1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
জবর দখল, রোগাক্রান্ত পশুর মাংসবিক্রি ও নতুন ১জন করোণাক্রান্ত - মুক্তকথা
মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০৮ অপরাহ্ন

জবর দখল, রোগাক্রান্ত পশুর মাংসবিক্রি ও নতুন ১জন করোণাক্রান্ত

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : বৃহস্পতিবার, ২ জুলাই, ২০২০
  • ৪৬১ পড়া হয়েছে

কমলগঞ্জে শ্মশানঘাট ও পুকুর জবর দখলের অভিযোগ

কমলগঞ্জ, মৌলভীবাজার, প্রতিনিধি।। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামে শ্মশানঘাট ও পুকুর জবর দখলের পর শ্মশানঘাটের বাঁশ, গাছ, পুকুরের মাছ লুট করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবাদ জানালে জবরদখলকারী মারধোরের হুমকি প্রদান করেন। রোববার (২১ জুন) বেলা ১২ ঘটিকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কমলগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

রিপন চন্দ্র দেবনাথসহ স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, আমরা বংশ পরস্পরায় সোনাপুর গ্রামে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে বসবাস করে আসছি। আমাদের শ্মশানঘাটখানাও বংশ পরস্পরায় শেষকৃত্য সম্পাদন করে আসছি। তবে পার্শ্ববর্তী সারঙ্গপুর গ্রামের বিল্লাল মিয়া (৪৫) ও গোবিন্দপুর গ্রামের রায়হান মিয়া (২৫) মিলিত হয়ে শ্মশানঘাট ও পুকুর অবৈধভাবে দখল করে তাদের নিজেদের বলে দাবি করছে। এই শ্মশানঘাটের বাঁশ, গাছ ও পুকুরের মাছও তাদের দাবি করে নিয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, রোববার এসব ঘটনায় আপত্তি জানালে দখলকারীরা মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে। বিষয়টি স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ ও জনপ্রতিনিধিদের অবহিত করা হয়েছে। এ ঘটনায় রিপন চন্দ্র দেবনাথ বাদি হয়ে রোববার দুইজনকে অভিযুক্ত করে কমলগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক আনজির হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে অভিযুক্ত বিল্লাল মিয়া ওই জায়গা তাঁর নিজের এবং কাউকে হুমকি ধামকি প্রদান করেননি বলে দাবি করেন।
এ ব্যাপারে শমশেরনগর ইউপি চেয়ারম্যান মো. জুয়েল আহমেদ বলেন, জবর দখলের অভিযোগ পেয়েছি। শ্মশানঘাটে ভূমি জবরদখল কোন মতেই সঠিক নয়। ইতিপূর্বেও বিল্লাল মিয়া শ্মশানঘাট দখলের চেষ্টা চালায়। এ ব্যাপারে সামাজিকভাবে সমাধান না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ওসি (তদন্ত) অরুপ কুমার চৌধুরী বলেন, এ ব্যাপারে তদন্তক্রমে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কমলগঞ্জে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই রোগাক্রান্ত পশু জবাই ও বিক্রি

হুমকির মুখে জনস্বাস্থ্য

সম্প্রতি সময়ে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ব্যাপকহারে গবাদি পশুর লাম্পিং স্কিন ডিজিজ দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে একাধিক গরু মারা যাওয়ারও খবর পাওয়া গেছে। এই সময়েও কোন ধরণের পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াই পৌরসভাসহ উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে রোগাক্রান্ত পশু জবাই ও মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে করোনার সময়কালেও জনস্বাস্থ্য মারাত্মক হুমকির মুখে বলে অভিযোগ উঠেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সম্প্রতি কমলগঞ্জ উপজেলাসহ আশপাশ এলাকায় গবাদি পশুর লাম্পিং স্কিন ডিজিজ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। রোগে আক্রান্ত হয়ে কমলগঞ্জেও চারটি গরু মারা গেছে। গায়ে গোটা, গলা ফুলাসহ নানাভাবে এরোগ বিস্তার লাভ করছে। এই সময়ে আক্রান্ত পশু কেউ কেউ স্বল্প মূল্যেও বিক্রি করছেন। বর্তমানে একদিকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমাণ, অন্যদিকে গবাদি পশুর চর্মরোগ জাতীয় মহামারি দেখা দিয়েছে। এসময়কালে রোগাক্রান্ত পশু জবাই করে মাংস বিক্রির বিষয়টি তদারকি করা প্রয়োজন বলে স্থানীয় সচেতন মহল দাবি তুলেছেন। অথচ নিয়ম অনুযায়ী পশু জবাই করার আগে প্রাণী সম্পদ বিভাগের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ছাড়পত্র নিয়ে জবাই করার কথা। তবে এবিষয়ে কারো কোন তৎপরতা নেই। ফলে সাধারণ ক্রেতারা মাংস কিনে নিলেও মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে পড়তে হচ্ছে।
উপজেলার ভানুগাছ, শমশেরনগর, মুন্সীবাজার, আদমপুর ও পতনউষার বাজারে নিয়মিত গরু, মহিষ ও ছাগল জবাই করে বিক্রি করা হয়। তবে কোন ধরণের ডাক্তারি পরীক্ষা ও ছাড়পত্র ছাড়াই হাটবাজারে কসাইরা অবাধে বিক্রি করছেন জবাইকৃত পশুর মাংস। পশু জবাইখানায় পশু জবাই করার কথা থাকলেও পৌরসভাসহ হাটবাজারের সুনির্দিষ্ট জবাইখানা না থাকায় যত্রতত্র পশু জবাই করা হচ্ছে। বাজারে অসুস্থ, নি¤œমানের পশু জবাই করেও বিক্রি করা হচ্ছে।
আলমগীর হোসেন, রফিকুল ইসলাম, সহিদুল মিয়া বলেন, প্রতিদিন ভোরে কসাইরা গরু জবাই করে থাকেন। যেখানে সেখানে পশু জবাই করে বাজারে নিয়ে মাংস বিক্রি করেন। ভোরে শহরের আড়ালে পশু জবাই করলেও রোগব্যাধী আছে কি না তা দেখার কেউ নেই।
সুমন আহমদ, রোমেল মিয়া, কায়েস আহমেদসহ মাংস ক্রেতারা বলেন, বাজারে নি¤œমানের ও অসুস্থ পশু জবাই করে বিক্রি করা হচ্ছে। পশু জবাইয়ের নিয়মনীতি কেউ মানতে রাজি নন। অথচ এসব গাবদিপশুর নানা জটিল রোগে আক্রান্তও থাকতে পারে। এই সময়ে পরীক্ষা ছাড়া পশু জবাই মোটেও ঠিক নয়। তারা আরও বলেন, আমরা মরা গরু না রোগাক্রান্ত গরু-মহিষের কিনছি তা বোঝার কোন উপায় নেই। তবে কসাইরা বলছেন আমরা উন্মুক্ত স্থানে পশু জবাই ও বিক্রি করে থাকি। অসুস্থ ও রোগাক্রান্ত কোন পশু জবাই করে বিক্রি করা হয় না।
এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জুয়েল আহমেদ বলেন, নিয়মনীতি মেনে পশু জবাই করার জন্য কসাইদের বলেছি। তাছাড়া বিষয়টি প্রাণী সম্পদ ও স্বাস্থ্য পরিদর্শকের দেখভাল করার কথা। কমলগঞ্জ উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর মো. দুলাল আহমদ বলেন, পশু জবাইয়ের ক্ষেত্রে স্যানিটেশন ও হাইজেনিং হচ্ছে কি না সে বিষয়টি দেখে থাকি। তবে কোন অভিযোগ পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কমলগঞ্জ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হেদায়েতউল্লাহ বলেন, প্রকৃত অর্থে এখানে কোন স্বীকৃত কসাইখানা নেই। এগুলো পৌরসভা, হেলথ স্যানিটারী ইন্সপেক্টরেরও দেখার কথা। তাছাড়া পশু জবাই কোন নির্দিষ্ট স্থানে হচ্ছে জানলে বা আমাদের জানালে সেখানে লোক রাখতাম।

কমলগঞ্জে আরো ১ যুবকের করোনা শনাক্ত

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় আরো ১ যুবকের করেনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। করোনা আক্রান্ত যুবকের (২৪) বাড়ি কমলগঞ্জ পৌরসভার রামপাশা গ্রামে। কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এম, মাহবুবুল আলম ভূঁইয়া কমলগঞ্জে রোববার নতুন করে এক যুবকের করোনা শানাক্ত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তার বাড়ি লকডাউন করে আইসোলেশনে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরো জানান, এ পর্যন্ত কমলগঞ্জ উপজেলায় ৩৪ জন করোনা শানাক্ত হয়ে নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে থেকে ১৬ জন সু¯্য হয়েছেন। আর করোনার উপসর্গ নিয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৫জন।

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT