1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
সভ্য জগতের দগদগে ক্ষতের এক বিভতস কাহিনী - মুক্তকথা
মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৩৬ অপরাহ্ন

সভ্য জগতের দগদগে ক্ষতের এক বিভতস কাহিনী

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : বৃহস্পতিবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৬
  • ৭৭৩ পড়া হয়েছে
cortona_rape_of_the_sabine_womenস্ত্রীসঙ্গম আর ধর্ষণ একই কর্ম, অতীব আদিম কিন্তু মানুষের সমাজে তার দু’ধরনের প্রতিক্রিয়া। প্রথমটি দ্বিতীয়টি থেকে কিছুটা অধুনা মানে ধর্ষণের সংস্কারকৃত রূপ বলে আমি বলবো শুধু বলপূর্বক কথাটি বাদ দিলে। ধর্ষণ ইচ্ছাবিরুদ্ধ বলপূর্বক বিধায় অমানবিক, আসুরিক। আদিম সমাজে মানুষ নিশ্চয়ই অন্যান্য প্রাণীর মত বিপরীত লিংগের সাথে আদিরস সুধা পানে লিপ্ত হতো। মানবিকতা জাগ্রত হবার পর মানুষ বিপরীত লিংগ সংগমের বিষয়টিকে গুরুত্বদিয়ে বিবেচনায় নিয়ে আসে। একটি সুন্দর পন্থা বাহির করে। কারণ মানুষ বুঝতে পারে যে সংগম মানুষের প্রকৃতিগত একটি শারিরীক চাহিদা। দ্বিতীয়তঃ ইহা বংশ বিস্তারের এক মহা রহস্যময় অফুরান আনন্দের অমীয় সুধা। তাই মানুষ মানুষের এই প্রবৃত্তি বা চাহিদাকে স্বীকার করে নিয়ে বিবাহ নামক সুশীল প্রথার প্রচলন করে। এটি আমার কোন গবেষণা নয় বরং জীবন চলার অভিজ্ঞতা প্রসূত কথা। আর আমার মতে এই ব ক্তব্যকে কেউ অস্বীকার করবেন এমন হবার নয়। কারণ, এ হল মানবিক অভিজ্ঞতার এক সহজ সরল প্রকাশ মাত্র। 
সৃষ্টি জগতে প্রানের প্রকাশ ও বিকাশ সঙ্গমের মধ্য দিয়ে বলেই মনীষীদের অনুমান। বিজ্ঞান এখনও জানেনা কিকরে এই বিশ্বচরাচরে প্রানের উদ্ভব বা শুরু হয়েছে। তবে এই মাটির পৃথিবীতে প্রানের অস্থিত্ত্ব বিজ্ঞানের মতে ৩৫০০মিলিয়ন বছর আগের। তাদের অনুমান বা বিশ্বাস ধাতু সমষ্টির সংমিশ্রনের মধ্য দিয়ে জীবনের উদ্ভব হয়েছে। আর আমার কথাকয়টি কোন গবেষণা থেকে নয় বরং জগতে জীবন চর্চ্চার অভিজ্ঞতা থেকে আহরিত। স্বীকার করি আমার ধারনা বা বিশ্বাস উদ্ভট কল্পনা হতেই পারে। তবে এ বিষয় সকলেই স্বীকার করবেন যে জীবন জনমের প্রক্রিয়া মিশ্রন কিংবা সঙ্গম যা-ই হয় না কেনো তার স্থান বস্তু জগতের সব কিছুর উপরে, পুতঃ ও মহাপবিত্র। কারণ তা জীবন জনমের অমোঘ প্রক্রিয়া। যে প্রক্রিয়ায় জীবন আসে তা অশ্লিল হয় কি করে?
 
বিবাহের মাধ্যমে স্ত্রী সংগমের এই সংস্কৃতির বয়স কত হাজার বছর হয়েছে আমিতো জানিই-না, কারো কাছে এ হিসাব আছে বলে আমার খটকা আছে। আধুনিক বিজ্ঞানের মতে বিবাহের সূচনা আজ থেকে ৪৩৫০ বছর আগে। আর পৃথিবীর সর্বপ্রথম বিবাহের লিখিত তথ্য পাওয়া যায় মেসোপটেমিয়ায় যা খৃষ্ট জন্মের ২৩৫০ বছর আগের। জেনে রাখা ভাল যে বিবাহের সাথে ধর্মের সংযোগ রোমান ক্যাথলিক গির্জা থেকে। তা’হলে ঐতিহাসিক যুগ থেকেই যে বিবাহ চলে আসছে এটা নির্দ্বিধায় বলা যায়।
আবার প্রাগৈতিহাসিক আমলেও নারী-পুরুষের যৌনমিলন ছিল তবে তা আমাদের বিবাহের নমুনায় ছিল না। তখন মানুষ জানতো না যে যৌন মিলনের কারণেই সন্তানের জন্ম হয়। যৌনমিলন ছিল মানুষের কাছে খুবই শক্তিশালী এক অনাবিল আনন্দের উতস। আর সে কারণেই মানুষ কামাঙ্গের পূঁজা করতে শিখে। এক নারীকে বহু পুরুষের সাথে যৌনমিলনে যাওয়াই ছিল স্বাভাবিক। শ্রুতিকে আমি প্রাগৈতিহাসিক বলছি, সেই শ্রুতি বা কিংবদন্তী ঘাটালে এরূপ অযুত মিলনের ঘটনা আবিষ্কার করা যাবে।

আর ধর্ষণ, ইচ্ছা ও মানবিকতার বিরুদ্ধে গিয়ে একক তৃ্প্তির স্বার্থে আদিম প্রবৃত্তির আদিমতম প্রয়োগ। একবিংশ শতাব্দির সূচনায় এই আদিম প্রবৃত্তির তাড়না যেন মানুষের সকল মূল্যবোধকে বিসর্জন দিয়ে চলেছে। তেমনি দুয়েক অমানবিক ঘটনা সংগ্রহ করেছি “দৈনিক আনন্দবাজার” আর এমএসএস,ইউকে ‍‍ থেকে। পড়ুন তা’হলে-
 
“সময়টা ন’য়ের দশকের মাঝামাঝি। গাড়ি চুরির দায়ে জেলে যেতে হয়েছিল মেরিকে (আসল নাম পরিবর্তিত)। মেরি এক জন ট্রান্সজেন্ডার মহিলা। শাস্তি শোনার পর জেল কর্তৃপক্ষকে বার বার অনুরোধ করে ছিলেন তাঁকে যেন পুরুষদের সঙ্গে এক সেলে রাখা না হয়। তাঁর কথায় কান দেননি কুইন্সল্যান্ড জেল কর্তৃপক্ষ। তাঁর ঠাঁই হয়েছিল পুরুষদের সেলেই। জেলের রিসেপশনে পা দিয়েই মেরি বুঝে গিয়েছিলেন জেলের সেলে তাঁকে বেশ খানিকটা লড়াই করতে হবে। আশপাশের লোহার গারদ থেকে উঁকি মারা চোখগুলোর তাঁর প্রতি কেমন যেন অদ্ভুত দৃষ্টি ছুড়ে দিচ্ছিল। কিন্তু জেলের অভিজ্ঞতা ঠিক অতটা ভয়ানক হবে সেটা বোধহয় নিজের দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি মেরি।Jordaens_Rape_of_Europa_anagoria

সেলে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই মেরির পুরুষ সহবন্দিরা জোর করে তাঁর পোশাক খুলে দেয়। শুরু হয় যৌন নির্যাতনের পালা। এর পর থেকে প্রতি দিন অন্তত এক বার করে ধর্ষিত হতে হয় তাঁকে। রোজ রোজ অমানসিক এই অত্যাচারে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। মানসিক ভাবেও বার বার ক্ষত বিক্ষত হতে থাকেন তিনি। বার বার জেল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি। রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পরে থেকেছেন। কেউই ফিরে তাকায়নি। তাঁর অসহায় চিত্কার বা অস্ফুট গোঙানি, কোনও কিছুই কারও কানে পৌঁছয়নি। টানা চার বছর চলেছে এই নারকীয় নির্যাতন। অন্তত ২০০০ বার ধর্ষণ করা হয় তাঁকে।

জেল থেকে বেরিয়ে এসেছেন বেশ কয়েক দিন হল। কিন্তু এখনও সেই ভয়ঙ্কর দিনগুলোর কথা মনে পড়লে অজানা আতঙ্কে শিউরে ওঠেন মেরি। রাতে ঘুমোতে পারেন না। সম্প্রতি নিজের সেই অসহনীয় অভিজ্ঞতা নিয়ে মুখ খুলেছেন অস্ট্রেলিয়ার এই বাসিন্দা। তবে মেরির ঘটনা কোনও ব্যতিক্রম নয়। পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই জেলে লিঙ্গ নির্বিশেষে সহ-বন্দিদের ওপর জেলের মধ্যে যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটে আকছারই। কোনও অজানা কারণে এই বিষয়ে সদর্থক কোনও ভূমিকাই নেন না অধিকাংশ জেল কর্তৃপক্ষ। অনেক সময় বহু জেল পাহারার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধেও উঠেছে ধর্ষণের অভিযোগ।

জেলে চার বছরে নরক যন্ত্রণার সময় মেরির মাত্র এক জন সমব্যথীকে খুঁজে পেয়ে ছিলেন। ঘটনাচক্রে তিনিও ট্রান্সজেন্ডার ছিলেন। মেরির ওপর যে ধরনের নির্যাতন চলতো, সেই একই নির্যাতনের শিকার ছিলেন তিনিও। মেরির মুক্তির কিছু দিন আগে প্যারোলে মুক্তি পান তিনি। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে প্যারোলের শর্ত ভঙ্গের অভিযোগ দায়ের করা হয়। ফের কারাবাসের শাস্তি শোনানো হয় তাঁকে। তবে মেরির বন্ধুকে আর জেলে ফিরে যেতে হয়নি। জেলে যাওয়ার কথা শুনেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি!”-(আনন্দবাজার থেকে)
 
© SWNS.com (Huffington Post) “এমএসএস ইউকে” হাফিংটন পোষ্ট এর বরাত দিয়ে লিখছে-

লন্ডনের ব্রমলি’র একটি স্কুলের ১৬বছরের এক ছাত্রের সাথে ঐ স্কুলের ২৭ বছর বয়সের শিক্ষিকা লরেন কক্স এর সুদীর্ঘ সময়ের শারিরীক সম্পর্কের খবর সমাজসেবা দফতর থেকে শেষমেস আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। শিক্ষিকা কক্স তার বিভিন্ন নমুনার যৌণ ছবি ও ভিডিও ছেলেটির কাছে পাঠাতেন। লরেন কক্স বিগত ৮মাস যাবত ঐ ছাত্রটির সাথে যৌণ মেলামেশা করে আসছেন বলে সমাজসেবা দফতর সূত্র জানায়। স্কুল ছুটির পর আর গ্রীষ্মের ছুটিতে তিনি ছাত্রটির সাথে যৌণ মিলন কাজ করে যাচ্ছিলেন। এক সময় তার মা-বাবার সন্দেহ হলে তিনি এই যৌণ সম্পর্ক বন্ধ রাখেন কিন্তু ছাত্রটিকে টেক্সট করে যোগাযোগ রাখতে থাকেন।শেষ পর্যন্ত শিক্ষিকা কক্স গত সেপ্টেম্বরে গ্রেফ্তার হন যখন ছেলেটি তার সম্পর্কের কথা স্বীকার করে।

ছাত্রটির বয়স যখন ১৩ বছর তখন থেকেই কক্স তার সাথে খুব মধুর সম্পর্ক গড়ে তোলেন।
 
ক্রয়ডন ক্রাউন আদালত কক্সকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছেন তার জিম্মাদারি জেলদন্ড হবেই। কক্সকে জামিন দেয়া হয়েছে এই শর্তে যে তিনি স্কুলে যেতে পারবেন না কিংবা ঐ ছেলেটির সাথে স্কুলে কোনরূপ যোগাযোগ করতে পারবেন না। স্কটল্যান্ডইয়ার্ডের সূত্র জানান যে স্কুল শেষে কিংবা স্কুল বন্ধের সময় তারা দেখাসাক্ষাত করতে পারবেন এবং ছবি ও ভিডিও পাঠাতে পারবেন।
“যৌন অপরাধ, শোষণ এবং শিশুদের বিকৃতিমূলক ব্যবহার আদেশ” বলেছেন- শিক্ষিকা হিসাবে কক্স তার বিশ্বাসমূলক পদাবস্থান বিনষ্ট করেছেন বিশ্বাস ভঙ্গ করে আর ছেলেটিকে গড়ে তুলেছেন এমনভাবে যে তা যৌণ অপরাধের সমান। এর ফলে ছাত্রটির লিখাপড়া মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT