মৌলভীবাজার অফিস: বৃহস্পতিবার, ৩০শে চৈত্র ১৪২৩।। কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের কোনাগাও গ্রামের বাড়িতে জঙ্গি দেলোয়ার হোসেন রিপনের দাফন কঠোর পুলিশি প্রহরায় সম্পন্ন হয়েছে। জঙ্গি রিপন কোনাগাও গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে। রিপন ৪ ভাই ১ বোনের মধ্যে সবার বড়। বাবা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক ইউসুফ আলী ও মাতা শেলি বেগম।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত অন্য দু’জন নিষিদ্ধ ঘোষিত হরকাতুল জিহাদের (হুজি) শীর্ষনেতা ‘মুফতি’ আব্দুল হান্নান ও জঙ্গি শরীফ শাহেদুল আলম বিপুলেরও একই সময়ে ফাঁসি কার্যকর হয়েছে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে।
১২ এপ্রিল বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে কোনাগাও শাহী ঈদগাঁহ ময়দানে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা পড়ান কোনাগাও জামে মসজিদের ইমাম মোঃ ইব্রাহিম আলী। জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে দিবাগত রাত ১২টা ১৫ মিনিটে তার মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দু’টি গাড়ি বাড়িতে পৌঁছায়। বুধবার রাত ১০টা ১মিনিটে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে রিপনের ফাঁসি কার্যকর হয়।
কিছু সময় রিপনের লাশ আত্মীয় স্বজন ও এলাকাবাসিকে দেখার জন্য উম্মুক্ত রাখা হয়। পরে রিপনের লাশ গোছল শেষে কাফন পড়ানো হয়। রাত ১টা ৪০ মিনিটে পুলিশ পাহারায় কোনাগাঁও ঈদগাহ মাঠে নামাজে যানাজা শেষে পার্শবর্তী কোনাগাঁও জামে মসজিদের পাশে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এ সময় বাড়ির ১ কিলোমিটার আশপাশে গনমাধ্যমকর্মীসহ কাউকে যেতে দেয়নি পুলিশ।
উল্যেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটের হযরত শাহজালাল (রঃ) এর মাজারে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। হামলায় আনোয়ার চৌধুরী ও সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ অর্ধ শতাধিক ব্যক্তি আহত হন। এতে নিহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ তিনজন।
মামলার বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল এই মামলার পাঁচ আসামির মধ্যে মুফতি আব্দুল হান্নান, জঙ্গি শরীফ শাহেদুল আলম বিপুল ও রিপনকে মৃত্যুদন্ডাদেশ এবং মহিবুল্লাহ ও আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দেন।