1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
আষাঢ়ে বন্যা কমলগঞ্জে ফসলহানীসহ ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি - মুক্তকথা
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:২৬ অপরাহ্ন

আষাঢ়ে বন্যা কমলগঞ্জে ফসলহানীসহ ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : মঙ্গলবার, ২৩ জুন, ২০২০
  • ৩২২ পড়া হয়েছে
আষাঢ়ে বন্যা আদমপুর

ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ছড়ার পানি উপচে কমলগঞ্জে শতাধিক পরিবার পানিবন্দি

তলিয়ে গেছে ৩শ’ হেক্টরের আউশ ক্ষেত

কমলগঞ্জ  প্রতিনিধি।।  গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি পাহাড়ি ছড়ার পানি উপচে প্রায় ৩শ’ হেক্টরের আউশ ক্ষেত তলিয়ে গেছে। আদমপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের প্রায় শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তবে উজানের পানি কিছুটা নামলেও আদমপুরসহ নি¤œা লে অবনিত হচ্ছে। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার আদমপুর, ইসলামপুর ইউনিয়ন ঘুরে ঘুরে এ চিত্র পাওযা যায়। গত ২৪ ঘন্টায় তেমন বৃষ্টিপাত না হওয়ায় ধলাই নদীর পানি কমে শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টায় ধলাই রেল সেতু এলাকায় বিপদ সীমার ১৮ দশমিক ৮৯ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।

স্থানীয়রা জানান, গত তিনদিনের ভারী বর্ষনে ও পাহাড়ি ঢলে উপচে পড়ে ছড়ার পানি। এসব পানি ইসলামপুর ইউনিয়ন হয়ে আদমপুর ইউনিয়নের মধ্যদিয়ে আলীনগর, শমশেরনগর, পতনউষার, মুন্সীবাজারসহ নি¤œা লে প্রবাহিত হচ্ছে। ইসলামপুর ও আদমপুর ইউনিয়নের ডালুয়াছড়া, বাঘাছড়া, ইছাছড়া ও লাউয়াছড়ায় পাহাড়ি পানি উপচে বিস্তির্ণ এলাকা ও রাস্তাঘাট নিমজ্জিত হয়। ফলে পাহাড়ি ঢলের পানি জমে জলাবদ্ধতায় আদমপুর, ইসলামপুর, শমশেরনগর, পতনউষার ও মুন্সীবাজার ইউনয়িনের প্রায় ৩শ’ হেক্টরের আউশক্ষেত নিমজ্জিত হয়েছে। অনেক বাড়িঘরও পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। আদমপুর ইউনিয়নের তেতইগাঁও, ঘোড়ামারা ও উত্তরবাগ গ্রামের প্রায় শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এছাড়া বন্দরগাঁও, ছনগাঁও, তেতইগাও, পূর্বজালালপুর, উত্তরবাগ, মধ্যভাগ, জালালপুর, আধকানি, বনগাঁও, ঘোড়ামারা গ্রামের পুরোদমে আউশক্ষেত নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। কমলগঞ্জ-কুমরা সড়কের আদমপুরের আধকানি ও ইসলামপুর ইউনিয়নের গোলের হাওর এলাকার রাস্তা প্রায় এক ফুট পরিমাণ পানিতে নিমজ্জিত আছে। শমশেরনগর ইউনিয়নের শিংরাউলী, বড়চেগ, কৃষ্ণপুর, হাজিনগর, সতিঝির গাঁও, রাধানগর ও মরাজানের পারের বেশ কিছু এলাকার আউশ ক্ষেত পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। পতনউষার ইউনয়িনের কেওলার হাওরেও নিমজ্জিত হচ্ছে আউশক্ষেত।

আদমপুর ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল খতিব, আসলম মিয়া, সহিদ মিয়া, সোয়াব আলী ও আধকানি গ্রামের সালাম মিয়া, রজব আলী, আরব আলীসহ কৃষকরা বলেন, আমাদের শতাধিক কৃষকের রোপিত আউশ ক্ষেত নিমজ্জিত হয়েছে। কয়েকদিন হলো রোপনের এখনই পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়াও চলতি মৌসুমের কিছু সবজি ক্ষেতও নিমজ্জিত হয়েছে। দ্রুত পানি না নামলে তারা আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলেন অভিযোগ করেন।

কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম বলেন, তিনি শুক্রবার বিকালে সরেজমিনে আদমপুর ও ইসলামপুর ইউনিয়নে তলিয়ে যাওয়া ক্ষেত পরিদর্শন করেছি। এই দুই ইউনিয়নের ১৩০ হেক্টর আউশ ক্ষেত নিমজ্জিত হয়েছে। তবে অনেক স্থানে পানি নেমে গেছে। ফলে এসব এলাকায় কোন ক্ষয়ক্ষতি করবে না। জলাবদ্ধতার কারণে ফসলি জমি পানিতে নিমজ্জিত ছিল এখন পানি নামতে শুরু করেছে।

কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক বলেন, স্থানীয় কিছু লোকজন তাদের জমিতে ভিটা ভরাট, ছড়ার কালভার্ট বন্ধ ও ড্রেনেজ বন্ধ করে দেওয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার কিছু কালভার্ট খুলে দেওয়া হয়েছে। বাকিগুলোও খুলে দেওয়া হবে। তাহলে আর এ সমস্যা হবে না।

পানি উন্নয়ন বোর্ড মৌলভীবাজার এর নির্বাহী প্রকৌশলী রনেন্দ্র শঙ্কর চক্রবর্তী  বলেন গত ২৪ ঘন্টায় তেমন বৃষ্টিপাত না হওয়ায় ধলাই নদীর পানি অনেক কমে গেছে। এখন পানি বিপদ সীমার ১৮ দশমিক ৮৯ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মাধবপুর ইউনিয়নের শিমুলতলা এলাকায় প্রতিরক্ষা বাঁধ কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। এ স্থান সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

কমলগঞ্জে বজ্রপাতে মারা যাওয়ায় শিক্ষার্থীসহ প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা পেলেন দুটি পরিবার

উল্লেখ্য যে, সম্প্রতি উজিরপুর গ্রামের ফার্নিচার ব্যবসায়ি আমিন মিয়ার ছেলে কমলগঞ্জ আইডিয়াল কেজি স্কুলের ৭ম শ্রেণীর ছাত্র জুবের উদ্দিন এবং বালিগাঁও গ্রামের মনির মিয়া বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছিল।

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় সম্প্রতি বজ্রপাতে নিহত পৌর এলাকায় ও বালিগাঁও গ্রামের মনির মিয়ার স্ত্রী ও উজিরপুর গ্রামের জুবের উদ্দিনের পরিবার প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহায়তা পেল দুটি পরিবার। গত শনিবার (৬ জুন) বিকেলে কমলগঞ্জ উপজেলা চৌমুহনাস্থ জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে এক অনুষ্টানে প্রধানমন্ত্রীর অর্থ সহায়তা হিসেবে পরিবারপ্রতি ৫ হাজার চেক নিহত পরিবারবর্গের হাতে তুলে দেন সাবেক চিফ হুইপ ও অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি, মুক্তিযোদ্ধা উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ এমপি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. জুয়েল আহমদ।

একটি মহিষসহ ৫টি গরুর মৃত্যু

মৌলভীবাজারের উপজেলায় গুটি বসন্তসহ ভাইরাসে তিন সহস্রাধিক গবাদি পশু সংক্রমিত

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ, কুলাউড়া ও রাজনগর উপজেলায় চর্মরোগ জাতীয় গুটি, খোঁড়া, ফুলাসহ একটি ভাইরাস রোগে গবাদি পশু আক্রান্ত হচ্ছে। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে তিন উপজেলায় প্রায় তিন সহ¯্রাধিক গবাদি পশু আক্রান্ত ও একটি মহিষসহ ৩টি গরু মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। কৃষকদের অভিযোগে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এসব চিত্র পাওয়া গেছে। তবে কমলগঞ্জ উপজেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগ করোনা ভাইরাসের মধ্যেও চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করেছে। প্রতিষেধক না থাকায় এ রোগ ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানিয়েছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।

সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, লাম্পিং স্কিন ডিজিজ নামে চর্মরোগ জাতীয় একটি ভাইরাস রোগে গবাদি পশুর মধ্যে মারাত্মক হারে সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার আলীনগর, শমশেরনগর, পতনউষার, মাধবপুর, আদমপুর, মুন্সীবাজার ইউনিয়নসহ বিভিন্ন গ্রাম ও চা বাগান এলাকা, কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়ন ও রাজনগর উপজেলার কামারচাক, মরিচা এসব এলাকায় গবাদি পশুর গুটি বসন্তসহ ভাইরাস রোগের সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রায় দেড় মাস সময় ধরে বিভিন্ন এলাকায় এ রোগের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। গলাসহ গরুর সারা দেহে গুটি, খোঁড়া, ফুলা রোগ দেখা দিচ্ছে। এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে বিশ দিন আগে পতনঊষারের শ্রীসূর্য্য এলাকার অসিত শীল এর একটি, পনের দিন আগে আলীনগর ইউনিয়নের কামদপুর গ্রামের মনাফ মিয়ার একটি, মাধবপুর ইউনিয়নের নোওয়াগাঁও গ্রামের সাবাজ মিয়া দুইটি গরু, দশ দিন আগে মুন্সীবাজার ইউনিয়নের বাসুদেবপুর এলাকায় একটিসহ ৫টি গরু এবং সপ্তাহ দিন আগে রাজনগর উপজেলার মরিচা গ্রামে শামীম মিয়ার লক্ষাধিক টাকা মূল্যের একটি মহিষ মারা গেছে।

পতনউষারের তোয়াবুর রহমান, আক্তার মিয়া, মরিচা গ্রামের শামীম মিয়া, শমশেরনগর সতিঝির গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান, আলীনগরের মনাফ মিয়া, মুন্সীবাজার ইউনয়িনের আশরাফুল ইসলামসহ কৃষকরা অভিযোগ করে বলেন, তাদের এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে এসব রোগে গবাদি পশু আক্রান্ত হচ্ছে। সব মিলিয়ে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে আক্রান্ত হবে প্রায় ৫ হাজার গবাদি পশু বলে তারা দাবি করেন। তারা আরও অভিযোগ করেন, আক্রান্ত পশুর জন্য সরকারিভাবে ভালো কোন চিকিৎসা সুবিধাও পাওয়া যাচ্ছে না। প্রাইভেট চিকিৎসকদের অধিক মূল্য দিয়ে চিকিৎসা প্রদান করতে হচ্ছে। ফলে করোনা ভাইরাসের এই সময়কালে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হতে হচ্ছে।
বাসুদেবপুর এলাকার আশরাফুল ইসলাম বলেন, প্রাথমকিভাবে বেশীরভাগ গরুর গায়ে গুটি গুটি উঠা, গলা ও পা ফুলে যাওয়া, গরুর গায়ে অতিরিক্ত জ্বও হয়। এসময় গরু কিছুই খেতে চায় না। এক পর্যায়ে গরু হাটতে পারে না আর গরুর গায়ের উঠা গুটির স্থান ঘাঁ হয়ে যায়।  তবে নাম প্রকাশ না করে প্রাণি সম্পদ বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা জানান আসলে এ রোগ প্রতিরোধের সঠিক কোন ঔষধ এ জেলায় পাওয়া যাচ্ছে না।

কমলগঞ্জ পৌরসভার গোপালনগর গ্রামের সুয়েব আহমেদ, মাধবপুর ইউনিয়নের নোওয়াগাঁও গ্রামের কামাল বক্স, মঈনুল ইসলাম, সোহেল মিয়া, পারুয়াবিল গ্রামের মাসুক মিয়া, মাঝেরগাঁও গ্রামের রাধাকান্ত সিংহ, মদনমোহন পুর চা বাগানের আমজাদ হোসেন জানিয়েছেন, এ রোগে তাদের আক্রান্ত গবাদি গরুর গায়ে প্রথমে বসন্তের মতো গুটি দেখা যায়। দু-এক দিনের মধ্যেই গরুর পুরো শরীরে থাকা গুটিগুলো ক্ষতে পরিণত হয়। এ সময় গরুর শরীরে অতিরিক্ত তাপমাত্রা দেখা দেয় এবং গরু খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দেয়। অনেক সময় গরুর বুকের নিচে পানি জমে ক্ষত সৃষ্টি হয়। ক্ষতস্থান পঁচে গিয়ে সেখান থেকে মাংস খসে খসে পড়ে। বদলেরগাঁও গ্রামের নিশিকান্ত সিংহ, নোওয়াগাঁও গ্রামের সাবাজ মিয়া জানান, এ রোগে আক্রান্ত হয়ে তাদের দুটি গরু মারা গেছে। সঠিক সময়ে উপযুক্ত চিকিৎসা কিংবা রোগের লক্ষণ জানা না থাকায় বেশ কিছু গরু ইতিমধ্যে মারা যাচ্ছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কোন সহযোগিতা মিলেনি, তাই গ্রাম্য পশু চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা করেও গরুগুলোকে বাঁচানো যাচ্ছেনা।

এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. হেদায়েত আলী সত্যতা স্বীকার করে বলেন, গবাদি পশুর এটি লাম্পিং স্কিন ডিজিজ জাতীয় একটি ভাইরাস রোগ। বর্তমানে সবদিকে কমবেশি এ রোগে আক্রান্ত গবাদি পশু দেখা যাচ্ছে। এটি মশা, মাছি থেকে সংক্রমিত হচ্ছে। তবে প্রাণি সম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে করোনার মধ্যেও যথাসাধ্য চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। এসব রোগে আক্রান্ত পশু সুস্থ হতে কিছুটা সময় লাগে বলে তিনি দাবি করেন। তবে মারা যাওয়া গরুগুলো সম্পর্কে তিনি বলেন, এগুলো হয়তো ভূল চিকিৎসার কারণে মারা যেতে পারে। তিনি আরো বলেন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের হিসাব অনুযায়ী কমলগঞ্জ উপজেলায় ল্যাম্পি স্কিন রোগে এ পর্যন্ত ৪ শতাধিক গরু আক্রান্ত হয়েছে। তবে এ রোগে কোথাও গরু মারা যাওয়ার খবর তাঁদের জানা নেই। তিনি আরো জানান, এ রোগের ভ্যাকসিন না থাকায় রোগটির প্রকোপ দ্রুত বিস্তার লাভ করছিল। তবে এখন অনেকটা কমে এসেছে। তারপরও এলাকার মানুষকে সচেতন করতে ইতিমধ্যে প্রচারপত্র বিতরণ করা হচ্ছে। কিন্তু চলমান করনো পরিস্থিতির মধ্যে সভা-সেমিনারের ব্যবস্থা করা যাচ্ছেনা।

করোণা সহায়তা

কমলগঞ্জে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হাসিমুখে করোনার নমুনা সংগ্রহ করে সেবা দিচ্ছেন তারা

বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস মোকাবিলায় মৌলভীবাজারের সীমান্তবর্তী কমলগঞ্জে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লড়াই করছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। সামনের কাতারে দাঁড়িয়ে জরুরিসেবা দিয়ে যাচ্ছেন তারা। সংক্রমণের বিরুদ্ধে তাদের সঙ্গে সমানতালে কাজ করছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্টরাও। এমনই তিনজন হচ্ছেন-কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ সৌমিত্র সিনহা, মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট (ল্যাব) সুর্নিমল কুমার সিংহ ও মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট (ইপিআই) আশরাফুল আলম।
করোনা সংকটের শুরু থেকেই পরিবারের কথা না ভেবে সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। করোনার উপসর্গ দেখা দিলে তারা ছুটে যাচ্ছেন নমুনা সংগ্রহ করতে। আবার করোনা পজিটিভ আক্রান্তদের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে আসছেন। একই সঙ্গে হাসপাতালে আসা উপসর্গের রোগীদের নমুনা সংগ্রহের পর সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে পাঠানোর দায়িত্বও পালন করছেন তারা। তাদের পরিবারের সদস্যরা নিজেরা করোনা আতঙ্কে থাকলেও নমুনা সংগ্রহের এ দায়িত্ব পালনে সম্মতি দেন। আর এতে নিষ্টার সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে পারছেন এই তিনজন। তারা বিরামহীন দিন-রাত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনার নমুনা সংগ্রহ ও আক্রান্তদের নিয়মিত স্বাস্থ্য সেবা দিচ্ছেন তারা। করোনা পরিস্থিতির কারণে সচেতন লেঅকজন যখন নিরাপদে বাসা-বাড়িতে থাকছেন, তখন কিছু মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হাসিমুখে জরুরি সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। মহামারীর এই সময়ে দায়িত্ব পালনে নানা প্রতিকূলতা থাকলেও, সেবা দিতে পেরেই গর্বিত তারা।
মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট (ল্যাব) সুর্নিমল কুমার সিংহ বলেন, এ রকম মহৎ কাজে জড়িত হয়ে মানুষের সেবা দিয়ে যেতে পারছি বলে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। সতর্কতা অবলম্বন করে আমরা নমুনা সংগ্রহ করে যাচ্ছি।’
মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট (ইপিআই) আশরাফুল আলম বলেন, সরকারি চাকরির পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতাও রয়েছে। এ কারণে আমরা যতœ সহকারে উপসর্গের রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করি। এজন্য বন্ধু-বান্ধব প্রতিবেশী কেউই আমাদের কাছে আসতে চায় না। তাদের ধারণা আমরা যেন করোনাভাইরাস নিয়ে বসে আছি, তখন কষ্ট পাই।
কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, শনিবার (৬ জুন) ৩ জনসহ কমলগঞ্জ উপজেলা থেকে এ পর্যন্ত মোট ৩৬৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে মোট ২৭ জনের পজেটিভ রিপোর্ট আসে। সুস্থ হয়েছেন ৭ জন। করোনার সন্দেহজনক উপসর্গ দেখা দিলেই কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিম নমুনা সংগ্রহ করতে ছুটে যান। ঈদসহ অনেক আনন্দকে পাশ কাটিয়ে দিনের পর দিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। পরিবার পরিজনের মায়া ত্যাগ করে এই সংকটময় মুহুর্তে তাঁরা মানবতার যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা মনে রাখবে চিরকাল কমলগঞ্জবাসী। তাদের ত্যাগ ও অবদান নিঃসন্দেহে অভিবাদন পাওয়ার যোগ্য। করোনাকালে করোনাযুদ্ধের অগ্রসৈনিক এই স্বাস্থ্যকর্মীরা।
কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতা ডাঃ এম, মাহবুবুল আলম ভূঁইয়ার নির্দেশনায় নমুনাগুলো সংগ্রহ করা হয়। কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নমুনা সংগ্রহ টিমের সদস্যরা হলেন- মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ সৌমিত্র সিনহা, মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট (ল্যাব) সুর্নিমল কুমার সিংহ ও মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট (ইপিআই) আশরাফুল আলম। এছাড়াও বিভিন্ন সময় নমুনা সংগ্রহ করে থাকেন মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ জয়দ্বীপ পাল, আব্দুল আউয়াল ও অভিজিত সিংহ।
করোনা যোদ্ধারা জানান, সমাজের অনেকেই করোনা রোগীদের পাশাপাশি আমাদেরকেও খারাপ চোখে দেখে, খারাপ মন্তব্য করে। তবুও পরিবারের সবাইকে নিরাপদ রেখে সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং নিজের কর্মক্ষেত্রকে সম্মান করে কাজ করে যাচ্ছি। তারা সবাইকে অনুরোধ করেন বলেন, করোনায় সংক্রমিত হওয়া কোন অপরাধ নয়। করোনা পজেটিভ মানেই মৃত্যু নয়। করোনা রোগীদের প্রতি সহমর্মিতা দেখান, সামাজিক সচেতনতাই পারে করোনা ভয়কে জয় করতে।
আলাপকালে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এম, মাহবুবুল আলম ভূঁইয়া বলেন, কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এই তিনজন সার্বক্ষণিক নমুনা সংগ্রহের কাজ করছেন। এছাড়া আরো তিনজন পর্যায়ক্রমে সংক্রমণ ঝুঁকি নিয়ে তারা বাড়ি বাড়ি গিয়েও নমুনা সংগ্রহ করছেন। এ পর্যন্ত উপজেলায় ৩৬৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করার জন্য পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে এ উপজেলায় মোট ২৭ জনের পজিটিভ এসেছে। পজিটিভের মধ্যে মোট ৭ জন সুস্থ আছেন। তারা বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলেও জানান এই কর্মকর্তা। তিনি আরো বলেন, সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে ইতিমধ্যে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোভিড-১৯ এর সুরক্ষা বুথ স্থাপন করা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০টি বেড নিয়ে আইসোলেশন সেন্টার প্রস্তুত রয়েছে।

কমলগঞ্জে ৬০১ চা শ্রমিককে এককালীন আর্থিক সহায়তা প্রদান

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার এককালীন নগদ ৫ হাজার টাকা করে ৬০১ জন চা শ্রমিকের মাঝে ৩০ লক্ষ ৫ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার(৬ জুন) বিকাল সাড়ে ৪ টায় শমশেরনগর শমশেরনগর চা বাগান দুর্গা মন্দির প্রাঙ্গণ ও বিকাল  সাড়ে ৫টায় কানিহাটি চা বাগান দুর্গামন্দির প্রাঙ্গণে উপজেলা প্রশাসন ও সমাজ সেবা কার্যালয়ের ব্যবস্থাপনায় সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় এই আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত
ছিলেন জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ ও অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি, মুক্তিযোদ্ধা উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ এমপি। কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশেকুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রামভজন কৈরী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিলকিস বেগম, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা প্রাণেশ চন্দ্র বর্মা, কমলগঞ্জ থানার ওসি আরিফুর রহমান, উপজেলা বিআরডিবির সাবেক বিআরডিবির চেয়ারম্যান ইমতিয়াজ আহমেদ বুলবুল, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল মালিক বাবুল, শমশেরনগর চা বাগানের পঞ্চায়েত সভাপতি-সম্পাদকসহ সংশ্লিষ্ট চা বাগানের পঞ্চায়েত সভাপতি-সম্পাদবৃন্দ।
কমলগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা প্রশাসন ও সমাজ সেবা কার্যালয়ের ব্যবস্থাপনায় সমাজ সেবা অধিদপ্তর কর্তৃক চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় শমশেরনগর চা বাগান, শমশেরনগরের ফাঁড়ি কানিহাটি চা বাগান, দেওছড়া চা বাগান, বাঘিছড়া চা বাগান ও ডবলছড়া চা বাগানের মোট ৬০১ জন দরিদ্র চা শ্রমিক পরিবারে নগদ ৫ হাজার টাকা করে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। চা শ্রমিকদের বসবাসের আনুপাতিকহারে শমশেরনগর চা বাগানে ৩০১ টি, কানিহাটি চা বাগানে ৯৯ টি, দেওছড়া চা বাগানে ৭৯ টি, বাঘিছড়া চা বাগানে ২১ টি ও ডবলছড়া চা বাগানে ১০১টি চা শ্রমিক পরিবারে ৫ হাজার টাকা করে মোট ৩০ লাখ ৫ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়।

 

কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোভিড-১৮ সুরক্ষা বুথ স্থাপন

করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোভিড-১৯ সুরক্ষা বুথ স্থাপন করা হয়েছে। চিকিৎসক ও হাসপাতালে আসা রোগীর সুরক্ষা ও করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে কমলগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উদ্যোগে এই ‘ঝুঁকিমুক্ত’ বুথ স্থাপন করা হয়। বুধবার (৩ জুন) বিকাল সাড়ে ৩টায় আনুষ্ঠানিকভাবে টেলিকনফারেন্স এর মাধ্যমে সুরক্ষা বুথের উদ্বোধন করেন মৌলভীবাজার-৪ (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য, সাবেক চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমান, কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জুয়েল আহমেদ, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা প্রানেশ চন্দ্র বর্মা, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এম, মাহবুবুল আলম ভূঁইয়া, কমলগঞ্জ থানার ওসি আরিফুর রহমান, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী পনিরুজ্জামান, উপজেলা বিআরডিবির সাবেক চেয়ারম্যান ইমতিয়াজ আহমেদ বুলবুল প্রমুখ।
কমলগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সমাজসেবা অধিদপ্তরের হাসপাতাল কার্যক্রমের আওতায় রোগী কল্যাণ সমিতির অর্থায়নে এটি স্থাপন হয়। কোভিড-১৯ সুরক্ষার এই বুথে রয়েছে ইনফ্রারেড থার্মোমিটার, পালস অক্সিমিটার, স্টেথোস্কোপ, সুরক্ষিত গ্লাস, স্পিকার ও বিশেষ ধরণের গ্লাভস। এ বুথের মাঝখানে রয়েছে কাঁচের সুরক্ষা। এর এক পাশে থাকবেন চিকিৎসক, অন্যপাশে থাকবে হাসপাতালে আসা দর্শনার্থী। কাঁচের ভেতরে থাকা চিকিৎসকের কাছে বাইরের বাতাস প্রবেশের সুযোগ নেই। ফলে করোনাভাইরাসে সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে রেহাই পাবেন। এতে হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে কোনো রোগী আসলে তাকে সহজেই চিহ্নিত করা যাবে। এ পদ্ধতি চিকিৎসকদের সুরক্ষা দেবে। কোনো রোগীর সংম্পর্শে যাওয়ার ঝুঁকি নেই। বুথটি কমলগঞ্জে করোনার কমিউনিটি ট্রান্সমিশন প্রতিরোধে ভূমিকা রাখবে।
কমলগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা প্রানেশ চন্দ্র বর্মা বলেন, হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে কেউ আসলে তাকে এ বুথে সহজেই চিহ্নিত করা যাবে। এটি চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা দেবে। রোগীর সংস্পর্শে যাওয়ার ঝুঁকি নেই। এই কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করেন জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা।

প্রধানমন্ত্রী দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে মানুষের জীবনমান উন্নয়নে নানা খাতে ব্যাপক আর্থিক অনুদান দিয়ে যাচ্ছেন

-উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ এমপি

জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ ও অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি, মুক্তিযোদ্ধা উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে মানুষের জীবনমান উন্নয়নে নানা খাতে ব্যাপক আর্থিক অনুদান দিয়ে যাচ্ছেন।
বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে পুরো বিশ্ব স্তব্ধ হয়ে গেছে। একমাত্র আল্লাহ পাকই পারেন এই গজব থেকে আমাদের মুক্তি দিতে। এজন্য সবাইকে সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে বর্তমান সরকার নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
তিনি রোববার(৭ জুন) মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন চা বাগানের ২২০০ দরিদ্র চা শ্রমিক পরিবারের মাঝে সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক নগদ ৫ হাজার টাকা করে এককালীন ১ কোটি ১০ লাখ টাকার আর্থিক সহায়তার চেক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
রোববার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে শুরু করে বিকাল ৫টা পর্যন্ত  কমলগঞ্জর সদর, মাধবপুর, ইসলামপুর ও আলীনগর ইউনিয়নের ১৬টি চা বাগানের দরিদ্র পরিবারের মাঝে এককালীন আর্থিক অনুদানের চেক বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হকের সভাপতিত্বে ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা প্রাণেশ চন্দ্র বর্মার পরিচালনায় এসব অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রাম ভজন কৈরী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিলকিস বেগম, কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. জুয়েল আহমদ, আলীনগর ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হক বাদশা, কমলগঞ্জ সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান, মাধবপুর ইউপি চেয়ারম্যান পুষ্প কুমার কানু, কমলগঞ্জ থানার ওসি আরিফুর রহমান, উপজেলা বিআরডিবির সাবেক চেয়ারম্যান ইমতিয়াজ আহমদ বুলবুল, ইউপি সদস্য, বিভিন্ন চা বাগানের পঞ্চায়েত নেতৃবৃন্দ ও দলীয় নেতৃবৃন্দ।
কমলগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা প্রশাসন ও সমাজসেবা কার্যালয়ের ব্যবস্থাপনায় সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় কমলগঞ্জের ১৭টি চা বাগানের ২১১৩টি দরিদ্র চা শ্রমিক পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তার এই চেক প্রদান করা হয়েছে। রোববার কমলগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ি চা বাগান, মাধবপুর চা বাগান, কুরমা চা বাগান, চাম্পারায় চা বাগান, বাঘাছড়া চা বাগান, কুরঞ্জী চা বাগান, আলীনগর চা বাগান, সুনছড়া চা বাগান, কামারছড়া চা বাগান, দলই চা বাগান, পাত্রখোলা চা বাগান, শ্রীগোবিন্দপুর চা বাগান, মদনমোহনপুর চা বাগান, নন্দরানী চা বাগান, নুরজাজাহান চা বাগান ও পদ্মছড়া চা বাগানের ২২০০ দরিদ্র চা শ্রমিক পরিবারের মাঝে পরিবার প্রতি এককালীন ৫০০০ হাজার করে মোট ১ কোটি ১০ লাখ টাকার আর্থিক সহায়তার চেক প্রদান করা হয়।

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT