1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
যোগাযোগ, নদীভাঙ্গনসহ নানামুখী সমস্যায় মৌলভীবাজার - মুক্তকথা
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১১:২৯ অপরাহ্ন

যোগাযোগ, নদীভাঙ্গনসহ নানামুখী সমস্যায় মৌলভীবাজার

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : বুধবার, ১৭ জুন, ২০২০
  • ২৫০ পড়া হয়েছে
পাঠিয়েছেন-
আব্দুল ওয়াদুদ।। 

লকডাউন ও করোনা দেখিয়ে ৪২ কোটি টাকার কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে

মৌলভীবাজার-সমশেরনগর ও রাজনগর-খেয়াঘাটবাজার সড়কের বেহাল দশা

এই সড়কে মানুষের দূর্ভোগের মাত্রা উপলব্দি করতে জরীপ কিংবা মাফ-যোগ দিতে হবেনা। প্রমাণে ছবিই যথেষ্ট। বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা ও বৃটিশ তৈরি সমশেরনগর বিমানবন্দর অধ্যুষিত মৌলভীবাজার-সমশেরনগর সড়কের বর্তমান এই বেহাল দশায় জনজীবন একেবারে থমকে গেছে। এছাড়াও দেশের অন্যতম বৃহৎ হাওর কাউয়াদীঘি বেষ্টিত মৌলভীবাজার-রাজনগর-খেয়াঘাটবাজার সড়কটির নাজেহাল অবস্থার কারণে গুরুত্বপুর্ণ যান চলাচল একেবারেই বন্ধ রয়েছে। দুটি সড়কের করুণ দশা ও তড়িৎ গতিতে সংস্কার না করার কারণে ৪টি উপজেলার মানুষ দোষ দিচ্ছেন খুদ স্থানীয় সংসদ সদস্যদের।
সংসদের সাবেক চীফ হুইপ ও সাবেক জেলা আ’লীগ সভাপতি স্থানীয় সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদের নির্বাচনী এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি হচ্ছে কমলগঞ্জ উপজেলাধীন মৌলভীবাজার-সমশেরনগর সড়ক। জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ বাজার সমশেরনগর সংলগ্নে সেই বৃটিশ পিরিয়ড-এ ভিন দেশীদের সাথে সহজে যুদ্ধ পরিচালনা করতে বৃটিশরা নির্মাণ করে সমশেরনগর এয়ারপোর্ট। বিভিন্ন কারণে এটি এখন বন্ধ থাকলেও আভ্যন্তরিন রুট থেকে প্রাইভেট করে ভিওআইপিগণ এখনো এটি ব্যবহার করে তাদের মালিকানাধীন চা বাগান, মাধবকুন্ড ও হামহাম জলপ্রপাত ও দেশের বৃহত্তম হাওর হাকালুকিসহ নানা সৌন্দর্য্য উপভোগ করেন। এই পথ দিয়ে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের চাতলাপুর চেকপোষ্টে প্রতিনিয়ত শত কোটি টাকার বৈধ মালামাল আমদানী ও রপ্তানী করে দুই দেশ।
এছাড়াও একটি পলিটেকনিক ইনিস্টিটিউট,চক্ষু হাসপাতাল, পাসপোর্ট অফিসসহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দফতর থাকার পরও জেলা সদর থেকে সমশেরনগরবাজার পর্যন্ত প্রায় ৩৩ কিলোমিটার যায়গার এই সড়কটি অবহেলায় পড়ে আছে অনেক দিন ধরে। এই গ্রীষ্মের বাদলা দিনে এক নজরে সড়কটির দিকে থাকালে করূণ এক যাতনার সৃষ্টি হয়। পাঁকা সড়কটি যেন সেই কবে থেকেই তার উপরের অংশ হারিয়ে ফেলে কংক্রিট পর্যন্ত বেড়িয়ে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির মৌসুমে জরুরী কাজে কোন যাত্রী এই সড়ক দিয়ে পথ চললে ক্ষণে ক্ষণে চাকা গুলো ঢেবে যায়।
৩৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এই সড়ক দিয়ে ৪০ মিনিটে অতিক্রম করার সুযোগ থাকলেও এ পথে যেতে এখন সময় লাগে প্রায় ২ ঘন্টা। এমন দূর্দশা আর দূর্গতি থেকে রেহাই পেতে সাধারণ যাত্রীরা খুব দ্রুত সংস্কারের দাবী তুলেছেন। এই দাবী এখন আর মুখে মুখে নয়। ফেইসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্থানীয় এমপি’র বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় তুলেছেন শত শত আইডিধারী ব্যক্তি। সেই সাথে তড়িৎ গতিতে সংস্কারের দাবীও তুলেছেন। এদিকে মৌলভীবাজার সদর আসনের অন্তর্ভুক্ত রাজনগর-খেয়াঘাটবাজার সড়কটির আরো করূণ হাল হয়েছে। রাজনগর সদর থেকে খেয়াঘাটবাজার পর্যন্ত প্রায় প্রায় ১৭ কিলোমটার পথের দূর্ভোগের মাত্রা যেন সীমা ছাড়িয়ে গেছে। ইট,কংক্রিট,সুরকি বের হয়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের বাগমারা, মোকামবাজার, ভুরভুরি পুল, মেদেনীমহল ও পাঁচগাঁও এলাকার। ওই রুটে দীর্ঘ প্রায় ২ বছর ধরে গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। এখন যাত্রীদের কাছ থেকে প্রায় দ্বিগুন ভাড়া নিয়ে ওই সড়কে অটোরিক্সা চলাচল করে।
এদিকে মৌলভীবাজার-সমশেরনগর সড়কের মোট ৩৩ কিলোমিটারের মধ্যে মাত্র ২০ কিঃমিঃ সড়কের ক্ষতিগ্রস্থ যায়গা দেখে সংস্কারের জন্য ৪২ কোটি টাকার টেন্ডার হলেও অল্প কাজ করে লকডাউনও বর্ষা মৌসুম দেখিয়ে অনেক আগে থেকেই সংস্কার কাজ বন্ধ করা হয়েছে। ওই কাজটি বর্তমানে উপরোক্ত সমস্যা দেখিয়ে সাময়ীক বন্ধ রাখা হলেও বসন্ত মৌসুমে চাইলে পুরোদমে সংস্কার করা যেত এমন অভিযোগও রয়েছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে। তবে মৌলভীবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহরিয়ার আলম শনিবার যায়যায়দিনকে জানান, সমশেরনগর সড়কে ৩৩ কিঃমিঃ যায়গার মধ্যে ২০কিঃমিঃ ভাঙ্গা-চুড়া সংস্কার করতে ইতিমধ্যে ৪২ কোটি টাকার টেন্ডার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। লকডাউন ও বৃষ্টির কারণে এসব কাজ বন্ধ রয়েছে। এখন এখানকার ক্ষতিগ্রস্থ যায়গা দেখে ইট সলিং করা হচ্ছে। রাজনগর-খেয়াঘাটবাজার সড়কের সমস্যার কথা জানতে চাইলে প্রকৌশলী শাহরিয়ার বলেন, এটা এলজিইডির অধিনে ছিল। তারা আমাদের কাছে হস্থান্তর করছে এমন খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রে পেয়েছি। আশা করছি ওই সড়কটিরও সংস্কার কাজ পরের বছর করতে পারবো।

কুশিয়ারা নদীতে ৬০ কোটি টাকার ভূমি বিলীন

মৌলভীবাজারে হদিস নেই পুরানো বাজারসহ ২ শতাধিক ঘর-বাড়ির

পাহাড়ি ও সীমান্ত অধ্যুষিত মৌলভীবাজারে কুশিয়ারা নদীতে ভাঙ্গন প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। প্রায় ৪ যুগ ধরে এসব ভাঙ্গন চলতে থাকলেও সরকারি তরফ থেকে ঠেকানোর কোন উদ্যোগ না নেয়াতে বাড়ি-ঘর হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন নদী পাড়ের প্রায় ৩ সহ¯্রাধীক জেলে ও কৃষকেরা। সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার বারো ঠাকুরি সংযোগস্থরের বরাক নদী থেকে আসা মৌলভীবাজার সদর ও রাজনগর উপজেলা হয়ে প্রায় ৪০ কিলোমিটার যায়গা জুড়ে বয়ে গেছে চিরচেনা এ নদীটি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঠিক সংরক্ষণ’র অভাব ও খামখেয়ালির কারণে অর্ধ্বশত বছর ধরে এমন ভাঙ্গন প্রতিরোধ করা যাচ্ছেনা। সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজনগর উপজেলার উত্তরভাগ ইউনিয়নের নদী পাড়ের বকসিপুর, ছিক্কাগাঁও, কামালপুর, শত বছরের কালারবাজার, আমনপুর, সুরিখাল, যুগিকোনা, কেশরপাড়া, সুনামপুর, উমরপুর, কান্দিগাঁও, জোড়াপুর, রামপুর ও ফতেপুর ইউনিয়নের সাদাপুর, হামিদপুর, বেড়কুড়ি, পশ্চিম বেড়কুড়ি (দাশপাড়া), শাহাপুর, জাহিদপুর, আব্দুল্লাহপুর, রশীদপুর ও সদর উপজেলার আরো ১০টি গ্রামের প্রায় ২ শতাধিক ঘর-বাড়ি একেবারে বিলীন হয়ে গেছে।
উরোক্ত এলাকা থেকে নদীতে হারিয়ে গেছে প্রায় ১ হাজার কিয়ার জমি। এখানকার স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এসব জমির কিয়ার প্রতি বর্তমান বাজারমূল্য সর্বনি¤œ ৬ লাখ টাকা ধরা হলে ১ হাজার কিয়ার জমির দাম হবে ৬০ কোটি টাকা। এসব গ্রামের ভুক্তভোগী মধ্য ও নি¤œবৃত্ত মানুষেরা নিজেদের বাড়ি হারিয়ে মাথাগুজার ঠাই পাচ্ছেন না এখনো। এক নজড়ে কৃষক ও জেলেদের দিকে থাকালে মনে হয়, এতো টাকার জমি হারিয়ে সহজ-সরল মনের এসব মানুষগুলো যেন এখনো প্রতিবাদী হয়ে উঠেননি।
এলাকার জনপ্রতিনিধি ও সচেতনমহলের দাবী খুব দ্রুত ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় গার্ড ওয়াল অথবা ব্লক’র আওতায় নিয়ে আসলে ভাঙ্গনরোধ করা যেতে পারে। ফতেপুর ইউনিয়নের তীর ঘেষা শাহাপুর গ্রামের ভোক্তভোগী সুয়েজ আহমদ বলেন, নদী পাড়ের গ্রামের শাহাপুর জামে মসজিদ ও ২০/২৫টি বাড়িসহ প্রায় অর্ধ্বেক গ্রাম নদীতে হারিয়ে গেছে সেই কবে থেকে। সরকারি তরফ থেকে যদি এখনো কোন পদক্ষেপ নেয়া যায়, তবে গ্রামের বাকি অংশটুকু হয়তো রক্ষা পাবে। ওই গ্রামের সুরমান আলী জানান, তার ঘরের অর্ধ্বেক অংশ নদীতে হারিয়ে গেছে। অবশিষ্ট তার কোন জমি-জমা না থাকার কারণে এই ভাঙ্গা অংশে বউ-বাচ্চাদের নিয়ে আতঙ্কে বাস করছেন। তিনি আরো জানান, ঘরের অবশিষ্ট এই অংশটুকুর সাথে যদি ঘুমের ঘরে আমরাও হারিয়ে যাই এই ভয়ে প্রতি রাতে এখন তার আর ঘুম হয়না। পশ্চিম বেড়কুড়ি ও জাহিদপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম বাচ্চু ও মাধবচন্দ জানান, ৪ যুগ ধরে ওই দুই গ্রামে অব্যাহত ভাঙ্গন চলছে। গ্রামের মসাই মিয়া,ইয়াছিন মিয়া, নর্মদা দাসসহ আরো অনেকের ঘর হারিয়ে গেছে।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রনেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী সোমবার যায়যায়দিনকে জানান, কুশিয়ারা নদীতে ওয়াপধা বাঁধ সংলগ্নের কালারবাজার,শেরপুরসহ আরো বেশ কিছু যায়গা রক্ষা করতে আমরা ২৫৬ কোটি টাকার প্রজেক্ট প্রস্তুত করেছি। আগামী জুলাই-আগষ্ট মাসে সংশ্লিষ্ট দফতরে জমা দেবো। নদী পাড়ের ভাঙ্গন কবলিত ঘর-বাড়ি রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ডর কোন প্রজেক্ট আছে কি না জানতে চাইলে প্রকৌশলী রনেদ্র বলেন, ওয়াপধা বাঁধের বাহিরের কোন অংশে (নদী পাড়) আমরা কাজ করবো না। আমাদের কাজ হচ্ছে ওয়াপধা বাঁধ ও তার আশপাশ রক্ষা করা।

কামরানের মৃত্যুতে পরিবেশ ও বন ও মন্ত্রীর শোক


সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট মহানগর আ’লীগ’র সাবেক সভাপতি বদর উদ্দিন আহমেদ কামরানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেধনা জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন এমপি।
সোমবার গণমাধ্যমে দেয়া এক শোকবার্তায় পরিবেশ মন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা ও তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। বন মন্ত্রী বলেন, সিলেটের আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে বদর উদ্দিন আহমেদ কামরানের অবদান চিরস্মরণীয়। তাঁর শূন্যতা পূরণ হবার নয়। সিলেটের উন্নয়ন ও জনসেবার জন্য তিনি দীর্ঘদিন মানুষের মনে বেচে থাকবেন। উল্যেখ্য, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কামরান(৬৯) রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাত ৩টায় মৃত্যুবরণ করেন।

ভ্রাম্যমান আদলতের অভিযানে দেড় হাজার মামলা দায়ের, জরিমানা ৩৪ লাখ টাকা

মৌলভীবাজারে করোনায় সরকারি সহায়তা ১ কোটি ১৭ লাখ টাকা

পর্যটন ও প্রবাসী অধ্যুষিত মৌলভীবাজারে করোনা মোকাবেলায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অধিনে ৩ মাসে বেশ কটি অভিযান,মামলা দায়ের সহ ৩৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বিভিন্ন উপজেলার ইউএনও,এসিল্যান্ড ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটগণ পৃথকভাবে এসব অভিযান পরিচালনা করেন। গত মার্চ মাসে জেলায় মোট ৮৫ টি মোবাইল কোর্ট ২৩৬ টি মামলা ও অর্থ আদায় হয়েছে ১৭ লাখ ৭ হাজার ৮ শ ৫০ টাকা। এপ্রিলে ১৫৯ টি মোবাইল কোর্টসহ ৯২৪ টি মামলা ও নগদ অর্থ আদায় হয়েছে মোট ১১ লাখ ৯৭ হাজার ৩ শ ৬০ টাকা ও কারাদন্ড দেয়া হয়েছে আরো ১ জনকে। গেল মে মাসে ৯৮ টি মোবাইল কোট পরিচালনা করে ৫শ ৩ টি মামলা দায়েরসহ অর্থ আদায় হয়েছে ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৬শ টাকা। এ মাসে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে আরো ৫ জনকে।

সব মিলিয়ে ৩ মাসে মোট ভ্রাম্যমান আদালাত পরিচালনা করা হয় ৩শ ৪২টি, মামলা দায়ের করা হয়েছে ১ হাজার ৬শ ৬৩টি ও মোট অর্থ আদায় করা হয়েছে ৩৩ লাখ ৯০ হাজার ৮শ ১০ টাকা। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রফিকুল ইসলাম এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য উপাত্ত দেন।

এদিকে প্রাসী অধ্যুষিত মৌলভীবাজারে এ পর্যন্ত মোট করোনাক্রান্ত হয়েছেন ১৫২জন। জেলায় মোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৬২ জন। মারা গেছেন মোট ৪জন। জেলায় মোট হোম কোয়ারেন্টইনে ছিলেন ২ হাজার ৭শ ২২ জন, বের হয়েছেন ২ হাজার ৫শ ২০ জন। জেলায় মোট বরাদ্দকৃত চাল ২ হাজার ৫শ ৭৫ মেঃটন। এ পর্যন্ত মজুদ আছে ৭ শ ১১ মেঃটন। জেলায় নগদ সরকারি সহায়তা এসেছে ১ কোটি ১৭ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এ পর্যন্ত মজুদ আছে ৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা। শিশু খাদ্য এসেছে ৩২ লাখ টাকা। মজুদ আছে ২ লাখ টাকা।

মোহাম্মদ নাসিম’র মৃত্যুতে পরিবেশ ও বন মন্ত্রীর শোক

আ’লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, ১৪ দলের মুখপাত্র ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন এমপি। পরিবেশ মন্ত্রী শনিবার গণমাধ্যমে দেয়া এক শোকবার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। শোকবার্তায় পরিবেশ ও বন মন্ত্রী বলেন, মোহাম্মদ নাসিম ছিলেন এক বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের অধিকারী। আজীবন দেশ ও মানুষের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করেছেন এ রাজনীতিবিদ। তাঁর মৃত্যু দেশ ও জাতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। জনসেবা, দেশ ও সমাজের উন্নয়নে তাঁর অবদান জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। উল্যেখ্য,জাতীয় চার নেতার অন্যতম মোঃ মনসুর আলীর সন্তান মোহাম্মদ নাসিম (৭২) শনিবার সকালে রাজধানীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ২০১৪-২০১৮ মেয়াদে বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে স্বরাষ্ট্র, গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও তিন সন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার

মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কাগাবলা থেকে গাঁজাসহ ২ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করছে মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশ। সোমবার রাতে সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন’র নেতৃত্বে এসআই জিয়াউল ইসলাম ও এএসআই মিজানুর রহমান’র অভিযানে ১ কেজি গাঁজাসহ ওদের আটক করা হয়েছে এমনটা জানিয়েছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন- হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার সাতাইহাল গ্রামের আং নুর’র পুত্র বাবুল মিয়া ও একই এলাকার লোকমান মিয়ার পুত্র ফয়সল মিয়া। সংশ্লিষ্ট আইনে ওই দুজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। উল্যেখ্য,মৌলভীবাজার মডেল থানার এসআই জিয়াউল ইসলাম ওই থানায় যোগদানের পর থেকে, চুর-ডাকাত, মাদক ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন অপরাধ দমনে বিশেষ ভূমিকা রাখতে দেখা যায়।

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT