1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
বিচিত্র প্রকৃতির রূপবৈচিত্রের বৃক্ষ তাল গাছ - মুক্তকথা
মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০১:২১ অপরাহ্ন

বিচিত্র প্রকৃতির রূপবৈচিত্রের বৃক্ষ তাল গাছ

আব্দুল ওয়াদুদ॥
  • প্রকাশকাল : বৃহস্পতিবার, ৫ আগস্ট, ২০২১
  • ১৫৩২ পড়া হয়েছে

তাল গাছ! প্রাকৃতিক দুর্যোগ বজ্রপাত থেকে মানুষসহ সকল প্রানীকূলকে বাঁচায়। বজ্রপাত থেকে রক্ষাকারী প্রানিকূলের পরম বন্ধু এই তালগাছ। প্রকৃতির সেরা বৃক্ষবৈচিত্রের দেশ আমাদের বাংলাদেশ। প্রকৃতির এই অনন্য উপহার তালগাছ বৃক্ষবৈচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে দিন দিন।

নীল জলরাশিতে নিমগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকা কিংবা ঘন সবুজে আবৃত বিস্তীর্ণ হাওর জুড়ে ধানক্ষেত, তারই মাঝে মাঝে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা তালগাছ আমাদের গ্রামীণ বাংলার এক চিরন্তন নৈসর্গিক দৃশ্য। কিন্তু সময়ের অমোঘ চলায় এমন দৃশ্য এখন আর সচরাচর চোখে পড়েনা। ভূমিখেকো, বৃক্ষখেকোদের আগ্রাসনে বাংলার জীববৈচিত্রের সাথে সাথে প্রাকৃতিক অন্যান্য বৈচিত্রও ধীরে ধীরে ক্ষয়ে যাচ্ছে। শূণ্যমাঠও এখন চোখে পড়ে কম।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ও চেয়ারমেন- উপকূল ফাইণ্ডেশন এম. আমীরুল হক পারভেজ চৌধুরী গত ২০২০ সালে যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত তার এক প্রতিবেদনে বলেছিলেন- “বজ্রপাত থেকে জীবন রক্ষায় উঁচু তালগাছের বিকল্প নেই। বেশি করে তালগাছ লাগাই, বজ্রপাতে প্রাণহানি কমাই। গ্রামীণ ও উপকূলীয় জনপদে তালগাছের পরিকল্পিত চাষে নান্দনিক সৌন্দর্যরুপ তুলে ধরে তালগাছে প্রকৃতি সাজাই জীবন বাঁচাই। আসুন, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিদায় ও বরণ অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা সম্মিলিতভাবে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে সবাই অন্তত একটি তালবীজ বপন করি। প্রতিষ্ঠানের অভিভাবকগণ একটু উদ্যোগ নিলেই বদলে যাবে আমাদের চিরপরিচিত পরিবেশ ও প্রতিবেশ। এটাই হোক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিদায় ও বরণ অনুষ্ঠানের নতুন উদ্যোগ। সারাদেশে গড়ে উঠুক তালগাছে প্রকৃতির সবুজ বেষ্টনী।”

তিনি আরো লিখেছিলেন- “পরিকল্পনা করে ঝুঁকিবিহীনভাবে তালগাছভিত্তিক কার্যক্রম হাতে নেওয়া উচিত। গ্রামীণ অর্থনীতি ও পরিবেশ উন্নয়নে তালগাছ হবে আগামী দিনের কৃষি, কৃষক ও পরিবেশের পরম বান্ধব। বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনে বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, আইলা, সিডর, নার্গিস, আম্ফান মোকাবেলায় তালগাছ মাথা উঁচু করে বুক পেতে দেবে মানব আর মানব বসতি রক্ষায়। শুধু এতেই শেষ না; পাখিদের নিরাপদ আবাস গড়বে তালগাছের নিবিড় বনায়ন। তালগাছের বিশেষ বৈশিষ্ট্যের জন্যই তো বাবুই পাখিরা পৃথিবীর এত গাছ থাকতে একমাত্র তালগাছকে বেছে নিয়ে নান্দনিকতার বুননে শিল্পের গাঁথুনি দিয়ে নকশীজালের নীড় তৈরি করে।”

সাধারণত একটি তালগাছ ৯০ থেকে ১০০ ফুট উঁচু হয়। উঁচু গাছ হওয়ায় বজ্রপাত সরাসরি এ গাছের মাধ্যমে মাটিতে গিয়ে আমাদের রক্ষা করে। এ ছাড়াও ভূমিক্ষয়, ভূমিধস, ভূগর্ভস্থ পানির মজুদ বৃদ্ধি ও মাটির উর্বরতা রক্ষা করে। তালগাছের আকর্ষণে বাড়ে মেঘের ঘনঘটা; ঘটে বৃষ্টিপাতও। তালগাছের শিকড় মাটির অনেক নিচ পর্যন্ত প্রবেশ করায় ঝড়ে হেলে পড়ে না কিংবা ভেঙে পড়ে না। যেখানে কোনো কিছু চাষ হয় না সেখানেও তালগাছ তার শক্ত অবস্থানে দাঁড়িয়ে যায়। নতুন রাস্তার ল্যান্ডস্কেপ, বাঁধ ও নদীভাঙন ঠেকাতে তালগাছের জুড়ি মেলা ভার।

এমনি এক তালগাছের ছোট্ট একটি খবর এসেছে আমাদের হাতে। নদীভাঙ্গনে একটি তালগাছ নদীর গভীর জলে গিয়েও মাথা নোয়ায়নি। কেমন ঠায় দাঁড়িয়ে আছে, দেখলে অনেকটা অবাক হতে হয়। ছবিটি পাঠিয়েছেন মৌলভীবাজার থেকে আমাদের নিজস্ব প্রতিনিধি আব্দুল ওয়াদুদ। 
আব্দুল ওয়াদুদ লিখেছেন, কালের আবর্তে গ্রামীণ জনপদ থেকে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে বজ্রপাত দমনকারী তালগাছ। মানুষের প্রকৃত বন্ধু তালগাছ এখন সচরাচর পাওয়া দুস্কর। মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার জাহিদপুর গ্রামের কুশিয়ারা নদীতে ভাঙ্গন দেখা দেয়ায় এই তালগাছটি মাটির সাথে নদীতে তলিয়ে গিয়েও যেন ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। ছবি দেখে অনেকটা অবিশ্বাস্যই মনে হবে!

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT