1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
হেমন্ত দাসের ফেইচবুক থেকে- হরিজন কিংবা অস্পৃশ্য সম্প্রদায়? - মুক্তকথা
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৩২ অপরাহ্ন

হেমন্ত দাসের ফেইচবুক থেকে- হরিজন কিংবা অস্পৃশ্য সম্প্রদায়?

হারুনূর রশীদ
  • প্রকাশকাল : বৃহস্পতিবার, ১২ আগস্ট, ২০২১
  • ৫৫৯ পড়া হয়েছে

সমাজসেবী হেমন্ত দাসের মুখবই(ফেইচবুক) থেকে নিচের ছবিটি সংগ্রহ করা হয়েছে। হেমন্ত দাস নিজেই যে মন্তব্য করেছেন তার পর আর বেশী কিছু লেখার বা বলার থাকে না।
ঝাড়ু দেয়া একটা পেশা হতেই পারে। কিন্তু বাংলাদেশ বা ভারতে ঝাড়ুদারী সত্যিকার অর্থেই পেশা নয় বরং দাসবৃত্তির চেয়েও আরো নিকৃষ্ট কিছু বলেই আমার ধারণা। “বাংলাদেশ হরিজন ঐক্যজোট সংঘ” নামের এই সংগঠনটি কবে থেকে বাংলাদেশে জন্মলাভ করেছে তা আমাদের জানা থাকার কথা নয়। তবে এ ধরনের ঘৃণ্য কিছু কিছু কুমতলবি কাজ প্রকাশ্য জানাজানিতে আসার নিমিত্ত হিসেবে ‘ফেইচবুক’ বা মুখবইকে সাধুবাদ না দিয়ে পারা যায়না। মুখবইয়ের কল্যাণে এমন অগ্রহনযোগ্য অদ্ভুত কিছু কর্মকাণ্ড প্রকাশ্যে গণমানুষের সামনে চলে আসে। অদ্ভুত আর অবাক হতে হয় এই দেখে যে এসব নোংড়া ধরনের কার্যকর্মকেও কিছু মানুষ কোন যে বিবেচনায় ‘লাইক’ বা পছন্দ দেন তা বলা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তবে এরা যে, কোন মাপকাঠিতেই গ্রহনযোগ্য মানুষ নন তা নির্দ্বিধায় বলা যায়।
আমরা বিশ্বাস করতে চাই, বাংলাদেশে ভারতের মত কোন হরিজন বা অস্পৃশ্য মানুষজন নেই। যে বা যারা এ শব্দটিকে ব্যবহার করে নিজেদের আখের গোছানোর বাণিজ্য চালিয়ে যাবার পায়তারায় লিপ্ত তাদেরকে চিহ্নিত করা প্রয়োজন।

হেমন্তদাসের ফেইচবুক থেকে নেয়া-
দেখুন কত বেকুব হলে নিজেদেরকে কিভাবে ছোট করে উপস্থাপনা করতে পারে, পরে নির্দিষ্ট একটি পেশায় নিজেদের আটকে রাখতে? মানুষ জীবনের জন্য কতরকম পেশা বেছে নিচ্ছে আর এরা নিজেদেরকে আটকে রাখছে পিছনে…!

একজন ঝাড়ু দেয়ার কাজ করতেই পারে। আধুনিক দুনিয়া- রাস্তাঘাট, বাড়ীঘর, অফিস-আদালত ঝাড়ু দেয়া থেকে মুক্ত নয় বরং এখনও আমাদের বিজ্ঞান বা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কলাকৌশল এমন আহামরি আধুনিক কিছু হয়নি যে আর ঝাড়ু কোনদিন দিতে হবে না, এমন বলা যাবে। এখনও নিজেদের ঘরই প্রত্যেকদিন ঝাড়ু দিয়ে রাখতে হয়। অতএব ঝাড়ু দেয়া একটি পেশা হতেই পারে। কিন্তু এ কাজের জন্য সে মানুষটিকে অস্পৃশ্য চিন্তা করতে পারে কোন মানসিকতার মানুষ, সে মানসিকতার কোন ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন আছে বলে আমরা মনে করিনা। এ মানসিকতা যে খুবই নিকৃষ্ট সুদূর অতীতের অন্ধকার দাস যুগের চিন্তা ও চেতনা সে আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
একটি বিষয় খুবই স্পষ্ট যে ভারতের বিভিন্ন এলাকা বা অঞ্চলে নেক্কার জনক ঘৃণ্য এই ‘অস্পৃশ্য’ আর ‘হরিজন’ শব্দগুলোর প্রচলন আছে। আজো ভারতের মত একটি অত্যাধুনিক গণতন্ত্রী দেশ, মানুষকে নিয়ে সমাজের এই নিকৃষ্টতম চিন্তা থেকে সরে আসতে পারেনি। ভারত তাদের বিষয় দেখবে, আমরা সেখানে নাক গলানোর কেউ নই। তবে বিশ্ব মানবতার অভুতপূর্ব কল্যাণের এ যুগে মানুষকে পরিচয় করিয়ে দিতে ‘হরিজন’ আর ‘অস্পৃশ্য’ শব্দ দু’টির ব্যবহার সকল অর্থে অবশ্যই মানবতার ঘোর বিরুধী এবং দুনিয়ার যেকোন মানুষ এমন ব্যবস্থার সমালোচনার অধিকার রাখে।
আমরা আশা করবো যে বা যারা এ ধরণের মন মানসিকতা বাংলাদেশে বসে লালন করেন তাদেরকে অবশ্যই ঘৃণ্য এ চিন্তা চেতনা থেকে সরে আসতে হবে এবং সরকার তথা স্থানীয় প্রশাসনকেও এ নিয়ে তৎপরতা দেখাতে হবে।

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT