে গিয়ে তিনি এ সেবা নেন। এ পদ্ধতি সফল হলে আগামী বোরো মৌসুমে একই প্রক্রিয়ায় সারা দেশের কৃষকদের কাছ থেকে সরকারিভাবে ধান সংগ্রহ করা হবে।
লটারির মাধ্যম কৃষক নির্বাচন করা হয়। তিন শ্রেণির—ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বড় কৃষক নির্বাচন করা হচ্ছে। যেসব কৃষকের জমির পরিমাণ ৫০ থেকে ১৪৯ শতকের মধ্যে, তাঁরা ক্ষুদ্র কৃষক, যাঁদের জমির পরিমাণ ১৫০ থেকে ২৪৯ শতক, তাঁরা মাঝারি কৃষক, আর ২৫০ শতকের বেশি জমির মালিকেরা বড় কৃষক।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বিপ্লব চন্দ্র দাস জানান, উপজেলায় লটারিজয়ী ১ হাজার ৫০০ কৃষকের মধ্যে ৮৬২ জন ক্ষুদ্র কৃষক, ৪৭০ জন মাঝারি কৃষক এবং ১৬৮ জন বড় কৃষক রয়েছে।

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT