1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
আফ্রিকায় সিংহের আবাসভূমি কমে গিয়ে শতকরা এখন মাত্র ৮ভাগ আছে - মুক্তকথা
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:১২ পূর্বাহ্ন

আফ্রিকায় সিংহের আবাসভূমি কমে গিয়ে শতকরা এখন মাত্র ৮ভাগ আছে

মুক্তকথা প্রতিবেদন॥
  • প্রকাশকাল : মঙ্গলবার, ২৩ মার্চ, ২০২১
  • ৮৬০ পড়া হয়েছে
স্থানান্তরের পর মারা যাওয়া সিংহ-সিংহী। ছবি: ন্যাশনেল জিওগ্রাফি

মুক্তকথা প্রতিবেদন॥ মানুষ, সৃষ্টির সেরা স্বঘোষিত জীব হিসেবে সৃষ্টিলোকের উপযুক্ত সংরক্ষনের প্রতি মানুষের যে দায়ীত্ব রয়েছে তা মানুষ কতটুকু পালন করছে। অস্ফুটভাবে এমন কিছু প্রশ্নই উঠে এসেছে একজন বণ্যপ্রানী গবেষকের কথায় ও ভাবনা ধারায় বলেই আমাদের মনে হয়েছে। বিশ্বের প্রাণীকূলের সংরক্ষনের প্রতি মানুষের যেমন দায়ীত্ব রয়েছে তেমনি মানুষ ও পরিবেশের জন্য প্রাণীকূলের প্রয়োজনীয়তা এককথায় অপরিহার্য্য। একটিকে ছাড়া অন্যটির টিকে থাকা দূষ্কর। বিশ্ব সৃষ্টিলোকের সংরক্ষন, সেতো বহু বহু বড় এক মোকাবেলার বিষয়। সামান্য হিংস্র বন্যপশু সংরক্ষন সেও সামান্য কথা নয়। -সম্পাদক
কোন বণ্যপ্রানী গবেষকের পক্ষেই এটি সহজ কাজ নয়। আর কোন বিজ্ঞানীতো এমন গবেষণায় শরিক হতে এগিয়েই আসবেন না। একজন বন্যপ্রাণী সংরক্ষনকারী এবং আফ্রিকার ‘কালাহারি বন্য প্রানী গবেষণা ও সংরক্ষন’ এর প্রতিষ্ঠাতা গ্লিন মাউদ উপরের এ কথাগুলো বলেছেন। শুধু বলেছেন তা’নয়, তিনি লিখেছেন “ন্যাশনেল জিওগ্রাফি”তে। বিষয়টি তিনি ভাল করেই জানেন। কিন্তু তিনি কিংবা তার সহকর্মীগনের দ্বারা ৬ বছর বয়সের একটি সিংহীর সার্বিক গতিবিধি অল্প সময়ে পরিমাপ করে দেয়া সম্ভব নয়। বিশেষ করে যে সিংহী বারবারই জঙ্গলে উদাও হয়ে যায় খাদ্যের সন্ধানে। 
প্রথম শ্রবণে একটু উদ্ভট শুনালেও এমন প্রশ্নই দেখা দিয়েছে সারা বিশ্বের হিংস্র বণ্যপ্রানী সিংহের সংখ্যা দিন দিন কমে যাবার কারণে। দিন দিন বিশ্বের বনভূমি দখল করে বাড়ীঘর, রাস্তা-ঘাট, শহর-নগর-বন্দর বানাতে গিয়ে মানবকূল বন্য পশুর বেঁচে থাকাকে মারাত্মভাবে আশংকাগ্রস্থ করে তুলেছেন বিশ্বময়। বনায়ণতো হচ্ছেই না বরং প্রতিদিনই বন উজাড় করা হচ্ছে নিরুদ্বিঘ্ন হয়ে।
৬বছর বয়সের একটি স্ত্রী সিংহের ঘটনায় খুব উদ্বিঘ্ন ভাষায় লিখেছেন রাসেল নোয়ার নেশনেল জিওগ্রাফিতে। এই স্ত্রী সিংহটি একটি গ্রামের কয়েকটি গরু খেয়ে নেয়। ফলে সে এলাকার মানুষজন বণ্যপ্রানী সংরক্ষকদের সাহায্যে সিংহটিকে ধরে প্রায় ৮০মাইল দূরের অন্য একটি সংরক্ষণাগারে পাঠিয়ে দেন। আর ওখানেই থাকেন বণ্যপ্রানী সংরক্ষক গ্লিন মাউদ। সেই সিংহটি নতুন জায়াগায় নেয়ার একবছরের মাথায় খাবারের সন্ধানে দলচ্যুত হয়ে গৃহপালিত পশুর ন্যায় যত্রতত্র ঘোরাফিরা করতে গিয়ে একদা এক ব্যক্তির বন্দুকের গুলিতে প্রান হারায়।
মাউদ-এর নিজের কথায়-“আমরা আশা করেছিলাম স্ত্রী সিংহটি দীর্ঘকাল বাঁচবে। কিন্তু আমাদের চিন্তা সেভাবে কাজ করলো না। এ আর হয়ে উঠলো না। দুঃখজনক হলেও প্রায় এভাবেই বণ্যপ্রানীগুলো প্রান হারিয়ে থাকে।”
মাউদ এবং তার সহকর্মীদের গবেষণায় নতুনভাবে একটি বিষয়টি ধরা পড়েছে। গত একদশক ধরে তাদের জরিপে তারা দেখেছেন যে, যে সকল সিংহ বা সিংহী অবাধে ঘুরাফেরা করতে গিয়ে কয়েকটি গরু মেরে খেয়ে ফেলে, আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ব্যবস্থাপকগন তাদের ব্যবস্থাপনায় থাকা এসকল সিংহ গুলোকে অন্য সংরক্ষনাগারে পাঠিয়ে দেয়। দুষ্টুমির জন্য মানুষকে যেমন এক জেলখানা থেকে সরিয়ে অন্য জেলখানায় নেয়া হয় বিষয়টি অনেকটা এরকমই। ফলে উপরের গুলি খেয়ে মারা যাওয়া সিংহীর মত অন্যান্যদেরও প্রায় একই দশায় পড়তে হয়। হতভাগ্য পশুগুলির এমন দুর্ভাগ্যের শিকারে পরিণত হওয়া একটি নিয়মে পরিণত হয়েছে। অথচ বণ্যভূমিতে অবাধে বিচরণ তাদের স্বভাবজাত, প্রকৃতিদত্ত চরিত্র। মানুষ ব্যবসা-বাড়ী-ঘরের নির্মাণের জন্য এসকল প্রাণীকে সংরক্ষণাগার বানিয়ে আটকে রাখে। সাধারণতঃ যেসকল সিংহ বা সিংহী মানুষ হত্যা করে সে গুলোকে শান্তিময় উপায়ে মেরে ফেলা হয়। কিন্তু এখন এদের অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়। ফলে নতুন যে এলাকায় নেয়া হয় সেখানেও পশুগুলি অন্য গৃহপালিত পশু মেরে খেয়ে নেয়। ফলে আশ-পাশের গ্রামবাসীদের জীবনযাত্রাকে সংকটাপন্ন করে তুলে এবং এটাই স্বাভাবিক।
এছাড়াও, আফ্রিকার দেশ বতসোয়ানায় যা ঘটেছে তা খুবই দুঃখজনক! অতি সম্প্রতি ১৩টি সিংহকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়। গ্লিন মাউদ ও তার সহযোগী গবেষকদল তা নজরে রাখতে গিয়ে দেখেন যে স্থান পরিবর্তনের একবছরের মাঝেই ওই প্রাণীগুলি মারা যায়। এদের কয়েকটিকে মানুষ মেরে ফেলে। অন্যান্যরা স্থান পরিবর্তনের স্নায়ুবিক চাপে পড়ে। গবেষক গ্লিন মাউদের পর্যবেক্ষণ মতে ওইসব দেশের সরকারগুলো গুলি ব্যবহার করে নষ্ট করতে চায় না। তাই তাদের এমন অযোগ্য পদ্বতির ব্যবহার। ইদানিং অতীতের লিথালও আর ব্যবহার করা হয় না। অন্যত্র সরিয়ে নেয়া পদ্বতিই এখন বহুল প্রচলিত হয়ে আসছে। 
এ সবকিছুর ফলে গোটা আফ্রিকায় গত দুই দশকে সিংহের সংখ্যা শতকরা ৪৩ ভাগ কমে গিয়ে বর্তমানে মাত্র ২৩ হাজারে দাঁড়িয়েছে। এই হারে নিশ্চিন্ন হয়ে যাবার প্রধান কারণ উন্নয়নের কাজ-কর্ম। আগের তুলনায় সিংহের আবাসভূমি কমতে কমতে এখন শতকরা ৮ভাগে দাঁড়িয়েছে। এমন অবস্থা কি চিন্তা করা যায়? একইভাবে কমে গিয়েছে মেরে খাওয়ার প্রানীর সংখ্যা ফলে কমে গিয়েছে তাদের নিজস্ব আচরণে পশু মেরে খাওয়ার ভাব-ভঙ্গি। 
তবে গবেষক গ্লিন মাউদ মনে করেন, এমন অবস্থায়, সরকারের সমালোচনা না করে, যেহেতু ‘অন্যত্র সরিয়ে নেয়া’ পদ্বতি কাজ দিচ্ছে না সেক্ষেত্রে নতুন পদ্বতি উদ্ভাবন প্রয়োজন। তার পরামর্শমূলক কথা- আমাদের আরো উদ্ভবনী নিয়ে আসতে হবে। সূত্র: ন্যাশনেল জিওগ্রাফি। হারুনূর রশীদ, লণ্ডন মঙ্গলবার, ২৩ মার্চ ২০২১ইং

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT