1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
মৎস্য ব্যবসায়ী নূরুল হক হত্যাকারী ৩জন গ্রেপ্তার ১জন পলাতক - মুক্তকথা
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১৯ পূর্বাহ্ন

মৎস্য ব্যবসায়ী নূরুল হক হত্যাকারী ৩জন গ্রেপ্তার ১জন পলাতক

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : মঙ্গলবার, ৭ জুলাই, ২০২০
  • ২৫০ পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি।।  মৌলভীবাজার সদর উপজেলার সনকাপন গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী নুরুল হক(৫৩) হত্যার সাথে জড়িত তিন আসামীকে গ্রেফতার করেছে মৌলভীবাজার সদর থানা পুলিশ। হত্যা ঘটনার ৬দিনের মাথায় এ ৩জনকে পুলিশ ধরতে পেরেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো- ইকবাল হোসনে(৪৪), পিতা-মৃত শামসুল হুদা, সাং- শেরপুর, জুবেল মিয়া (২৩), পিতা-মৃত আব্দুল মালিক, সাং- ব্রাক্ষণগ্রাম, শেরপুর, সাকিন (২৫), পিতা-মৃত আঃ হালিম, গ্রাম-শেরপুর নতুন বস্তি।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গতবুধবার(২৪জুন) শেরপুর এলাকায় মাছ বিক্রি শেষে রাত হয়ে গেলে হতভাগ্য মাছ ব্যবসায়ী নুরুল হক রাত ৯ ঘটিকার দিকে তার স্ত্রীকে ফোন করে জানান যে,  তিনি বাড়িতে আসবেন না। শেরপুরের পাশে কুশিয়ারা নদীর ফেরির জেটিতে ছোট একটি কামরার মতো জায়গাতেই রাত কাটিয়ে দেবেন। এরকম আগেও তিনি থাকতেন। সেদিন রাতে অনুমান ১০.৩০ ঘটিকার দিকে আগে থেকেই সেখানে অবস্থান করছিলো আসামী সাকিন, জুবেল, ইকবাল ও টিপু। এই চারজন মাদক সেবনসহ মাদকদ্রব্যের ভাগ বাটোয়ারা করছিলো সেখানে।
এরই এক পর্যায়ে নুরুল হক জেটিতে গিয়ে দেখেন ভিতর থেকে প্রবেশ পথ বন্ধ। তখন ডাকাডাকি করতে শুরু করলে ভিতর থেকে আসামী সাকিন কপাট খুলে দিলে ভিতরে প্রবেশ করেন নুরুল হক। সাদাসিধে নুরুল হক ভিতরে ঢুকেই মাদকের কারবারি দেখে ঘাবড়ে যান এবং প্রতিবাদ করেছিলেন বলে জানা যায়। এ অবস্থায় আসামীরা তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে পলটুনের পাশে রাখা কাঠের টুকরা দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে। আঘাত প্রাপ্ত হলে নুরুল হক জেটির পলটুনে পড়ে যান। তখন আসামীগণ তার দেহ ধরে নদীতে ফেলে দেয়। বর্ষার রাত, নদীর তীব্র স্রোতের কারণে নুরুল হকের লাশ ভাসতে ভাসতে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের দিকে গিয়ে মানুষের চোখে পড়ে।


বৃহস্পতিবার(২৫জুন) তারিখে বিকেলে নুরুল হকের স্বজনরা এসে মডেল থানায় নিখোঁজ জিডি করেন। চারদিকে খোঁজাখুজি চলতে থাকে। পুলিশও সন্ধান করতে থাকে। শুক্রবার(২৬ জুন) তারিখে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর থেকে খবর আসে একটা লাশ নদীতে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া গেছে। পরিবারের লোকজন সেখানে গিয়ে সনাক্ত করতে পারেন যে, এ লাশ নুরুল হকের। পরে লাশ সংগ্রহ ও সুরতহাল করে পোস্ট মর্টেমের জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
এরপর শুরু হয় পুলিশী তদন্ত।  পুলিশ সুপার, ফারুক আহমেদের নেতৃত্বে ৫সদস্যের পুলিশ তদন্ত দল অনুসন্ধান শুরু করে। তদন্ত দলের বাকী সদস্যগন হলেন- মোঃ জিয়াউর রহমান- অতিঃ পুলিশ সুপার,  অফিসার ইনচার্জ- আলমগীর হোসেন, মডেল থানা; পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত)- পরিমল চন্দ্র দেব, এসআই- গিয়াস।
জানা যায়, ঘটনার ৬ দিন পর মঙ্গলবার ৩০জুন  তারিখে মডেল থানার পুলিশ আসামী সাকিনকে গ্রেফতার করে এবং তার দেয়া তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে অপর আসামী জুবেল মিয়া, ইকবাল হোসেনকেও পরে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীগণের মধ্যে ২জন  আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করে। ঘটনার সাথে জড়িত অপর আসামী টিপু (৩০) পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। হত্যাকান্ডের ঘটনায় মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু হয়েছে।

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT