হাম হাম ঝরণা। সিলেটের কথ্য ভাষায় “হাম হাম” হলো, পানির তীব্র স্রোতের আওয়াজ। আর এখান থেকেই পাহাড়ী এ ঝর্ণার নাম “হাম হাম” হিসেবে মানুষের কাছে পরিচিতি পেয়েছে। অবশ্য স্থানীয় অধিবাসীগন এটিকে “চিতার ঝর্ণা” বলেও ডাকেন। কারণ মনুষ্য হানার আগে গভীর অরণ্যে থাকা চিতারা(চিতাবাঘ) এসে এখানে পানি খেতো। আর তাই স্থানীয়রা এটিকে ‘চিতা’ বলেই এখনও ডাকে।
এই হামহাম বা চিতা ঝর্ণা, মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার রাজকান্দি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গভীরে কুরমা বন বিট এলাকায় অবস্থিত একটি প্রাকৃতিক জলপ্রপাত বা ঝরণা। কতটুকু সত্য তা এখনও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি যদিও উইকিপিডিয়ায় লিখানো হয়েছে যে জলপ্রপাতটি ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের শেষাংশে পর্যটন গাইড শ্যামল দেববর্মার সাথে দুর্গম জঙ্গলে ঘোরা একদল পর্যটক আবিষ্কার করেন। এ তথ্যসূত্রের সত্যতা এখনও অজ্ঞাত। দুর্গম গভীর জঙ্গলে এই ঝরণাটি ১৩৫, মতান্তরে ১৪৭ কিংবা ১৭০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত। উচ্চতার দিক বিবেচনায় বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচু ঝরণা, সরকারিভাবে স্বীকৃত মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতের উচ্চতা, ১২ অক্টোবর ১৯৯৯-এর হিসাব অনুযায়ী ১৬২ ফুট। এ সবই পর্যটকদের অনুমান।