1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
৫ সেপ্টেম্বর ছিল সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের ১৩ম মৃত্যু বার্ষিকী - মুক্তকথা
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪০ পূর্বাহ্ন

৫ সেপ্টেম্বর ছিল সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের ১৩ম মৃত্যু বার্ষিকী

মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ, মৌলভীবাজার॥
  • প্রকাশকাল : সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ৪২৩ পড়া হয়েছে

 

দ্বিখণ্ডিত জেলা বিএনপি’র বিভক্ত কর্মসূচীর মধ্যদিয়েই পালিত হয়ে গেলো দেশ বরেণ্য সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী মরহুম এম সাইফুর রহমান এর ১৩ম মৃত্যু বার্ষিকী। গত ৫ সেপ্টেম্বর সোমবার ছিল তার মৃত্যুর ১৩তম বছর। ১৩তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে নানা কর্মসূচী পালন করেছে এম সাইফুর রহমান স্মৃতি পরিষদ, মরহুমের পরিবার ও তাঁর রাজনৈতিক সংগঠন বিএনপি।
মরহুম এম সাইফুর রহমান’র কর্মময় জীবনে তার অনন্য গুণে মানুষের হৃদয়ে ঠাঁই করে নিয়ে ছিলেন। তার সাদামাঠা ব্যক্তিগত জীবন মানুষের দৃষ্টি কাড়ত। ছিল না চাওয়া পাওয়ার অস্থিরতা। এমনকি উচ্চ আকাঙ্খা উচ্চ বিলাসিতাও পচন্দ ছিলনা একদমই। কথা বলতেন মারপ্যাচের জটিলতা ছাড়াই সরল সহজ আর ইংরেজী মিশ্রিত আঞ্চলিকতায়। একারনেই দেশ বিদেশে সকল শ্রেণীর মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা ছিল তাঁর। দেশ বিদেশে নাম কুড়িয়ে আনা মৌলভীবাজারের বাহারমর্দনের সেই সুসন্তান দেশের অন্যতম অর্থমন্ত্রী যিনি একনাঘাড়ে ১২ বার সংসদে বেশ সফলতার সাথে বাজেট পেশ করেছেন। কর্মে  অনন্য গুণের অধিকারী প্রয়াত সাইফুর রহমান উন্নয়নের যে স্বপ্ন দেখতেন তা বাস্তবায়নও করে গেছেন উন্নয়নের আদর্শ স্থাপন করে। এটাই তার অবিচল আস্থা বিশ্বাস আর কাজের প্রতি নিখাঁদ আন্তরিকতা ও কর্তব্যকর্মে দ্বায়িত্বশীলতার নজির। নিজ জন্মস্থান মৌলভীবাজার সহ পুরো সিলেট বিভাগেই রয়েছে তার চোখ ধাধাঁনো উন্নয়নের ছোঁয়া।


সংক্ষিপ্ত জীবনী:
জন্ম ১৯৩২ খ্রীষ্টাব্দের ৬ অক্টোবর, মৌলভীবাজারের বাহারমর্দনে। তার পিতা মোহাম্মদ আব্দুল বাছির, মাতা তালেবুন নেছা। ৩ ভাইয়ের মধ্যে সভার বড় ছিলেন তিনি। মাত্র ৬ বছর বয়সে তাঁর পিতা মারা যান। সে সময়ে তাঁর অভিভাবকক্ত গ্রহণ করেন চাচা মোহাম্মদ সফি। শিক্ষাজীবন, গ্রামের মক্তব ও পাঠশালা শেষ করে তিনি ১৯৪০সালে জগৎসী গোপালকৃষ্ণ উচ্চ ইংরেজী বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। এরপর ১৯৪৯ সালে কৃতিত্বের সাথে মেট্রিকুলেশন উর্ত্তীণ হন। সিলেটের এমসি কলেজ থেকে আইকম পাশ করে ১৯৫১ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯৫৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন ডিগ্রী অর্জন করেন। এরপর তিনি ব্যারিস্টারী পড়ার জন্য লন্ডনে চলে যান। সেখানে পৌঁছার পর মত পাল্টে যায় তার, ব্যারিষ্টারীর পরিবর্তে পড়েন চাটার্ড একাউন্টেন্সি। ১৯৫৩-৫৮ সময়কালে পড়াশোনার পর ১৯৫৯ সালে ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড একাউন্ট্যান্টস ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ফেলোশীপ অর্জন করেন। এছাড়া তিনি আর্থিক ও মুদ্রানীতি এবং উন্নয়ন অর্থনীতিতে বিশেষায়িত শিক্ষা গ্রহণ করেন।
১৯৬০ সালের ১৫ জুলাই বেগম দূররে সামাদ রহমানের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি ৩ পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জনক। ২০০৩ সালে তার স্ত্রী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ২০০৯ সালের ৫ সেপ্টেম্বর তিনি এক মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যুমুখে পতিত হন। তার শেষ ইচ্ছানুযায়ী বাহারমর্দনে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল(বিএনপি)র’ প্রতিষ্ঠা লগ্নে দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান আপন করে ডাকলেন দল গঠনে অংশ নিয়ে দেশ ও জাতীর কল্যাণে নিবেদীত হতে। তিনি তাই করলেন। রাজনীতিতে এলেন, আলোকিত করলেন, আলোকিত হলেন। ১৯৯৬ সালে ষষ্ট ও সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-৩ আসন ও ২০০১ সালের অষ্টম সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-৩ ও সিলেট-১ আসন থেকে বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

২০০৬ সালের ৮ই জুন তিনি সংসদে দ্বাদশ বাজেট পেশ করে দেশের সংসদীয় ইতিহাসে সর্বাধিক সংখ্যক বাজেট পেশকারী হিসেবে রের্কড গড়েন। তিনি দীর্ঘদিন দেশের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন ছাড়াও দেশ-বিদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্টানগুলোতেও নানা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন কৃতিত্বের সাথে। তাঁর জীবদ্দশায় দেশ ও বৃহত্তর সিলেট নিয়ে যে উন্নয়ন মহা পরিকল্পনা করেছিলেন তার অনেক গুলো বাস্তবায়ন হলেও পুরোটা বাস্তবায়ন করতে পারেননি। হঠাৎ এক মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় নিভেযায় তার জীবন প্রদীপ। স্তব্ধ হয়ে যায় তার দেখা উন্নয়ন মহাপরিকল্পনার স্বপ্ন।

১৩তম মৃত্যুবার্ষিকীতে নানা কর্মসূচী: ১৩ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এম.সাইফুর রহমান স্মৃতি পরিষদ এর উদ্যোগে জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকাগুলোতে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হয়েছে। স্মৃতি পরিষদ ও মরহুমের পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর গ্রামের বাড়িতে কোরানে খতম, মিলাদ, দোয়া, শিরণী বিতরণ করা হয়। এম.সাইফুর রহমান স্মৃতি পরিষদ ছাড়াও দলীয়ভাবে বিএনপির স্থানীয় জেলা ও উপজেলার নেতাকর্মীরা সকালে মরহুমের কবরে পুস্পস্তবক অর্পণ, মিলাদ মাহফিল, দোয়া ও সাড়ে এগারোটায় স্মরণসভাসহ নানা কর্মসূচী পালন করেন।

উল্লেখ্য ২০০৯ সালের ৫ সেপ্টেম্বর এম সাইফুর রহমান মৌলভীবাজারের নিজ বাড়ী বাহারমর্দন থেকে ঢাকায় যাওয়ার সময় ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার ঢাকা- সিলেট মহা সড়কের খড়িয়ালা নামক স্থানে এক মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যুবরন করেন।

 

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT