1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
সীমিত আয়ের মানুষের জীবনযাত্রা - মুক্তকথা
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৫১ অপরাহ্ন

সীমিত আয়ের মানুষের জীবনযাত্রা

রাজন আহমদ॥
  • প্রকাশকাল : মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ৯৯১ পড়া হয়েছে

 

‘বাজার তদারকি করছি। কেউ যাতে দাম অতিরিক্ত বাড়াতে না পরে সেদিকে আমাদের নজরদারি আছে।’

নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে টিকে থাকাই কষ্টকর

বাজার যদি তদারকিতেই আছে তা’হলে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম বাড়ে কিভাবে? দাম বেড়ে যাওয়ায় শহুরে জীবনের কঠিণ এক বাস্তবচিত্র পাঠিয়েছেন সাংবাদিক রাজন আহমদ।

দিনমজুর মইন আলীর বসবাস মৌলভীবাজার শহরের সৈয়ারপুর এলাকায়। ৪ জনের পরিবারের তিনিই একমাত্র উপার্জনকারী। আগে প্রতি মাসে সংসারের খরচ চালিয়ে হাজার খানেক টাকা সঞ্চয় করতে পারতেন জানিয়ে তিনি বলেন- ‘গেল দুই মাস ধরে সব জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় এখন টিকে থাকাই কষ্টকর হচ্ছে। টাকা পয়সা জমানো তো পরের কথা। কোনো রকমে চলছে আমার সংসার।’

শহরের বেসরকারি চাকুরিজীবী জাকির হোসেন। পরিবারের জন্য বাজারের দায়িত্ব তাঁর উপর। তবে সম্প্রতি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে বাজারের পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছেন। পরিমাণ কেমন কমিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রায় অর্ধেক। আয়ের সঙ্গে সঙ্গতি মেলাতে গিয়েই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া এছাড়া তো কোন পথই নেই।’

মইন আলী ও জাকির হোসেনের মত এখন অনেকেরই আয়ের সাথে ব্যয়ের কোন সঙ্গতি না থাকায় হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। সীমিত আয়ের কারণে অনেক কিছু বাদ দিতে হচ্ছে খাদ্য তালিকা থেকে, দিন যাচ্ছে চাপা কষ্টে।

দিনে দিনে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ফলে সংসার খরচের হিসাবও মিলেছে না নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের।

আলাপ হয় পেশায় মুদ্রণশিল্প ব্যবসায়ী রজত ভট্টাচার্যের সাথে। তিনি বলেন, ‘খুব কষ্টে আছি। আগে তো সবকিছুর দাম এতো বাড়তি ছিল না। এখন অবস্থা ভয়াবহ। এইসব দেখার কেউ নাই। আমাদের মত মানুষদের এক একটি দিন যাচ্ছে চাপা কষ্টে, ঘরে এখন নীরব হাহাকার চলছে।’

সেন্ট্রালরোডের একটি কাপড়ের দোকানে কাজ করেন আজগর মিয়া। তিনি বলেন,’সবকিছুর দাম তো বাড়ছে আমাদের তো বেতন বাড়ে না। আমরা কিভাবে খাবো আর কিভাবে চলবো সেটা নিয়ে চিন্তায় আছি।’

এদিকে মৌলভীবাজারে প্রতি সপ্তাহেই বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। ক্রমেই চাল, ডাল, তেল, চিনি, আটা, ময়দা, পাউরুটি, বিস্কুট, মসলাপণ্য, মাছ, মাংস, শাক-সবজিসহ বেশ কয়েকটি পণ্যের দাম বাড়ছেই। ক্রেতাদের অভিযোগ, বাজার কারো নিয়ন্ত্রণে নেই। ফলে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছে মতো দাম বাড়াচ্ছে।

মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, মৌলভীবাজার শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পেঁয়াজের বাজার কিছুটা কমেছে। লিটারে ৭টাকা বেড়েছে সয়াবিন তেলের দর। দাম বাড়ার তালিকায় আছে চাল, ডাল, আটা, ময়দা, মসলাপণ্য, মাছ ও মাংস। এছাড়া সব ধরনের সবজির দামও বেড়েছে ১০ থেকে ১৫টাকা করে প্রতি কেজিতে।
শহরের টিসি মার্কেটে গিয়ে দেখা গেছে, পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৩২ টাকা কেজিতে।

নিম্নবিত্তের মাংস বলতে ফার্মের মোরগ। যা এখন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজিতে ও ফার্মের লাল মোরগ প্রতি পিস ৫০০ টাকা দরে।
অপরদিকে, মাছের দামও বেড়েছে হুহু করে। সব ছোট মাছ কেজিতে বেড়েছে ৪০ থেকে ৫০টাকা করে। আর বড়মাছ কেজিতে বেড়েছে ১০০ থেকে ১৫০টাকা।

এ ব্যাপারে জেলা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আল আমিন বলেন, ‘বাজার তদারকি করছি। কেউ যাতে দাম অতিরিক্ত বাড়াতে না পরে সেদিকে আমাদের নজরদারি আছে।’

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT