1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
৮ দফা দাবিতে ক্যামেলিয়া হাসপাতাল কর্মচারীদের কর্মবিরতি, মানববন্ধন - মুক্তকথা
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:২৬ অপরাহ্ন

৮ দফা দাবিতে ক্যামেলিয়া হাসপাতাল কর্মচারীদের কর্মবিরতি, মানববন্ধন

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর, ২০২০
  • ৪০৮ পড়া হয়েছে


কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে সরকারি বিধি মোতাবেক হাসপাতালের সুযোগ-সুবিধা, বাসস্থান, চাকুরী স্থায়ীকরণ ও যথাযথভাবে রেশন প্রদানসহ ৮ দফা দাবিতে ডানকান ব্রাদার্সের ক্যামেলিয়া ফাউন্ডেশন হাসপাতালের কর্মচারীরা কর্মবিরতি পালন করছেন। গত মঙ্গলবার ৫ ঘন্টার কর্মবিরতির পর বুধবার (২১ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এই কর্মবিরতি ও মানববন্ধন পালন করেন।
​জানা যায়, উপজেলার শমশেরনগর এর ফাঁড়ি কানিহাটি চা বাগানে ডানকান ব্রাদার্সের ক্যামেলিয়া ডানকান ফাউন্ডেশন হাসপাতালের নার্স, ওয়ার্ড বয়, ওয়ার্ড গার্লস, পানিওয়ালা, কিচেন মালী, ক্লিনার, ধোপা, বাবুর্চি ও পাহারদারসহ বিভিন্ন পদে নিয়োজিত কর্মচারীরা বেশ কিছুদিন যাবত কর্তৃপক্ষের কাছে নানা ধরণের সুযোগ সুবিধার দাবি করে আসছেন।
এসব দাবির মধ্যে সরকারি বিধি মোতাবেক হাসপাতালের সুযোগ-সুবিধা প্রদান, বাসস্থান, অস্থায়ীদের চাকুরী স্থায়ীকরণ, সাপ্তাহিক মজুরি ভিত্তিক কর্মচারীদের মাসিক বেতনভূক্ত করা, ৩০ শতাংশের উপর ইনক্রিমেন্ট বর্ধিতকরণ, গ্র্যাচুইটি প্রদান, অস্থায়ী ও স্থায়ী কর্মচারীদের সমান মজুরি ও যথাযথভাবে রেশন-চাপাতা প্রদান সহ ৮ দফা দাবি নামা হাসপাতাল পরিচালক বরাবরে প্রদান করা হয়। দাবি দাওয়া বাস্তবায়ন না হওয়ায় প্রথমে গত ১৫ অক্টোবর থেকে প্রতিদিন ২ ঘন্টা করে কর্মবিরতি পালন করেন কর্মচারীরা। বুধবারের মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নার্স মেরি রাল্ফ, মুন্না চাষা, রাজু বর্মা, লক্ষিন্দর বৈদ্য, সুদর্শন তেলী প্রমুখ।
​ক্যামেলিয়া হাসপাতাল কর্মচারী মেরি রালফ, মুন্না চাষা, সুদর্শন সাহা বলেন, বেতন ও সুযোগ সুবিধা পাচ্ছি তা দিয়ে পরিবার চালিয়ে যাওয়া খুবই কষ্টকর। সেজন্য গত বছরের ১৭ অক্টোবর এবং এবছর গত ১৪ অক্টোবর লিখিতভাবে হাসপাতালের পরিচালক বরাবরে ৮ দফা দাবিনামা প্রেরণ করি। পরে কোন দাবি দাওয়া বাস্তবায়ন না হওয়ায় প্রায় ৭০ জন কর্মচারী বাধ্য হয়ে কর্মবিরতি পালন করছি।
ক্যামেলিয়া ডানকান ফাউন্ডেশন হাসপাতালের নার্স, ওয়ার্ড বয়, ওয়ার্ড বালিকাসহ বিভিন্ন পদের আন্দোলনকারীদের দাবিগুলো হচ্ছে সরকারি হাসপাতালের ন্যায় তাদের বেতন ভাতা ও সুযোগ সুবিধা প্রদান করা, তাদের ইনক্রিমেন্ট ৩০ শতাংশের উপর বর্ধিত করা, তাদের বাসস্থান বরাদ্ধ দেওয়া, তাদের ট্রেড ইউনিয়ন করার সুযোগ প্রদান করা, দুই বছরের অধিক কর্মরতদের চাকুরি স্থায়ী করা, প্রতি মাসে রেশনসহ চা পাতা প্রদান করা, গ্র্যাচুয়েটি প্রদান করা ও অস্থায়ী শ্রমিকের মজুরি স্থায়ী শ্রমিকের সমান করা।
এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে ক্যামেলিয়া হাসপাতালের পরিচালক ডা. আনোয়ারুল হক এর মোবাইল ফোনে কয়েক দফা ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
​উল্লেখ্য, ডানকান ব্রাদার্স এর চা বাগান শ্রমিকদের চিকিৎসায় উপজেলার শমশেরনগর এর ফাঁড়ি কানিহাটি চা বাগানে ক্যামেলিয়া হাসপাতাল নামে একটি মানসম্মত হাসপাতাল স্থাপন করা হয়। এই হাসপাতালে ডানকান ব্রাদার্স এর সকল চা বাগান শ্রমিকরা চিকিৎসা গ্রহণ করছেন।
নোট: ছবি সংযুক্ত।
কমলগঞ্জে দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য সহায়তা প্রদান
কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে কমলগঞ্জ পৌরসভার আয়োজনে পৌর মেয়র মো.জুয়েল আহমদের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে ১২০ জন হতদরিদ্র সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে দুর্গাপূজা উপলক্ষে এই খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়। খাদ্য সহায়তার পূর্বে দুর্গাপূজার আনন্দে সবাইকে মিষ্টিমুখ করানো হয়।
অনুষ্ঠানে সবার উদ্দেশ্যে মেয়র মো. জুয়েল আহমেদ বলেন, দুর্গাপূজা বাঙালি হিন্দুদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। করোনাকালীন সময়ে সরকারি সকল নির্দেশনা মেনে পৌর এলাকার সকল মণ্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপন করতে হবে।
তাছাড়া সবাই মাস্ক পড়ে সাস্থ্যবিধি মেনে পূজা করবেন। পৌরসভার পক্ষ থেকে সকল মণ্ডপে মাস্ক পৌঁছে দেওয়া হবে। সরকার সবসময় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাশে আছে। সরকারের সহায়তা অবশ্যই অব্যাহত থাকবে।

কমলগঞ্জ পৌরসভার উদ্যোগে পূজামন্ডপে নগদ অর্থ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ
কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ পৌরসভার উদ্যোগে পৌর এলাকার ব্রাহ্মণ, পুরোহিত ও ৭টি পূজামন্ডপ কমিটিকে নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে। ৭টি পূজামন্ডপে নগদ অর্থসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার (২১ অক্টোবর) বিকাল ৪টায় কমলগঞ্জ পৌরসভা মিলনায়তনে এ নগদ অর্থ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
​কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো: জুয়েল আহমেদের সভাপতিত্বে ও পৌর কাউন্সিলর মো: আনোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পূজা উযাপন পরিষদের সভাপতি শংকর লাল সাহা। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পূজা উযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র দাস, কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম রুহেল, দেওয়ান আব্দুর রহিম মুহিন, আয়েশা সিদ্দিকা, মুসলিমা বেগম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নিখিল চন্দ্র কর, শিবদাস দেব শিবু, সুনীল মালাকার, বিষ্ণুকান্ত পাল, নিখিল মালাকার প্রমুখ। এসময় পৌর এলাকার ব্রাহ্মণ, পুরোহিত, পৌরসভার ৭টি পূজামন্ডপের সভাপতি-সম্পাদক, সাংবাদিকবৃন্দ ও এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
নোট: ছবি সংযুক্ত।

শারদীয় দুর্গপূজায় প্রস্তুত কমলগঞ্জের ১৩৯টি পূজামন্ডপ
কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় শারদীয় দুর্গাপূজায় প্রস্তুত হয়েছে ১৩৯টি সার্বজনীর পূজামন্ডপ। বৃহস্পতিবার রাতে মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সনাতনী ধর্মালম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা। চারিদিকে পূজাপূজা গন্ধ। চলমান করোনাভাইরাস মহামারিতে দূর্গাপূজাকে ঘিরে আগের সেই উৎসবের আমেজ না থাকলেও দুর্গাপূজাকে পরিপূর্ণ রূপ দিতে মন্ডপগুলোতে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে উপজেলার অধিকাংশ পূজামন্ডপে শেষ হয়েছে প্রতিমা তৈরির কাজ। এখন রঙ তুলির আঁচড়ে সৌন্দর্য বর্ধণের কাজ চলছে। মাটিরকাজ শেষ করে রং তুলির খেলায় প্রতিমাকে সজ্জিত করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মন্ডপগুলোর মৃৎশিল্পীরা।
​এদিকে এবার করোনায় পূজার আয়োজন সীমিত করতে বলা হয়েছে। আয়োজকদের ২৬টি নির্দেশনা অনুসরণ ও প্রতিপালনের কথা বলেছে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ। এরমধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মহালয়ার অনুষ্ঠান সীমিত করা, নিচুশব্দে ভক্তিমূলক সংগীত ছাড়া অন্য সংগীত বাজানো থেকে বিরত থাকা এবং সব ধরনের সাজসজ্জা ও মেলার আয়োজন বন্ধ রাখা, আরতি প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিহার।
​এবারের পূজার প্রতিমায় ব্যতিক্রম আনার চেষ্টা করেছেন বেশ কয়েকটি পূজামান্ডপ। তবে মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে এবার মন্ডপগুলোতে তেমন আলোকসজ্জা দেখা যাবেনা। সরকারি নির্দেশনা মেনে সাজানো হচ্ছে মন্ডপগুলো। তবে পূজামন্ডপগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি বিভিন্ন নির্দেশনা মানতে অন্যান্য বছরের তুলনায় খরচ অনেকটা বেড়ে গেছে। বিগত বছরের তুলনায় এ বছর ভিন্ননির্দেশনা থাকায় অনেকটা হিমশিম খাচ্ছেন আয়োজকরা। এবারের পূজোয় থাকছেনা ঝাক-ঝমকপূর্ণ কোন অনুষ্ঠান। এরপরও থেমে নেই কোনকাজ। সরকারি নির্দেশনা মেনে সাজানো হচ্ছে মন্ডপ ও তার আশপাশ। স্বাস্থ্যবিধি মেনে রাত-দিন চলছে পূজার প্রস্তুতি।
​কমলগঞ্জ উপজেলায় মোট সার্বজনীন পূজামন্ডপের সংখ্যা ১৩৯ টি। তার মধ্যে কমলগঞ্জ পৌরসভায় ৭টি, রহিমপুর ইউনিয়নে ১৯ টি, পতনউষার ইউনিয়নে ১৬টি, মুন্সীবাজার ইউনিয়নে ১৫টি, শমসেরনগর ইউনিয়নে ১৪টি, কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নে ৭টি, আলীনগর ইউনিয়নে ২০টি, আদমপুর ইউনিয়নে ১৩টি, মাধবপুর ইউনিয়নে ১৮টি ও ইসলামপুর ইউনিয়নে ১০টি পূজামন্ডপ রয়েছে এবং ১১টি ব্যাক্তিগত পূজামন্ডপে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র দাস বলেন, শারদীয় দূর্গাপূজা আনন্দঘন ও শান্তিপূর্ণভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে উদযাপনের লক্ষ্যে আমরা সর্বপ্রকার সর্তকতা অবলম্বন করছি। সার্বিকভাবে পূজা করার জন্য মন্ডপকমিটিগুলোকে অভিহিত করেছি। আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর পাশাপাশি অধিকতর নিরাপত্তা জোরদারের জন্য প্রত্যেক মন্ডপে মন্ডপকমিটির নিজ উদ্যোগে অধিকসংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক রাখার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে আয়োজকদেরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
​কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফুর রহমান জানান, কমলগঞ্জের ১৩৯টি সার্বজনীন পূজামন্ডপে শান্তিপূর্ণ ভাবে পূজা উদযাপনের লক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সবকটি পূজামন্ডপ এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা জোরদার করা হয়েছে। পূজামন্ডপগুলোর নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশের ১০টি মোবাইল টিম পূজাচলাকালিন সময়ে সার্বক্ষণিক কাজ করবে।
​কমলগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা আশেকুল হক বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপনের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারি স্বাস্থবিধি সম্পর্কিত গাইডলাইন মেনে দূর্গাপূজা উদযাপনের জন্য কমলগঞ্জ উপজেলার প্রত্যেকটি পূজামন্ডপকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
নোট: ছবি সংযুক্ত।

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT