1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
এনআইডি কার্ড সংশোধনে ভোগান্তি - মুক্তকথা
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৪৯ অপরাহ্ন

এনআইডি কার্ড সংশোধনে ভোগান্তি

সৈয়দ বয়তুল আলী
  • প্রকাশকাল : বৃহস্পতিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • ৩৭০ পড়া হয়েছে

টাকা ছাড়া কোন কাজ হয় না

মৌলভীবাজার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২২ইং

মৌলভীবাজার নির্বাচন অফিসে সেবা গ্রহীতাদের ভোগান্তির অন্ত নেই। এনআইডি কার্ডের নাম, বয়স, জন্মস্থান ও জন্ম তারিখ সংশোধন এবং নতুন ভোট তোলাতে লাগামহীন দুর্ভোগ ও হয়রানির স্বীকার হচ্ছেন জেলাবাসী। এসব সংশোধন করতে ৫ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঘুষ দিতে হয়। জেলার নির্বাচন অফিস গুলোতে ঘুষ প্রদান অনেকটা রেওয়াজে পরিণত হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে ঘুষ ছাড়া কাজ করেন না সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। টাকা দিলেই নিয়মকে অনিয়মে পরিণত করতে পারেন নির্বাচন অফিসাররা। ভুলের মাত্রা অনুযায়ী টাকার পরিমাণও নির্ধারণ করেন তারা। এদিকে নির্বাচন অফিসকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে একটি শক্তিশালী দালাল চক্র। অনেক সময় কর্মকর্তারা সরাসরি ঘুষ না নিয়ে ওই দালালদের মাধ্যমে ঘুষ আদায় করেন।

জানা যায়, জেলার উপজেলা নির্বাচন অফিস গুলোতে সরকারের দেয়া কোনো নির্দেশনাই পালন হচ্ছে না। কর্মকর্তারা তাদের খেয়াল খুশি মতো অফিস পরিচালনা করছেন। এনআইডি কার্ড সংশোধনের ক্ষেত্রে যারা কর্মকর্তাদের চাহিদা অনুযায়ী অতিরিক্ত ঘুষ দেন কেবলমাত্র তাদেরই কাজ হয়।

অনুসন্ধানে জানা যায়, মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে একটি শক্তিশালী দালাল চক্র। হেলাল উপজেলা পরিষদের গেইটের সামনে তার ছেলে সৌরভ আহমদকে দিয়ে বিসমিল্লাহ কম্পিউটার নামে একটি কম্পিউটারের দোকান বসিয়েছেন। সাধারণ সেবা গ্রহীতারা নির্বাচন অফিসে সেবা নিতে গেলে হেলাল ও অন্যান্য স্টাফ বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে বিসমিল্লাহ কম্পিউটারের দোকান দেখিয়ে দেন এবং বলেন সেখানেই সব কিছু করতে পারবেন। ওই কম্পিউটারের দোকানকে কেন্দ্র করে প্রতিনিয়ত অনৈতিক লেনদেন হয়। সূত্র আরও জানায়, সরকারিভাবে প্রতি মাসে ১দিন নতুন ভোটারদের ছবি তোলার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু কর্মকর্তাদের চাহিদা অনুযায়ী ঘুষ দিলে যেকোনো দিন ছবি তোলা যায়। সংশোধনের মাত্রা অনুযায়ী টাকার পরিমাণ নির্ধারণ হয়। তবে প্রবাসী বুঝতে পারলে কর্মকর্তারা টাকার পরিমাণ কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেন।

কুলাউড়া নির্বাচন অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই অফিসে টাকা ছাড়া কোনো কাজই হয় না। ওই উপজেলায় নাম কিংবা জন্ম তারিখ সংশোধনের ক্ষেত্রে ৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঘুষ দিতে হয়। নির্বাচন অফিসার আহসান ইকবাল সময় মতো অফিসে আসেননি। সূত্র বলছে অধিকাংশ দিন বিকাল ৪টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত অফিস করেন। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে সাধারণ সেবা গ্রহীতারা অফিস সময়ে এসে কর্মকর্তাকে না পেয়ে ফেরৎ যান। ঘুষ সিন্ডিকেট পরিচালিত হয় অফিস সহকারী মোঃ আনোয়ার এর মাধ্যমে।

নাম গোপন রাখার শর্তে কুলাউড়া উপজেলার এক সেবা গ্রহীতা বলেন, তার পিতার এনআইডি কার্ডে মোহাম্মদ সংশোধন করতে গেলে ৪৫ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন অফিস সহকারী মোঃ আনোয়ার। পরে তিনি সিলেট নির্বাচন অফিস থেকে ওই এনআইডি কার্ড সংশোধন করেন। পরে ওই ব্যক্তিকে নতুন ভোট তোলার জন্য ৫ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়। ১৫ ফেব্রুয়ারী প্রবাসী সিরাজ মিয়া নামে এক ব্যক্তি ৫ হাজার টাকা দিয়ে তার নামের ভুল সংশোধন করান। এভাবে কুলাউড়া উপজেলা নির্বাচন অফিসে ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ হয়না।

এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, এপর্যন্ত আমার কাছে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। যার কারণে ওই অভিযোগ গুলোকে আমি মিথ্যাই বলব। তবে আগামীতে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT